ক্যামেরার সারি তাক করা তাঁর দিকে, সামনে অপেক্ষায় মাইক্রোফোন। বিসিবির নতুন সভাপতি হয়ে কী বলবেন আমিনুল ইসলাম, সবার কৌতূহল তা নিয়ে। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক শুরুই করলেন সৌহার্দ্যের কথা বলে। উদাহরণ দিতে তাঁর পাশে বসা ফারুক আহমেদের দিকে তাকিয়ে বললেন একটু আগেই বোর্ড সভায় হওয়া সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচনের কথা।

সেখানে সভাপতি হিসেবে আমিনুলের নাম প্রস্তাব করেছেন ফারুক, আবার সহসভাপতি হিসেবে ফারুকের নাম প্রস্তাব করেছেন আমিনুল। দুজনই নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে ফারুককে সরিয়ে দিয়েই আমিনুলকে বসানো হয়েছিল বিসিবি সভাপতির চেয়ারে। উদাহরণটা হয়তো টানা সে কারণেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত অপর সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন।

আমিনুল যতই সৌহার্দ্যের কথা বলুন, তিনি যে নির্বাচন পার করে গতকাল সভাপতি হিসেবে নতুন করে দায়িত্ব নিয়েছেন, সেটি ছিল বিতর্কিত। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘটনা, কাদা–ছোড়াছুড়ি—নির্বাচন আয়োজনের পথে অনেকের সঙ্গেই সৌহার্দ্যের সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে অনেকের। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা সংগঠকেরা শুধু নির্বাচন বর্জন করেই থামেননি, আমিনুলদের ভবিষ্যৎ পথটাও কঠিন করার আভাস দিয়ে রেখেছেন কেউ কেউ।

সভাপতি হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে আমিনুল ইসলাম ও অন্যরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম ন ল

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম চেম্বারের বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, বাদ পড়লেন ৮ জন

চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচনের বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন বোর্ড। আজ রোববার এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে মোট ৬৩ জন বৈধ প্রার্থী হয়েছেন। তার মধ্যে সাধারণ শ্রেণিতে ৪১ জন, সহযোগী শ্রেণিতে ১৬ জন, টাউন অ্যাসোসিয়েশনে ৩ জন এবং ট্রেড গ্রুপে ৩ জনের প্রার্থিতা বৈধ হয়েছে। যদিও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মোট ৭১ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্য থেকে ঋণখেলাপিসহ নানা বিবেচনায় বাদ পড়েছেন ৮ জন প্রার্থী।

এদিকে বৈধ তালিকা প্রকাশের পর এবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্যানেল বা দল গোছাতে শুরু করেছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে ঋণ খেলাপের কারণে এক দলনেতা বাদ পড়ায় আলোচনায় আছে দুটি প্যানেল। চলতি সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত প্যানেল ঘোষণা হতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সহকারী সচিব মোহাম্মদ তারেক জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বাছাইয়ে ৩৫ জন প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন। তাঁদের মধ্য থেকে ২৭ জন রিভিউর জন্য আবেদন করলে চূড়ান্তভাবে তাঁরা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, আগামী বুধবার বেলা একটা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। একই দিন বেলা ৩টায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।

এক দলনেতাসহ ৮ জন বাদ

এবারের নির্বাচনে দলনেতা হিসেবে আলোচনায় ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার ও দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমিরুল হক, পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি এস এম নুরুল হক এবং বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) সভাপতি আমজাদ হোসেন চৌধুরী। আজ প্রকাশ হওয়া বৈধ প্রার্থীর তালিকায় আমজাদ হোসেন চৌধুরীর নাম নেই। এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ হওয়া প্রাথমিক তালিকাতেও তাঁর নাম ছিল না।

নির্বাচন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ঋণ খেলাপের জন্য ও পুলিশের ছাড়পত্রের মূল সনদ না থাকায় তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে আমজাদ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ ছাড়া বৈধ তালিকা থেকে বাদ পড়া অন্য সাত প্রার্থী হলেন নেমসান কন্টেইনারের প্রতিনিধি শাহ নেওয়াজ মো. আলী চৌধুরী, নিয়ালকো অ্যালয়সের প্রতিনিধি গাজী মোকাররম আলী চৌধুরী, অ্যাকর্ড হোল্ডিংসের প্রতিনিধি শাহজাহান মো. মহিউদ্দিন, মিল্টন ডেকোরেটরসের সিয়াজদুল আলম চৌধুরী, গ্রিন ওয়ার্ল্ড ইমপেক্সের মাহবুব রানা, ইমপালস ট্রেডিংয়ের মো. সেলিম উল্লাহ এবং জেডএআর ট্রেডের মো. জাহিদুল হাসান।

প্যানেলে ‘গোছাতে’ মনোযোগ

নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার এস এম নুরুল হকের প্যানেল থেকে ১৮ পদের বিপরীতে ২৩ জন এবং আমিরুল হকের প্যানেল থেকে ৩৬ জন মনোনয়ন জমা দেন। বৈধ তালিকায় আমিরুল হকের প্যানেল থেকে কেউ বাদ যাননি। তবে নুরুল হকের প্যানেল থেকে একজন বাদ পড়েছেন বলে জানা গেছে।

প্যানেল ঘোষণা নিয়ে কথা হয় দুই প্যানেল দলনেতা এস এম নুরুল হক ও আমিরুল হকের সঙ্গে। দুজনই জানিয়েছেন আগ্রহী প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা পর চলতি সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকবাবে প্যানেল ঘোষণা করা হতে পারে।

আনুষ্ঠানিকভাবে প্যানেল ঘোষণা না হলেও আমিরুল হকের অঘোষিত প্যানেল থেকে আগ্রহী বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পিএইচপি মোটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখতার পারভেজ, মেরিডিয়ান ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম কামাল, আটলান্টিক ট্রেডার্সের কর্ণধার শওকত আলী, ওয়াইএনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তওসিফ আহমেদ, ইস্টার্ন অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

অন্যদিকে এস এম নুরুল হকের প্যানেলে চট্টগ্রামের পরিচিত ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছেন পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ টি এম রেজাউল করিম, শাহ আমানত করপোরেশনের কর্ণধার আহমদুল আলম চৌধুরী, ডায়মন্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজুল হক, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহমদ রশিদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমিনুলই আবার বিসিবি সভাপতি, সহসভাপতি কারা
  • ভোট দেননি তামিম
  • বিসিবিতে নতুন ‘সংকট’: কে হবেন দ্বিতীয় সহসভাপতি
  • বিসিবিতে নতুন ‘সংকট’, কে হবেন দ্বিতীয় সহসভাপতি
  • ‘সমালোচনা মাথায়’ নিয়েই বিসিবি নির্বাচন আজ
  • বিসিবির একপেশে নির্বাচনে সভাপতি হচ্ছেন কে
  • চট্টগ্রাম চেম্বারের বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, বাদ পড়লেন ৮ জন
  • ‘রাতের ভোটকেও হার মানিয়ে ফেলেছে’ বলে বিসিবির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন রেদুয়ান
  • বিসিবি নির্বাচনে নোংরামি: তিন দাবি না মানা হলে ক্রিকেট বর্জন