মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদে শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভেলা প্রতিযোগিতা। ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে নদীর দুই তীরে হাজারো দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

শনিবার বিকেলের পর থেকেই আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে দলে দলে মানুষ ভেলা প্রতিযোগিতা দেখতে আসেন। নদীপাড়ে যেন তিল ধারণের জায়গা ছিল না। দর্শনার্থীদের করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে নৌকাবাইচ দেখতে হাজারো দর্শনার্থীর ভীড়

গাইবান্ধায় ২ দিনব্যাপী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু

২০ জন প্রতিযোগী কলা গাছের তৈরি ভেলা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এদের মধ্যে ইয়াসিন সরদার প্রথম, জাফর বেপারী দ্বিতীয় ও রাশেদ শেখ তৃতীয় স্থান লাভ করেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর বর্ষা শেষে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। তবে এই আয়োজন ব্যাতিক্রম। এখানে ভেলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি এখন ধুরাইলসহ আশপাশের এলাকাবাসীর এক আনন্দ উৎসবে পরিণত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ। তিনি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এ সময় তিনি বলেন, “গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ ধরনের আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু বিনোদন নয়, ঐক্য ও সম্প্রীতির প্রতীকও বটে।”

ঢাকা/বেলাল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা পেলেন ১০ জন

স্কুলের আদলে সাজানো মঞ্চ। সেখানে ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন রকমের খেলাধুলা করছে। সেদিকে এগিয়ে এলেন একজন। তিনি ওই বিদ্যালয়ের নতুন প্রধান শিক্ষক। উপস্থিত দর্শকদের একজনের কাছে তিনি জানতে চাইলেন, উচ্ছ্বাসে আলোর পাঠশালা কোথায়? দর্শক মঞ্চের দিকে দেখিয়ে দেন। তখন খেলায় ব্যস্ত শিশুদের কাছে যান নতুন প্রধান শিক্ষক এবং তাদের কাছে জানতে চান, প্রধান শিক্ষকের কক্ষ কোথায়? একজন শিশু ওই শিক্ষককে নিয়ে মঞ্চের পেছন দিকে চলে যান।

খানিক পরেই সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন মঞ্চে আসেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রিয় শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে যিনি এসেছেন, তিনি আমাদের “উচ্ছ্বাসে আলোর পাঠশালার” নতুন প্রধান শিক্ষক। আজকের অ্যাসেম্বলিতে (প্রাত্যহিক সমাবেশ) আমরা তাঁকে বরণ করে নেব।’ তখন লাইন ধরে শিশুরা দাঁড়িয়ে যায়, যেন স্কুলে অ্যাসেম্বলি হচ্ছে। বেজে ওঠে জাতীয় সংগীত।

‘আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা ২০২৫’ অনুষ্ঠানে এমনই এক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিল। যা কিছুক্ষণের জন্য ছোটবেলার স্কুলের কথাই মনে করিয়ে দিল উপস্থিত সবাইকে। বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আগের দিন আজ শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মানুষ গড়ার কারিগর সাতজন প্রিয় শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষককে দেওয়া হয় মরণোত্তর সম্মাননা।

জীবনে একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠার পথে শিক্ষকের ভূমিকা অসামান্য। জ্ঞানের আলো ছড়ানোর পাশাপাশি তাঁরাই শেখান নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও মানবিকতা। এই গুরুজনদের মধ্যেও কিছু শিক্ষক থেকে যান হৃদয়ের একেবারে কাছাকাছি। তাঁদের পাঠদানের ধরন, স্নেহ-ভালোবাসা, আদর্শ ও দিকনির্দেশনা প্রত্যেকের মনে গভীর দাগ কাটে। তাঁরা হয়ে ওঠেন আমাদের ‘প্রিয় শিক্ষক’—যাঁদের আদর্শ আজও আমাদের পথচলার অনুপ্রেরণা। এমন শিক্ষকদের পাঁচ বছর ধরে সম্মাননা দিয়ে আসছে যৌথভাবে প্রথম আলো এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি। এবার পঞ্চমবারের মতো আয়োজন করা হয় এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের। এর আগে ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৪০ জন প্রিয় শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়া হয়।

চলতি বছরের প্রিয় শিক্ষক সম্মাননার মনোনয়ন গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয় গত ১৭ জুন। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৬৬২ জন শিক্ষকের জন্য মনোনয়ন জমা পড়ে। এর মধ্যে প্রাথমিকের ৪৭২ জন এবং মাধ্যমিকের ২ হাজার ১৯০ জন শিক্ষক। তাঁদের মধ্য থেকে বিচারকমণ্ডলী প্রিয় সাতজন শিক্ষককে সম্মাননার জন্য বাছাই করেন। আর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী, মাহফুজা খাতুন ও মাসুকা বেগমকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এবার সম্মাননা পাওয়া সাত শিক্ষক হলেন গোপালগঞ্জের বীণাপাণি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আজমীরা খানম, দিনাজপুরের সুব্রত খাজাঞ্চী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলিনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন, ঝিনাইদহের পৌর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মোছা. শাহানাজ পারভীন, কুমিল্লার গণউদ্যোগ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ রনজিৎ চন্দ্র দাশ, বাগেরহাট মোবাইদুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মনিরুজ্জামান। তাঁরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সম্মাননা গ্রহণ করেন।

সম্মাননাপ্রাপ্ত সাত গুণী শিক্ষকের প্রত্যেকের হাতে সম্মাননা হিসেবে দেওয়া হয় ক্রেস্ট, উত্তরীয়, সনদ এবং এক লাখ টাকার চেক।

মরণোত্তর সম্মাননা পাওয়া তিন শিক্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে যথাক্রমে মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মো. মনসুর হেলাল, মাহফুজা খাতুনের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা ওশিন এবং মাসুকা বেগমের বড় বোন পাপড়ি রহমান সম্মাননা গ্রহণ করেন। এই শিক্ষকদের প্রত্যেকের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট এবং দেড় লাখ টাকার চেক।

অনুষ্ঠানে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরা হয়। সেখানে তাঁদের বক্তব্যও তুলে ধরা হয়। একেকজন শিক্ষক কেবল পড়াশোনাই নয়, শিক্ষার্থীদের জীবন গড়তে কীভাবে সহায়তা করেন, সেসব কথাও উঠে আসে ভিডিও চিত্রে।

জুরিবোর্ডের সভাপতি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান। সদস্য ছিলেন বাগেরহাট কাড়াপাড়া শরৎচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং ২০১৯ সালে প্রিয় শিক্ষক সম্মাননাপ্রাপ্ত মো. আসাদুল কবির, ঢাকার ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ফ্লোরেন্স গমেজ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান (তুহিন ওয়াদুদ) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম।

যা বললেন অতিথিরা

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ; সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি প্রত্যেকে যে যা হতে পেরেছেন, তার পেছনে শিক্ষকদের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

শিক্ষকদের বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, শিক্ষকদের মর্যাদা ও সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার একটি অগ্রাধিকার হিসেবে স্থির করেছে। এরই মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক আরও ১৩ থেকে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ (শূন্য পদ বিবেচনা করে) করা হবে। কলেজ ও অন্যান্য স্তরে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে যাতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করা যায়, সে জন্য তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, শিক্ষকদের জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়। কিন্তু সেই মেরুদণ্ডই অনেক সময় সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না। কারণ, শিক্ষকদের সেই সম্মান দেওয়া হয় না।

সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা তুলনামূলকভাবে সুবিধাবঞ্চিত হয়েও কীভাবে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে, সেই কথা তুলে ধরেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ।

স্বাগত বক্তব্যে আইপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, ‘আজ আমাদের প্রিয় শিক্ষকদের সম্মাননা জানাচ্ছি। তবে এটি শুধু সম্মাননা নয়, আজ তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে এসেছি। টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে শিক্ষককের অবদান সবচেয়ে বেশি। আর এটি শুরু হয় পাঠশালা থেকে।’ তিনি জানান, প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা উপলক্ষে শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ঋণসেবা ‘প্রজ্ঞা’ চালু করেছেন তাঁরা। এই সেবার মাধ্যমে শিক্ষকেরা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারবেন।

সাবেক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শিক্ষকদের সম্মাননা জানানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ম. তামিম। তিনি বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের সঠিক মূল্যায়ন করতে না পারলে জাতির মেরুদণ্ড কখনো সোজা হবে না।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহ–উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হাসিব চৌধুরী শিক্ষকদের সম্মাননা জানানোর জন্য বছরের কোনো একটা দিন ‘স্কুলশিক্ষক দিবস’ পালনের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রব বলেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এক বা একাধিক শিক্ষক এ রকম সম্মাননা পাওয়ার যোগ্য।

অনুষ্ঠানে জুরিবোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘মনে হচ্ছিল সব শিক্ষককেই সম্মাননা দিই।’

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মরণোত্তর সম্মাননা পাওয়া তিনজন শিক্ষককে বিশেষভাবে স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যে তথ্যে বিশ্বাস করি, যত যাই কিছু হোক না কেন আমরা সত্য প্রকাশে কাজ করে যাব। প্রথম আলোর একটাই লক্ষ্য, আমরা সব জায়গায় বাংলাদেশের বিজয়, সফলতা দেখতে চাই।’

অনুষ্ঠানে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, আইপিডিসির পরিচালক সাব্বির আহমেদসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

অনুষ্ঠানে ‘একদিন ছুটি হবে...’ গানের ওপর মিউজিক্যাল থিয়েটার পরিবেশন করেন সহজপাঠ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকেরা। ‘মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই...’ গানটি যৌথভাবে পরিবেশন করেন শিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা ও কিশোর দাস।

অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, যুব কার্যক্রম ও ইভেন্টের প্রধান মুনির হাসান এবং প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা। বিদ্যালয়ের ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান, শেষও হয় ঘণ্টা বাজিয়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ