বসতি মেলায় সাড়া ফেলেছে ওয়ালটন লিফট, এসি
Published: 11th, October 2025 GMT
ঢাকায় আয়োজিত বসতি মেলায় অংশ নিয়েছিলো দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। মেলায় ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ডে তৈরি বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারসমৃদ্ধ লিফট এবং এসি প্রদর্শন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি দুই দিনব্যাপী এ মেলায় গ্রাহক ও দর্শনার্থীদের পক্ষ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। মেলার মাধ্যমে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের।
আরো পড়ুন:
ওয়ালটন বাংলাদেশের গর্বের প্রতিষ্ঠান, বললেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
ওয়ালটন লিফটসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদন প্ল্যান্টস পরিদর্শন করলেন ডেভেলপাররা
বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে গত ৬ ও ৭ অক্টোবর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বসতি মেলা। এতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট এবং ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনসহ বিভিন্ন স্তরের মোট ৩৬টি কোম্পানি অংশ নেয়। মেলায় দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে স্টল স্থাপন করেছিলো ওয়ালটন।
জানা গেছে, মেলার প্রথম দিন ওয়ালটনের স্টল পরিদর্শন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এসময় তিনি দেশের ইলেকট্রনিক্স খাতে ওয়ালটনের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। সেসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো.
ওয়ালটনের স্টল পরিদর্শনকালীন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ডে তৈরি বিশ্বমানের পণ্য প্রস্তুত, বাজারজাত ও রপ্তানি করছে ওয়ালটন। এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বাংলাদেশে এরকম বেশি সংখ্যক আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে একসময় দেশ অনন্য উচ্চতায় উঠবে। ওয়ালটনের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স খাতে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করছে বাংলাদেশ। আমাদের প্রত্যাশা, ওয়ালটন তাদের পণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নেবে।”
মেলায় ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মো. তানভীর রহমান বলেন, “ওয়ালটন এআই, আইওটি বেজড বিশ্বের সর্বাধুনিক ও উদ্ভাবনী টেকনোলজির পরিবেশবান্ধব এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। ওয়ালটন এসির কম্প্রেসরে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর-২৯০ গ্যাস। যা বায়ুমন্ডলে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকর গ্যাসের নিঃসরণ হ্রাস করে ওজোন স্তর সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি ওয়ালটন এসি বিটিইউ স্ট্যান্ডার্ড শতভাগ কুলিং ক্যাপাসিটি নিশ্চিত করবে। ওয়ালটন এসি অর্জন করেছে বিএসটিআইয়ের ৬-স্টার অ্যানাজিং রেটিং সনদ, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী এসি। এ জন্য এসি কেনার সময় অবশ্যই বিএসটিআই কর্তৃক অ্যানার্জি রেটিং দেখে কেনা উচিত।”
তিনি আরো বলেন, “দেশেই আন্তর্জাতিকমানের ব্যাপকমাত্রায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ভিআরএফ (ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেট ফ্লো) এসি উৎপাদন করছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের আছে সোলার হাইব্রিড এসি। ওয়ালটনের এসি রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে সর্বাধুনিক ও উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন চিলার টাইপ কমার্শিয়াল এসি রপ্তানি করেছে ওয়ালটন।”
মেলায় ওয়ালটন লিফটের সিবিও জেনান উল ইসলাম জানান, ওয়ালটন লিফট ম্যানুফ্যাকচারিং প্রজেক্টে কয়েকশত কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে প্রতি সেকেন্ডে ৪ মিটার গতি সম্পন্ন লিফট টেস্টিং টাওয়ার রয়েছে। বর্তমানে বাৎসরিক এক হাজারেরও বেশি ইউনিট লিফট উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ওয়ালটনের। ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণে তৈরি ওয়ালটন লিফট সাশ্রয়ী মূল্যে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে সর্বোচ্চ মানের কাঁচামাল, অত্যাধুনিক মোটর এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে বিশ্বমানের লিফট তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে ওয়ালটনের বিভিন্ন ধরনের লিফট পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে প্যাসেঞ্জার ও কার্গো লিফট, হাইড্রোলিক কার লিফট, হোম, হাসপাতাল ও ক্যাপসুল লিফট। এসব লিফট বাসাবাড়ি, বহুতল বিপণিবিতান, হাসপাতাল ও শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মেলায় প্রযুক্তিপণ্য দিয়ে গ্রাহক-দর্শনার্থীদের বিস্মিত করেছে ওয়ালটন। তাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে ওয়ালটনের নিরাপত্তাঝুঁকিহীন পরিবেশবান্ধব লিফট ও এসিসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য।
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বোলার নয়, বল দেখে খেলতে বললেন মুশতাক
মাঠের ক্রিকেটে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে পরছে বলে মনে করছেন দলের কোচ মুশতাক আহমেদ। নির্দিষ্ট কোন বোলারের বিপক্ষে ভালো করতেই হবে, এজন্য বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করছেন ব্যাটসম্যানরা। বলের মেরিট না বুঝেই এলোমেলো শট খেলছেন। তাতে ডেকে আনছেন নিজের বিপদ৷ বিপদে ফেলছেন দলকেও।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং একেবারেই যাচ্ছেতাই হয়েছে। দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হেরেছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। যেখানে ১৭ রানে ৫ উইকেট নেন রশিদ খান। বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ধ্বংসিয়ে দলকে সিরিজ জেতান রশিদ।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সুখবর দিল বিসিবি
শারমিন-শর্নার ফিফটিতে ২৩৩ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
লেগ স্পিনারকে বাড়তি মনোযোগ দিতে গিয়েই বাংলাদেশ হিতে বিপরীত করেছে বলে মনে করছেন মুশতাক, ‘‘আমার মনে হয় তারা রশিদকে খেলছে, বলকে নয়। সে বলের বড় স্পিনার নয়। কিন্তু সে খুবই অভিজ্ঞ। সে উইকেট শিকারি। তার লাইন এবং লেন্থ খুবই ধারাবাহিক। আমার মনে হয় আমাদের মাঝে মাঝে বল খেলতে হবে, বোলারকে নয়। আমাদের দ্রুত উন্নতি করতে হবে।’’
ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটসম্যানকে মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার, ‘‘যদি তোমার মেজাজ ভালো থাকে, তাহলে তুমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেকোনো বোলারের বিরুদ্ধে খেলতে পারো। রশিদ আফগানিস্তানের হয়ে অনেক বছর ধরেই খুবই সফল, কিন্তু [একই সাথে] বাংলাদেশি ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের জানা উচিত কিভাবে বল খেলতে হয়, বোলারদের নয়।’’
‘‘আমি মনে করি বাস্তবতা হলো আমাদের ব্যাটিং ঠিক করতে হবে। আমাদের খুব দ্রুত এই ধরণের স্পিনারদের খেলার জন্য খুব সক্রিয় হতে হবে। আমি মনে করি যদি আমরা মাঝের ওভারগুলিতে তা করতে পারি, যদি আমরা সেই কন্ডিশনে স্পিন ভালোভাবে খেলা শুরু করতে পারি, তাহলে আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ যেকোনো দলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’’
এ বছর মাঝের ওভারগুলিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স বেশ দুর্বল। তাদের গড় ২১.৮৬, আগের দুই ক্যালেন্ডার বছরে ছিল ৩৫.১০ ছিল। ২১.৮৬ হলো ২০০৭ সালের পর তাদের সর্বনিম্ন গড়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য মুশতাক বলেছেন, ‘‘মাঝের ওভারগুলিতে স্পিনারদের বিরুদ্ধে আপনার আরও ভালো কৌশলি হতে হবে, কীভাবে ভালো বলে সিঙ্গেলস পেতে হয়। যদি আপনি স্ট্রাইক ঘোরাতে পারেন, তাহলে আমার মনে হয় এটি আপনার চেয়ে বোলারদের উপর বেশি চাপ সৃষ্টি করবে। আপনি প্রচুর ডট বল খেলেন এবং তারপরে আপনাকে একটি বড় শট খেলতে হয়, তখনই আপনি উইকেট হারাতে শুরু করেন। একজন স্পিনার হিসেবে আমি জানি যে যারা সহজেই রান করে, সিঙ্গেল এবং ডাবল, তাদের উপর আরও বেশি চাপ পড়ে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল