জামায়াতে ইসলামীকে ‘চিতাবাঘ’ আখ্যা দিলেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা
Published: 12th, September 2025 GMT
বাংলাদেশে সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জামায়াতে ইসলামীকে ‘চিতাবাঘ’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে দলটির ভূমিকা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ‘আমরা কি বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত?’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেছেন। খবর দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের সাথে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। তবে নয়া দিল্লিকে অবশ্যই তার মূল স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন যেকোনো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।
সাবেক এই কূটনীতিক বলেছেন, “এটা বলা যায় যে, ক্ষমতায় যারা আসবে তাদের সাথেই আমরা কাজ করব। কিন্তু যদি কেউ আপনার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাহলে আপনাকে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।”
ভারত প্রতিবেশীদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিকে সম্মান করে উল্লেখ করে রাজ্যসভার এই সদস্য বলেছেন, “যেসব দেশের সাথে আমাদের সীমান্ত রয়েছে, সেখানে স্রেফ অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে কিছু নেই।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের বিজয়ের কথা উল্লেখ করে শ্রিংলা জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ‘সহায়ক বাহিনী’ হিসেবে এই সংগঠনের ভূমিকা ছিল।
তিনি বলেন, “তাদের হাতে রক্ত লেগে আছে এবং তারা মুসলিম ব্রাদারহুডেরও একটি অংশ। বাংলাদেশ, মিশর, পাকিস্তান ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে একই মুসলিম ব্রাদারহুড বিদ্যমান। এবং এই চিতাবাঘ তার অবস্থান পরিবর্তন করবে না।”
৬৩ বছর বয়সী এই সাবেক কূটনীতিক ভারতের সীমান্তে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের তৎপরতার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পদচিহ্নের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটি “বিদ্বেষী শক্তির মধ্যে যোগসাজশের একটি প্রকৃত বিপদ তৈরি করেছে, যা মূলত জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ব্যবস্থা সমর্থন করছে।”
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারে এমন সম্ভাবনার কথাও স্বীকার করেছেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বল ছ ন ক জ কর ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।