আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে তরুণী খুন
Published: 6th, October 2025 GMT
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে শরীফা আক্তার (২৮) নামের এক তরুণী খুন হয়েছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে ওই তরুণীকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
আরো পড়ুন:
ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল মালয়েশিয়া প্রবাসী
যশোরে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে নারী খুন
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার দেওথান গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে শরীফা আক্তার ১০ বছর আগে ধর্মপাশা উপজেলার বাসিন্দা আক্তার হোসেনকে বিয়ে করেন। তাদের সাড়ে তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। দাম্পত্য কলহের জের ধরে ছয় মাস আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পরে আক্তার হোসেন তার মেয়েকে নিজের হেফাজতে নেওয়ার দাবিতে আদালতে মামলা করেন। আজ মামলার হাজিরার দিন ছিল। হাজিরা দিতে এসে মেয়েকে নিজের কাছে রাখা নিয়ে আক্তার ও শরীফার মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। উত্তেজিত হয়ে আদালত প্রাঙ্গণে শরীফাকে ছুরিকাঘাত করেন সাবেক স্বামী আক্তার হোসেন। পালিয়ে যেতে চাইলে সেখানে উপস্থিত লোকজন তাকে আটক করেন।
আহত শরীফা আক্তারকে প্রথমে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেছেন, ছয় মাস আগে আক্তার ও শরীফার ছাড়াছাড়ি হয়েছে। আজ তারা আদালতে এসেছিলেন। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আক্তার তার সাবেক স্ত্রী শরীফাকে পিছন দিক থেকে কোমরের ওপর ছুরিকাঘাত করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীফার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে আদালতে উপস্থিত ব্যক্তিরা আক্তার হোসেন আটক করে পুলিশের হেফাজতে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/মনোয়ার/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে মুরগি খুঁজতে প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়া নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রতিবেশীর বাড়িতে মুরগি খুঁজতে গিয়ে মোছা. রৌশনারা বেগম (৫০) নামের এক নারী হত্যার শিকার হয়েছেন। দা দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খৈরাটি গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারী গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের স্ত্রী।
নিহত নারীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রৌশনারার পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী মোস্তুফা মিয়ার পরিবারের পূর্ববিরোধ ছিল। এই অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় রৌশনারা বেগমের একটি মুরগি মোস্তুফাদের বাড়িতে যায়। এরপর মুরগি খুঁজতে সেখানে গেলে মোস্তুফা ও তাঁর মা সালেমা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোস্তুফার ছোট ছেলে সাখাওয়াত হোসেন দা হাতে দৌড়ে এসে রৌশনারা বেগমের ঘাড়ে কোপ দেন বলে অভিযোগ। এ সময় চিৎকার দিয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রৌশনারা বেগম। স্থানীয় ব্যক্তিরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নারীর পুত্রবধূ হাফসা আক্তার বলেন, সন্ধ্যা হয়ে গেলে একটি মুরগি ঘরে না আসায় তাঁর শাশুড়ি এদিক–সেদিক খুঁজছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী এক চাচি এসে জানান, মোস্তুফাদের ঘরের পেছনে কলাগাছের পাশে মুরগি বসে আছে। এরপর রৌশনারা মুরগি আনতে গেলে মোস্তুফার ছেলে সাখাওয়াত দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। তিনি এই হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার হারুয়া ও শিমুলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন (২১), তাঁর বাবা মোস্তুফা মিয়া (৪৮) ও বড় ভাই সাজ্জাদ হোসেনকে (২৪) আটক করে। আটকের তথ্য নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা বঁটি ও লাঠি আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।