ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলায় ঘাড়ের পেছনে ব্যথা অনুভব করে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া শুভমন গিলকে আর চলমান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের বাকি অংশে দেখা যাবে না। রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিসিসিআই।

বিবৃতিতে বলা হয়, “দিনের খেলা শেষে গিলকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি এখনো চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। তিনি এই টেস্টে আর অংশ নেবেন না। বিসিসিআই মেডিকেল টিম তার পরিস্থিতি নজরে রাখবে।”

আরো পড়ুন:

নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান

বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন মিথুন মানহাস

শনিবার রাতেই মূলত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে গিলের এই টেস্টে ফেরা কঠিন। জানা যায়, ঘাড়ে টান লাগায় সতর্কতা হিসেবে তাকে স্ট্রেচারে করে মাঠ থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাকে ঘাড়ে নেক ব্রেস পরা অবস্থায় দেখা যায়; সঙ্গে ছিলেন দলের চিকিৎসক।

ইনিংস শুরুর তিন বলের মাথায়ই ব্যথা টের পান গিল। সাইমন হার্মারের বলে সুইপ করে চার মেরে ইনিংস শুরু করলেও সঙ্গে সঙ্গেই ঘাড় চেপে ধরে ফিজিও ডাকেন। এরপর দ্রুতই মাঠ ছাড়েন এবং আর নামেননি। ভারত ১৮৯ রানে অলআউট হলেও তিনি ব্যাট করতে ফেরেননি।

তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগেও সম্প্রচারক ক্যামেরায় দেখা যায়, কোচিং স্টাফ ও মেডিকেল টিমের সদস্যের সামনে ঘাড়ের ব্যায়াম করছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অক্টোবরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও ঘাড়ের শক্তভাবের কারণে একটি টেস্ট মিস করেছিলেন গিল।

এ প্রসঙ্গে ভারতীয় বোলিং কোচ মর্নে মর্কেল বলেন, এটি “দুর্ভাগ্যজনক” হলেও খুব বড় কোনো শঙ্কা নেই।

মর্কেলের ভাষায়, “গিল খুবই ফিট একজন ক্রিকেটার। নিজের যত্নটা দারুণভাবে নেয়। দুর্ভাগ্যক্রমে আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে তার ঘাড় শক্ত হয়ে যায়। আর সেটাই দিনজুড়ে তাকে ভুগিয়েছে। আমরা তার ওপর ভর করে আরেকটা ভালো পার্টনারশিপ আশা করছিলাম। কিন্তু সময়টা আমাদের জন্য খুবই খারাপ হলো।”

গিলের অনুপস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে দলের নেতৃত্ব দেন রিশভ পন্ত।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স স আই

এছাড়াও পড়ুন:

এইচএসসিতে পুনর্নিরীক্ষণে জিপিএ-৫ পেলেন আরও ৩২ জন

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩২ জন পরীক্ষার্থী। আর ফেল থেকে পাস করেছেন ৩৯৩ জন পরীক্ষার্থী। চট্টগ্রাম বোর্ডের পরীক্ষা শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আজ রোববার সকালে পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানান, এবার ২৮ হাজার ৩৪১ জন শিক্ষার্থী ১ লাখ ১০ হাজার ২২৯টি উত্তরপত্রের ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ১ হাজার ২৩৬ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।

চট্টগ্রাম বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী বলেন, নতুন করে ৩২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। একাধিক বিষয়ে নম্বর পরিবর্তন হয়েছে এমন শিক্ষার্থী ১০ জন। কেউ দুই বিষয়ে, কেউ চার বিষয়ে উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছিলেন। অনেকের এক বিষয়ে গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে, তবে সার্বিক ফলাফল ফেল থেকে গেছে।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৫২ দশমিক ৫৭। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭ জন। পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৩ হাজার ৫৬০ জন। সব মিলিয়ে এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ২ হাজার ৯৭০ জন। নতুন ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ৬ হাজার ১২৯ জন। পাস করেছেন ৫৪ হাজার ৭৯৬ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ