কক্সবাজারের রামুতে অটোরিকশাকে ট্রেনের ধাক্কা, পাঁচ যাত্রী নিহত
Published: 2nd, August 2025 GMT
কক্সবাজারের রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে রামুর রশিদনগর রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান। তিনি বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ছিটকে যায়। এতে চালক শাহাব উদ্দিন, যাত্রী মর্জিনা ও তাঁর শিশুসন্তানসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই যাত্রী মারা গেছেন। ওই দুজনের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
ওসি তৈয়বুর রহমান আরও জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ওই চার যাত্রী কক্সবাজার শহরে যাচ্ছিলেন। পথে রামুর রশিদনগর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এর আগেও ওই ক্রসিংয়ে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।
দুর্ঘটনার পরপরই হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য বদি আলম। এ ঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী ও চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ