ভারতের বিতর্কিত টিভি রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’। এটি সঞ্চালনা করে থাকেন সালমান খান। এরই মধ্যে শোটির ১৯তম সিজন শুরু হয়েছে। গত কয়েক দশকে এ শোয়ে অংশ নেওয়ার জন্য বহুবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিতর্কিত অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তকে। এজন্য তাকে কয়েক কোটি টাকা পারিশ্রমিক দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।   

বলিউড ঠিকানাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তনুশ্রী দত্ত। এ অভিনেত্রী বলেন, “আপনি কি সত্যিই ভাবেন আমি এই শো-তে যাব? আমি এ ধরনের জায়গায় থাকতে পারি না। আমি তো আমার নিজের পরিবারের সঙ্গেও থাকি না। আমি কখনো ‘বিগ বস’-এ আগ্রহী ছিলাম না, আর হবও না। আমাকে ওই অনুষ্ঠানের জন্য ১ কোটি ৬৫ লাখ রুপির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমার সমপর্যায়ের আরেকজন বলিউড তারকাকেও একই পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল।” 

আরো পড়ুন:

প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!

দুর্ঘটনার কবলে অঙ্কিতার স্বামী, হাতে ৪৫টি সেলাই

একটি ঘটনা বর্ণনা করে তনুশ্রী দত্ত বলেন, “বিগ বস’-এর স্টাইলিস্ট আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি অনুরোধ করে বলেছিলেন, ‘আমার ডায়েটের যত্ন তিনি নেবেন।’ আমি বলেছিলাম, ‘ওরা যদি আমাকে চাঁদের এক টুকরোও দেয়, তাও আমি যাব না।” 

কোনো পুরুষের সঙ্গে ঘুমাতে পারবেন না তনুশ্রী। মূল্যবোধ ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী বলেন, “একই হল রুমে একসঙ্গে ঘুমাচ্ছে নারী-পুরুষ। সেখানেই তারা ঝগড়া করছে, সেখানেই থাকছে—আমি এটা করতে পারব না। ডায়েট নিয়ে আমি খুব সচেতন, সেটা আমার শক্তির ওপর নির্ভর করে। আমি কি এমন নারী যে, রিয়েলিটি শোয়ের জন্য একজন পুরুষের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাব? আমি এতটা সস্তা নই। আমার গোপনীয়তা আমার কাছে অনেক মূল্যবান। আমি জানি, যদি আমাকে শান্তিতে কাজ করতে দেওয়া হয়, তাহলে এর চেয়ে অনেক বেশি উপার্জন করতে পারি।” 

১৯৮৪ সালের ১৯ মার্চ ঝাড়খন্ডের জামশেদপুরের একটি বাঙালি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তনুশ্রী দত্ত। সেখানকার ডি.

বি. এম. এস. ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করেন। পর পুনে ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন। ২০০৪ সালে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। পরে মিস ইউনিভার্সের সেরা দশে জায়গা করে নেন এই অভিনেত্রী। 

২০০৫ সালে ‘আশিক বানায়া আপনে’ সিনেমার মাধ্যমে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তনুশ্রী দত্ত। এরপর ‘চকোলেট’, ‘ভাগাম ভাগ’, ‘রাকীব’, ‘ঢোল’, ‘গুড বয় ব্যাড বয়’, ‘অ্যাপার্টমেন্ট’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেন। দীর্ঘ দিন ধরে সিনেমা থেকে দূরে রয়েছেন তনুশ্রী। ২০১৮ সালে অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলে দারুণ আলোচনার জন্ম দেন।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে

জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।

এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ