বাণিজ্য বাড়াতে চায় পাকিস্তান ও ইরান। রবিবার (৩ আগস্ট) ইসলামাবাদ সফররত ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের মধ্যে আলোচনায় পাকিস্তান ও ইরান তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সম্মত হয়েছে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার।

সোমবার (৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান দায়িত্ব গ্রহণের পর এবং জুন মাসে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধের পর প্রথম সরকারি সফরে পাকিস্তানে যান।

আরো পড়ুন:

বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৯

শেষ বলে জিতে সিরিজে সমতা ফেরালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ইরানের প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচায় স্বাগত জানায় পাকিস্তান এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ব্যক্তিগতভাবে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমান ঘাঁটিতে পেজেশকিয়ানকে স্বাগত জানান। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের বলছে, এটি কেবল একটি প্রোটোকল নয় বরং প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর করার পাকিস্তানের অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দেয়।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দুই নেতা একান্ত বৈঠক করেন, এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনা হয়। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে বর্তমান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন পর্যন্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

উভয় নেতা পাকিস্তান-ইরান বাণিজ্য আলোচনার সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং অদূর ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমান ৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

বৈঠক শেষে ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শাহবাজ শরিফ বলেন, দুই দেশের মধ্যে ১২টি নতুন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিগুলো দ্রুত কার্যকর করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শাহবাজ শরিফ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার কঠোর নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েল কোনো কারণ ছাড়াই আগ্রাসন চালিয়েছিল, যার নিন্দা পাকিস্তানের জনগণও জানিয়েছে। তিনি ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সাহসিকতা দেখানোর জন্য ইরানের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, পাকিস্তান শুধু আমাদের প্রতিবেশী দেশই নয়, একটি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশও। ইরানের বিদেশনীতির অন্যতম লক্ষ্য হলো প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা। স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা হবে।

পেজেশকিয়ান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় ইরানের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর জন্য পাকিস্তান সরকার এবং জনগণকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ইরানি জাতি সর্বদা পাকিস্তানের সংহতি প্রদর্শনের কথা মনে রাখবে।

শাহবাজ ইসরায়েলি বর্বরতার মুখে ফিলিস্তিনিদের প্রতি দৃঢ় ও সোচ্চার সমর্থনের জন্য ইরানি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতি পাকিস্তানের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং অবরুদ্ধ জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরি মানবিক সহায়তার পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানান।

উভয় নেতাই সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান। শাহবাজ ভারতের অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের নিপীড়িত জনগণের প্রতি ইরানের ধারাবাহিক সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

দুই নেতাই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অধিকারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র জন য ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

কদমরসুল সেতু বাস্তবায়নের দাবিতে বন্দরে নাগরিক কমিটির সভা

একনেক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী কদম রসুল সেতু দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষে বন্দর নাগরিক কমিটির উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টায় বন্দর  শহীদ সোহরাওয়ার্দী ক্লাবে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন কলামিষ্ট ফরিদ আহমেদ রবি।

নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি ডা. ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর জব্বার,দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,বাংলা টিভির নিউজ প্রেজেন্টার কাজী সাঈদ,বন্দর ২২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া,দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার লতিফ রানা, নারায়ণগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাবেক সাধারন সম্পাদক হৃদয় ভূইয়া প্রমূখ।

মত বিনিময় সভায় বক্তারা বলেন,নারায়ণগঞ্জে একজন সাংস্কৃতিক কর্মী কদমরসুল সেতুর নকশা নিয়ে নাক গলাচ্ছেন। তিনি চান না সেতুটা হউক। অথচ নকশা নিয়ে কথা বলবে প্রকৌশলীরা। তিনি কি প্রকৌশলী? তিনি বলছেন এখান দিয়ে সেতু হলে যানযটের সৃষ্টি হবে। 

এতদিন আপনারা কি করেছেন। আসলে মুলত বন্দরকে সব সময় কিছু তথাকথিত সুশিলপ্রকৃতির লোক বিভাজন করে রাখতে চায় সব সময়। মুল ম্যাসেজ হচ্ছে বন্দরকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। বন্দর উন্নতি হলে তাদের সমস্যা।

যারা বন্দরের উন্নয়ণকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় প্রয়োজনে বন্দরের জনগনের নিয়ে তাদের কুশপুত্তলিকা তাহ করা হবে। কোন ভ্রষ্ট বামের কথা নারায়ণগঞ্জে চলবে না। পরিশেষে আমরা সকলকে নিয়ে বন্দরের উন্নয়ণের স্বার্থে সেতুর বাস্তবায়ণ চাই।### 

সম্পর্কিত নিবন্ধ