যমুনায় পানি বৃদ্ধি, ধসে গেল ৩৫ মিটার বাঁধ
Published: 1st, September 2025 GMT
যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে তীব্র স্রোতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী শহর রক্ষা বাঁধে ধস নেমেছে। মুহূর্তের মধ্যে বাঁধের প্রায় ৩৫ মিটার অংশসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে চৌহালী উপজেলার জনতা স্কুল-সংলগ্ন চৌদ্দ রশি এলাকার বাঁধ ধসে পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চৌহালী উপজেলা শহরকে রক্ষা করার জন্য ২০১৫ সালে ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে আজ ৩৫ মিটার বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, শুষ্ক মৌসুমে তীর রক্ষা বাঁধের কনক্রিটের ব্লকগুলো কিছু অসাধু লোকজন তুলে বাড়িতে নিয়ে গেছে। এ কারণে চৌদ্দ রশি এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোলায়মান জানিয়েছেন, নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে বাঁধের প্রায় ৩৫ মিটার অংশ ধসে গেছে। তবে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ধস ঠেকাতে জরুরিভাবে কাজ শুরু করা হবে।
চৌহালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাঁধের ব্লকসহ জিও ব্যাগ নদীগর্ভে চলে গেছে। পাউবোর সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ঢাকা/অদিত্য/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৩৫ ম ট র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ