আর্থিক সংকটে থাকা পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে একটি ব্যাংক গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রস্তাবিত দুটি নাম হলো: ইউনাইটেড ইসলামিক ব্যাংক ও সম্মিলিত ইসলামিক ব্যাংক। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, এতে কেউ চাকরি বা আমানত হারাবেন না। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে চুরির অভিযোগে কিশোরের মাথার চুল কেটে দিয়ে পিটুনি

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের মাথার চুল কেটে পিটুনি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার রুদ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মধ্যস্থতায় ওই কিশোরকে তার বাবার হেফাজতে দেওয়া হয়।

নির্যাতনের শিকার কিশোরের বাড়ি কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার রুদ্রপুর গ্রামে। ওই কিশোরের বয়স যখন চার মাস, তখন বাবার সংসার ছেড়ে চলে যান তার মা। পরে বাবা আরেকটি বিয়ে করলে কিশোর দাদা-দাদির হেফাজতে বড় হচ্ছে।

কোটচাঁদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত আলী বলেন, দুপুরে ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে ওই ছেলেকে থানায় নিয়ে আসা হয়। রুদ্রপুর গ্রামের দুলালের বাড়িতে চুরি সন্দেহে তাকে ধরে প্রথমে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। পরে গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটান। দুলাল ওই ছেলের বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। এ জন্য বিকেলে তাকে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের হেফাজতে দেওয়া হয়।

কোটচাঁদপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক মোসা. কোহিনুর খাতুন জানান, যেহেতু ওই ছেলের বিরুদ্ধে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, সে কারণে সন্ধ্যার আগে তার বাবা ও চাচাকে ডেকে তাঁদের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দুপুরে ওই ছেলের মাথার চুল কেটে পিটুনি দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটিকে অনেকে ‘অমানবিক’ বলে প্রতিক্রিয়া দেখান। তবে রুদ্রপুর গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, ওই ছেলের আগে থেকেই চুরির অভ্যাস আছে। ছোটবেলা থেকে পথশিশুর মতো বড় হয়েছে। বিভিন্ন খারাপ সঙ্গে মিশে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। আগেও তার বিরুদ্ধে টাকাপয়সা ও মুঠোফোন চুরির অভিযোগ আছে।

কিশোরের বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ছেলের বয়স যখন চার মাস, তখন তার মা সংসার ছেড়ে চলে যান। ছেলে ধীরে ধীরে বিগড়ে যায়। সে তাঁর কথা শোনে না। এমন স্বভাবের কারণে এক বছর ধরে ছেলের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই। তিনি গরিব মানুষ। পুরোনো একটি রিকশা আছে। সেটা দিয়ে কোনোমতে সংসার চালান। ছেলেকে ভালো কোনো সংশোধনাগারে পাঠাবেন, তেমন আর্থিক সংগতি তাঁর নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ