আস্থা রাখতে চাই, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে: টুকু
Published: 18th, September 2025 GMT
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। নির্বাচনে প্রত্যেক জায়গায় বিএনপি বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হবে। সরকার ঘোষণা দিয়েছে, রোজার আগেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে। জনগণ আশা করে, সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। আমরা আস্থা রাখতে চাই, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদরের ঘারিন্দা এলাকায় উপজেলা বিএনপির মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ কিন্তু পিআর পদ্ধতি বোঝে না। মানুষ আগে যেভাবে ভোট দিয়েছে এবং যে পদ্ধতিতে মানুষ অভ্যস্ত, সেই প্রদ্ধতিতে ভোট দেবে মানুষ। পিআর প্রদ্ধতি বলে তারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। সেজন্য তারা ভিন্ন পথে যড়যন্ত্র করতে চায়। কাজেই যারা পিআর পদ্ধতি কথা বলে, তারা নির্বাচনের বিপক্ষে বলে আমি মনে করি।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন— জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক প্রমুখ।
ঢাকা/কাওছার/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র প আর প
এছাড়াও পড়ুন:
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’
কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে