নিজেকে তৈরি করে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করব: স্বস্তিকা
Published: 17th, September 2025 GMT
মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন স্বস্তিকা দত্ত। তারপর টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে বড় পর্দায় পা রেখে নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী।
৩১ বছরের স্বস্তিকা আলাদাভাবে নিজের শরীরের যত্ন নিচ্ছেন। আগের চেয়ে অনেকটাই তার বাহ্যিক পরিবর্তন ঘটেছে। দর্শকের কাছেও যাতে একঘেয়ে না হয়ে ওঠেন, তার জন্য সদাসতর্ক ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ খ্যাত এই তারকা।
আরো পড়ুন:
ছেলের বন্ধুরা ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী
‘আমার শরীর দেখিয়ে কিছু প্রমাণ করার দরকার নেই’
ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে হলে নায়িকাদের খোলামেলা পোশাক, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়—এটা ইন্ডাস্ট্রির অলিখিত ‘নিয়ম’! যদিও টলিউড অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য, শ্রুতি দাস খোলামোলা পোশাক পরবেন না বলেছেন। তাহলে স্বস্তিকা কী করবেন?
জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “মিমি চক্রবর্তীকে ‘রক্তবীজ টু’ সিনেমায় বিকিনিতে দেখেছেন। নিজেকে তৈরি করে তবেই এই দৃশ্যে অভিনয়ে রাজি হয়েছেন মিমিদি। আমিও এটাই করব।”
স্বস্তিকা আগে খোলামেলা পোশাকের জন্য শরীর গড়বেন। চিত্রনাট্যে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের কতটা প্রয়োজন, সেটা আগে বুঝবেন; তারপর রাজি হওয়ার কথা ভাববেন বলেও জানান স্বস্তিকা।
অরিত্র মুখার্জি পরিচালিত ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের পরই ত্রিকোণ প্রেমের সিরিজ ‘খুঁজেছি তোকে রাত বেরাতে’-তে যুক্ত হন স্বস্তিকা। তার বিপরীতে দুই নায়ক গৌরব চক্রবর্তী, অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। বিশ্বকর্মা পূজার আগের দিন থেকে শুটিং শুরু করবেন বলেও জানান এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র স বস ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’