ভারতের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা-প্রযোজক বিশাল কৃষ্ণা রেড্ডি। তার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে একাধিক নায়িকার। সবকিছু পেছনে ফেলে কয়েক মাস আগে বিয়ের ঘোষণা দেন এই অভিনেতা। একই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী সাই ধনশিকার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়তে যাচ্ছেন ‘চকরা’ তারকা।  

গত ১৯ মে অডিও ট্রেইলার লঞ্চিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশাল। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী সাই ধনশিকাও। সেখানেই বিয়ের ঘোষণা দেন এই যুগল। পাশাপাশি জানান, আগামী ২৯ আগস্ট বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন তারা। 

আরো পড়ুন:

অপহরণের অভিযোগে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

কত আয় করল রজনীকান্তের ‘কুলি’?

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিশালের জন্মদিন। বিশেষ দিনে অর্থাৎ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বাগদান সেরেছেন বিশাল-ধনশিকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া একটি পোস্টে এই তথ্য জানান বিশাল।  

মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) বাগদান অনুষ্ঠানের বেশ কটি ছবি শেয়ার করেছেন বিশাল। এসব ছবির ক্যাপশনে এই নায়ক লেখেন, “এই মহাবিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকে আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ জানানো সব প্রিয়জনকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”   

বাগদানের ঘোষণা দিয়ে বিশাল লেখেন, “আজ আমার জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে একটি শুভ খবর আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। আজ আমাদের পরিবার-পরিজনের উপস্থিতিতে আমি ও সাই ধনশিকা বাগদান সম্পন্ন করেছি। আগের মতোই আপনাদের আশীর্বাদ ও শুভকামনা চাই।” 

বেশ কয়েক মাস আগে পরিচয় হয় বিশাল-সাইয়ের। তারপর কাছে আসা। সেখান থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। গত মে মাসে সাই ধনশিকা বলেছিলেন, “আমি আমার সেই মানুষটিকে পেয়ে গেছি। আমাদের বিয়ের কথা চলছে। ভালোবেসে আমরা বিয়ে করছি। খুব শিগগির বিয়ের দিনক্ষণ, ভেন্যু জানানো হবে।” তবে বাগদানের ঘোষণা দিলেও বিয়ের দিনক্ষণ জানাননি বিশাল কিংবা ধনশিকা।  

১৯৭৭ সালের ২৯ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন বিশাল। তার বয়স এখন ৪৮ বছর। অন্যদিকে, ১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সাই। তার বয়স এখন ৩৫ বছর ১০ মাস। তাদের বয়সের ব্যবধান ১২ বছরের বেশি। ফলে এ নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।  

এর আগে ‘অর্জুন রেড্ডি’খ্যাত অভিনেত্রী আনিসা রেড্ডির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বিশাল। দীর্ঘ দিন প্রেম করার পর ২০১৯ সালে পারিবারিকভাবে বাগদান সারেন এই যুগল। ভেন্যু থেকে শুরু করে বিয়ের সবকিছুই চূড়ান্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বিশাল জানান, আনিসার সঙ্গে তার বিয়ে ভেঙে গেছে।  

এরপর নানা সময়ে বিশালের প্রেম-বিয়ের গুঞ্জন চাউর হয়েছে। তবে সবকিছু অতীতের খাতায় জমা রেখে মালাবদল করতে যাচ্ছেন এই তারকা। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র স ই ধনশ ক

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে

জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।

এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ