বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ বলে ভোট দিচ্ছি সন্দীপ এমপি পাইছি মালদ্বীপ। এরকম হলে কী চলবে? এ দেশে যে গতানুগতিক পদ্ধতি আছে সেই পদ্ধতিতেই নির্বাচন হবে।’’

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল শহর ও উপজেলা বিএনপির আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

সংঘর্ষে উস্কানিদাতা উদয় কুসুমের বিরুদ্ধে মামলা করেনি চবি প্রশাসন

‘আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে জিততে হবে’  

টুকু বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতি কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ বোঝে না। পিআর মানে কি? ভোট দিলাম টাঙ্গাইলে এমপি পাইলাম নোয়াখালীতে। টাঙ্গাইলে যে জনপ্রতিনিধি টাঙ্গাইলের মানুষই চিনবে। নোয়াখালীর মানুষ তাদের জনপ্রতিনিধিকে চিনবে। এটাই তো হওয়ার কথা। কাজেই এ দেশে যে গতানুগতিক পদ্ধতি আছে সেই পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে।’’

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ প্রমুখ।

ঢাকা/কাওছার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ