অভিনেত্রীকে অশালীন স্পর্শ, ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা
Published: 31st, August 2025 GMT
ভোজপুরি তারকা অভিনেতা পবন সিংয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে তার সহ-অভিনেত্রী অঞ্জলি রাঘবকে একটি অনুষ্ঠানে অশালীনভাবে স্পর্শ করতে দেখা যায়। ঘটনাটি লখনৌতে ঘটেছে। এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর, অঞ্জলি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খোলেন। পাশাপাশি, ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ভিডিও বার্তায় অঞ্জলি রাঘব বলেন, “অনুষ্ঠানে প্রথমবার পবন সিং যখন আমাকে স্পর্শ করেন, তখন ভেবেছিলাম—ব্লাউজে কোনো কিছু হয়তো লাগানো ছিল, যা আমি বা আমার টিম খেয়াল করেননি। কিন্তু তিনি যখন দ্বিতীয়বার স্পর্শ করেন, তখন হেসে বিষয়টি এড়িয়ে যাই। পরে আমি আমার টিমকে জিজ্ঞাসা করি, ব্লাউজে কিছু ছিল কি না? তারা জানান, ব্লাউজে কিছু ছিল না।”
আরো পড়ুন:
১২ বছরের ছোট নায়িকার সঙ্গে বাগদান সারলেন বিশাল
অপহরণের অভিযোগে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
পরের ঘটনা বর্ণনা করে অঞ্জলি বলেন, “টিমের বক্তব্য জানার পর আমার খুব খারাপ লেগেছিল, রাগও হয়েছিল আর কাঁদতেও ইচ্ছা করছিল। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না কী করব? কারণ পুরো ভেন্যুতে ছিল তার ভক্তরা। তারা সবাই তাকে ভগবান বলছিল আর নিজেকে ভক্ত বলেই তার পায়ে পড়ে যাচ্ছিল। আমি ভাবছিলাম যদি কিছু বলি, তাহলে কেউ আমাকে সমর্থন করবে?”
ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ না করার ঘোষণা দিয়ে অঞ্জলি বলেন, “এই ঘটনার পর আমি শিক্ষা পেয়েছি যে, এখন থেকে আমি আর ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করব না।”
অঞ্জলির এই বার্তা অভিনেতা পবন সিংয়ের কাছে পৌঁছেছে। পবন সিং ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট দিয়ে অঞ্জলির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। পবন সিং বলেন, “অঞ্জলিজি, ব্যস্ত শিডিউলের কারণে আমি আপনার লাইভ দেখতে পারিনি। আমি যখন বিষয়টি জানতে পারলাম, তখন খুব খারাপ লেগেছে। আপনার প্রতি আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। কারণ আমরা সবাই শিল্পী। তবু যদি আমার কোনো আচরণে আপনি কষ্ট পেয়ে থাকেন, তবে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
পবন সিংয়ের ক্ষমা প্রাথনার বার্তাও পেয়েছেন অভিনেত্রী অঞ্জলি। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। তাতে অঞ্জলি বলেন, “পবন সিংজি তার ভুল স্বীকার করেছেন। তিনি আমার চেয়ে বয়সে বড় এবং একজন সিনিয়র শিল্পী। আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমি এই বিষয়টি নিয়ে আর এগোতে চাই না। জয় শ্রীরাম।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ইন ড স ট র স পর শ পবন স
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরে জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা, হাসপাতাল বন্ধ
চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে নবজাতক দাফনের সময় নড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় শহরের তালতলা দি ইউনাইটেড হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ফারুক হোসেন গাজী (৪৫)। এই ঘটনায় আগামী দুই দিনের মধ্যে রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন হাসপাতালটিতে নানা অবৈধ কার্যক্রম চলে আসছে। ওই নবজাতকের জন্মও হয় এই হাসপতালে। জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা করার ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নবজাতককে কবরস্থানে নিয়ে আসা ওয়ার্ড বয় ফারুক গাজীকে গ্রেপ্তার করে।
এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন পৌর কবর স্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।
এদিকে দি ইউনাইটেড হাসপাতালে এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি বলেন, “হাসপাতালে এসে ব্যবস্থাপনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া মিলেনি। চিকিৎসক নেই, হাসপাতালের প্যাথলজি ও ওটির সঠিক পরিবেশ নেই। একই সাথে পোস্ট অপারেটিভ রোগীর জন্য কোন সুব্যবস্থা নেই এবং হাসপাতালের কাগজপত্রও নবায়ন নেই।”
তিনি আরো বলেন, “প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ওটি, প্যাথলজি ও সংশ্লিষ্ট কক্ষ সীলগালা করা হয়েছে। একই সাথে রোগীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য স্থানে সেবার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযানে পরিচালিত কার্যক্রম সিভিল সার্জন বরাবর প্রদান করা হবে। সিভিল সার্জন হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।”
এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
অপরদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে হাসপাতালের ড্রাগ সনদসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরীক্ষা করে দেখেন জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান।
ঢাকা/অমরেশ/এস