আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সকলের সহায়তা চেয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের একটি মাস নির্ধারণ করা হয়েছে। দয়া করে আপনারা এই সরকারকে সহায়তা করুন, যেন আমরা নির্বাচনটি ভালোভাবে করে দিয়ে এই দেশকে গণতন্ত্র ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ উপহার দিতে এবং মানুষের মূল্যবোধ ও আর্থিক সক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারি।’’

শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে রাঙামাটির মোনঘর মাঠে আয়োজিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রথম সম্মিলিত জাতীয় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে

রাঙামাটির ৪০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া সামগ্রী বিতরণ

এ সময় উপদেষ্টা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে একদিনের সরকারি ছুটির দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘‘এবার আমরা প্রথমবারের মতো সম্মিলিতভাবে এই জাতীয় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান আয়োজন করলাম। আমি আশা করব, আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এর মাধ্যমে পাহাড় ও সমতলের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় হবে।’’ 

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড.

আ. ফ. ম খালিদ হোসেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন মোনঘরের সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের।

পঞ্চশীল প্রার্থনা শেষে চীবর উৎসর্গ করা হয় এবং অনুষ্ঠানে আগত ভিক্ষু সংঘের হাতে চীবর তুলে দেন অতিথি ও পুণ্যার্থীরা। 
 

ঢাকা/শংকর/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ফিরে এসেছে সবুজ কচ্ছপ

একসময় প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া গ্রিন টার্টল বা সবুজ কচ্ছপ আবারও প্রকৃতিতে ফিরে আসছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, বিলুপ্তির উদ্বেগজনক শ্রেণি থেকে আবারও প্রকৃতিতে ফিরে আসছে এই কচ্ছপ। কয়েক দশক ধরে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার ফলে সবুজ কচ্ছপের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সবুজ কচ্ছপ একসময় অনেক শিকার করা হতো। একসময় এদের মাংস ও আলংকারিক খোলার জন্য ব্যাপক শিকার করা হতো। মারাত্মকভাবে এদের সংখ্যা হ্রাস পায়। কয়েক দশক ধরে সুসংগঠিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টার কারণে এদের আবারও প্রকৃতিতে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি আইইউসিএন রেড লিস্টে সবুজ কচ্ছপকে বিপন্ন ন্যূনতম উদ্বেগজনক অবস্থার শ্রেণিতে পুনর্বিন্যস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার সাবাহর মেরিন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানী নিকোলাস পিলচার বলেন, সবুজ কচ্ছপ ফিরে আসার বিষয়টি প্রেরণাদায়ক বটে। সবুজ কচ্ছপ বৃহত্তম সামুদ্রিক কচ্ছপ প্রজাতির মধ্যে অন্যতম। এদের উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্যের কারণে শরীরের চর্বি হালকা সবুজাভ হয়।

যুক্তরাজ্যের এক্সটার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ব্রেন্ডন গডলি বলেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টার কারণে সবুজ কচ্ছপ আবারও প্রকৃতিতে দেখা যাচ্ছে। সামুদ্রিক কচ্ছপের ফিরে আসা মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে। লাখ লাখ মানুষ নিরলসভাবে এদের সুরক্ষার জন্য কাজ করেছে।

সবুজ কচ্ছপ মূলত তৃণভোজী। শৈবাল ও সামুদ্রিক ঘাস খেয়ে জীবনধারণ করে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় মহাসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে। এদের দীর্ঘ দূরত্বে পরিযায়ী হওয়ার অভ্যাস আছে। সবুজ কচ্ছপের ফিরে আসা উৎসাহব্যঞ্জক হলেও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকতে বলছেন। সবুজ কচ্ছপের সংখ্যা এখনো আগের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার রেইন আইল্যান্ডে এই প্রজাতি শংকার মুখে আছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ