অশ্লীল ভিডিও কাণ্ডে সেই প্রধান শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার
Published: 16th, November 2025 GMT
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা এইস বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দাবি ঐ প্রধান শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে, তা না হলে লাগাতার আন্দোলন চলবে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে হাড়াভাঙ্গা এইস বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করেন।
স্থানীয়রা বলেন, একজন প্রধান শিক্ষকের চরিত্র যদি এমন হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষাটা পাবে কোথায়? আর এই ভিডিও যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, তখন তো ওই প্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষার্থীরা দেখছে। ঐ শিক্ষকের লজ্জা শরম যদি থাকে, তাহলে কখনই ওই স্কুলে প্রবেশ করবে না।
তারা বলেন, তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আরো কঠিন আন্দোলনে যাব। এমন অসভ্য নোংরা মানুষ কখনই শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তাই তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই। শিক্ষক রাজু আহমেদের ছেলে এই প্রতিষ্ঠানে দশম শ্রেণিতে পড়ে। সেই প্রধান শিক্ষকই তার ছেলের বান্ধবীর সাথে এ জঘন্য কাজ করেছে!
স্থানীয় মনিরুজ্জামান সেন্টু বলেন, “এই শিক্ষক যদি বিদ্যালয় থাকে, তাহলে নতুন কোন ছাত্র-ছাত্রী আর এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে না। তাই আমরা সাময়িক নয়, স্থায়ী বহিষ্কার চাই। তাছাড়া এই শিক্ষক চাকরি করার কোন যোগ্যতা রাখে না। এটা আমাদের প্রতিষ্ঠান। আমরা এই শিক্ষককে আর এখানে দেখতে চাই না।”
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন খাতুন বলেন, “প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ এর আগে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সাথে এরকম অনৈতিক ঘটনা ঘটিয়েছিল। আমরা প্রমাণের অভাবে তাকে কিছু করতে পারিনি। এবার সে দশম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে যে অনৈতিক কাজ করেছে, তার প্রমাণ পেয়েছি। আমরা হেডমাস্টারের বিচারের পাশাপাশি দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীরও বিচার চাই। ওই ছাত্রীও দোষী।”
হাড়াভাঙ্গা এইস বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামশেদ আলী বলেন, “ঐ শিক্ষক ছাত্রীর সাথে যে অনৈতিক কাজ করেছেন, আমরা চাই এটার বিচার হোক। আমাদের অনেক কষ্টে গড়া এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একজন শিক্ষকের জন্য এটা নষ্ট হয়ে যাবে, এটা কখনই আমরা হতে দেব না।”
এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো.
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, “হাড়াভাঙ্গা এইস বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভিডিও আমরা দেখেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লিখিত অভিযোগটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে।”
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন বলেন, “এরইমধ্যে আমরা বিষয়টি জেনেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ ও দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর একটি অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে পুরো গাংনীতে তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় লজ্জায় পড়ে যান পুরো শিক্ষক সমাজ।
ঢাকা/ফারুক/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দশম শ র ণ এই শ ক ষ অন ত ক আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
অশ্লীল ভিডিও কাণ্ডে সেই প্রধান শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা এইস বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দাবি ঐ প্রধান শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে, তা না হলে লাগাতার আন্দোলন চলবে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে হাড়াভাঙ্গা এইস বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করেন।
স্থানীয়রা বলেন, একজন প্রধান শিক্ষকের চরিত্র যদি এমন হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষাটা পাবে কোথায়? আর এই ভিডিও যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, তখন তো ওই প্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষার্থীরা দেখছে। ঐ শিক্ষকের লজ্জা শরম যদি থাকে, তাহলে কখনই ওই স্কুলে প্রবেশ করবে না।
তারা বলেন, তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আরো কঠিন আন্দোলনে যাব। এমন অসভ্য নোংরা মানুষ কখনই শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তাই তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই। শিক্ষক রাজু আহমেদের ছেলে এই প্রতিষ্ঠানে দশম শ্রেণিতে পড়ে। সেই প্রধান শিক্ষকই তার ছেলের বান্ধবীর সাথে এ জঘন্য কাজ করেছে!
স্থানীয় মনিরুজ্জামান সেন্টু বলেন, “এই শিক্ষক যদি বিদ্যালয় থাকে, তাহলে নতুন কোন ছাত্র-ছাত্রী আর এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে না। তাই আমরা সাময়িক নয়, স্থায়ী বহিষ্কার চাই। তাছাড়া এই শিক্ষক চাকরি করার কোন যোগ্যতা রাখে না। এটা আমাদের প্রতিষ্ঠান। আমরা এই শিক্ষককে আর এখানে দেখতে চাই না।”
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন খাতুন বলেন, “প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ এর আগে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সাথে এরকম অনৈতিক ঘটনা ঘটিয়েছিল। আমরা প্রমাণের অভাবে তাকে কিছু করতে পারিনি। এবার সে দশম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে যে অনৈতিক কাজ করেছে, তার প্রমাণ পেয়েছি। আমরা হেডমাস্টারের বিচারের পাশাপাশি দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীরও বিচার চাই। ওই ছাত্রীও দোষী।”
হাড়াভাঙ্গা এইস বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামশেদ আলী বলেন, “ঐ শিক্ষক ছাত্রীর সাথে যে অনৈতিক কাজ করেছেন, আমরা চাই এটার বিচার হোক। আমাদের অনেক কষ্টে গড়া এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একজন শিক্ষকের জন্য এটা নষ্ট হয়ে যাবে, এটা কখনই আমরা হতে দেব না।”
এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. মকলেছুর রহমান বলেন, “হাড়াভাঙ্গা এইসবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে এক ছাত্রীর যে অনৈতিক ঘটনা ঘটে গেছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বসে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সরকারি বিধি মোতাবেক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এছাড়া এ ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থী অভিভাব ও স্থানীয়রা খুব ক্ষুব্ধ রয়েছেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, “হাড়াভাঙ্গা এইস বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভিডিও আমরা দেখেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লিখিত অভিযোগটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে।”
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন বলেন, “এরইমধ্যে আমরা বিষয়টি জেনেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ ও দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর একটি অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে পুরো গাংনীতে তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় লজ্জায় পড়ে যান পুরো শিক্ষক সমাজ।
ঢাকা/ফারুক/এস