বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে জার্মানির রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
Published: 7th, October 2025 GMT
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “বাংলাদেশ এবং জার্মানির মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক জোরদার করতে উভয় দেশের বাণিজ্যকে বহুমুখী করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে উভয় দেশের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।”
তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে জার্মানি বাংলাদেশি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, যা আমাদের মোট রপ্তানি আয়ের ১০.
এ সময় উপদেষ্টা জার্মানির আমদানিকারকদের প্রতি আরো বেশি পরিমাণে এদেশের তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, পাদুকা, সাইকেল এবং চামড়াজাত পণ্য আমদানির আহ্বান জানান।
জার্মানির রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ বলেন, “বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে জার্মানি একসাথে কাজ করতে আগ্রহী। অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাণিজ্য বহুমূখীকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তার দেশ বাংলাদেশের সাথে চলমান কার্যক্রম গতিশীল রাখবে।”
এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিরও প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জার্মানিতে ৪৮৫০.৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং আমদানি পরিশোধ করেছে ৯৪০.৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন এনজা ক্রিস্টেন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ণ জ য উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে চালু হচ্ছে রিটেইল চেইন শপ আলফামার্ট
বাংলাদেশের আধুনিক খুচরা বিক্রয় খাতে শুরু হতে যাচ্ছে আরও একটি নতুন যুগ। এবার ‘আলফামার্ট ট্রেডিং বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটি খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে ব্যবসা শুরু করছে। এটি ইন্দোনেশিয়া ও জাপানের যৌথ বিনিয়োগে গঠিত কোম্পানি। বাংলাদেশে এ প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হিসেবে রয়েছে হাঁস-মুরগি ও হিমায়িত খাদ্য বাজারজাতকারী শিল্পগোষ্ঠী কাজী ফার্মস গ্রুপ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আলফামার্ট ট্রেডিং বাংলাদেশ লিমিটেডের আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটির প্রথম ধাপে ৫ কোটি মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ থাকবে, যা দেশি মুদ্রায় ৬১০ কোটি টাকার মতো (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৭ কোটি ডলার (প্রায় ৮৫৪ কোটি টাকা) বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। দুটো মিলিয়ে আলফামার্টে মোট ১২ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। এ বিনিয়োগের বড় অংশ আসবে বিদেশ থেকে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যৌথ উদ্যোগের অংশীদারদের মধ্যে একটি আলফামার্ট, যা বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে প্রায় ৩০ হাজার স্টোর পরিচালনা করছে। আরেক অংশীদার মিৎসুবিশি করপোরেশনের রিটেইল শপ ‘সোগো শোশা’, যারা জাপান ও ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৭ হাজার স্টোর পরিচালনা করে। ইউনিক্লোসহ আরও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক রিটেইল চেইনেও তাদের বিনিয়োগ রয়েছে।
এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবহার করা হবে সর্বাধুনিক রিটেইল প্রযুক্তি। স্থানীয় ভোগ্যপণ্য উৎপাদকদের মধ্যে দ্রুত বিতরণের জন্য তারা গড়ে তুলবে একটি নতুন ডিস্ট্রিবিউশন বা বিতরণ নেটওয়ার্ক।
আলফামার্ট ট্রেডিং বাংলাদেশের প্রাথমিক বিনিয়োগ দিয়ে সারা দেশে আধুনিক পণ্যভান্ডার (ওয়্যারহাউস) ও বিতরণকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি অল্প সময়ের মধ্যেই কয়েক হাজার দোকান চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। এতে দেশের খুচরা ব্যবসায়ে নতুন কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কাজী ফার্মস গ্রুপের পরিচালক কাজী জাহিন হাসান বলেন, ‘আলফামার্টের মাধ্যমে আমরা ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করব।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আরও বক্তব্য দেন আলফামার্ট গ্রুপ ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি বুদিয়ান্ত জোকো সুশান্ত, জাপানের মিত্সুবিশি করপোরেশনের প্রতিনিধি হিরোশি ওয়েগাকি, আলফামার্ট বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রাণ–আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে কাজী ফার্মসের ডিম ১০ লাখ দোকানে বিক্রি হয়। দেশের মানুষকে কম খরচে ডিম খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে কাজী ফার্মস। আশা করি, নতুন এ বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’