বর্ণাঢ্য আয়োজনে বেরোবির ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
Published: 12th, October 2025 GMT
উত্তরবঙ্গের জ্ঞানচর্চার বাতিঘর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রতিষ্ঠার ১৭তম বছর পেরিয়ে ১৮তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনে পালন করা হয় এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে উৎসবমুখর আয়োজনে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে উদ্বোধন হয় দিনব্যাপী কর্মসূচির। উদ্বোধন শেষে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা। বর্ণিল এ আনন্দ শোভাযাত্রা বেরোবি ছাড়াও পার্কের মোড়সহ নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরো পড়ুন:
বেরোবির সমাবর্তনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রাখায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
বেরোবির সঙ্গে আলফা টেক ও প্রিমিয়াম ফ্রুটস এর সমঝোতা
পরে আয়োজিত আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড.
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুল ইসলাম।
এছাড়াও দিনব্যাপী আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বাদ আসর মিলাদ মাহফিল ও সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিকে, ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণ ও উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।
এই মেডিকেল ক্যাম্পে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মানসিক স্বাস্থ্য, গাইনি, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা দেন। এ সময় ফ্রি ওষুধও প্রদান করা হয়।
২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর রংপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে যাত্রা শুরু করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুমার দিনে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রচারে প্রার্থীরা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী বুধবার। সেই হিসেবে আজ শুক্রবারই শেষ জুমা। তাই প্রচারেও তৎপর হয়েছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীদের প্রচারপত্র বিলি, ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, ছবি তোলায় উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে প্রতিটি মসজিদ প্রাঙ্গণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকা, সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়, গোলচত্বর ও স্টেশন এলাকায় প্রার্থী ও ভোটারদের সমাগম। জুমার নামাজের পর প্রার্থীরা ব্যস্ত হয়ে ভোটারদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন, ব্যালট নম্বরসহ নিজের ইশতেহার তুলে ধরছেন। ভোটারও নিজের বিভিন্ন ইচ্ছের কথা জানাচ্ছেন।
প্রার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীরা এবার দলীয় পরিচয়ের বাইরে গিয়ে যোগ্যদের বেছে নেবেন। দীর্ঘদিন পর এ নির্বাচন হওয়ায় দলমত-নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। স্বতন্ত্রভাবে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই, স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি, ভোটাররা তাঁদের সাড়া দিচ্ছেন। আশা করছি, শিক্ষার্থীরা দক্ষতার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন।’
স্বতন্ত্র সহদপ্তর সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মো. আলীমুল শামীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মাঝে এখন নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ইশতেহার শোনাচ্ছেন। অনেক দিন পর যেহেতু নির্বাচন হচ্ছে, আশা করি ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন।’
আরও পড়ুনকারও প্রচার গানে গানে, কেউ ব্যতিক্রমী সাজে১৯ ঘণ্টা আগেছুটির দিনে প্রার্থীদের প্রচারে উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থীরাও। ক্রিমিনোলজি ও পুলিশ সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রার্থীরা তাঁদের প্রচার চালাচ্ছেন। অনেক দিন পর নির্বাচনের এমন আমেজ দেখা যাচ্ছে। প্রার্থী আর ভোটারদের মধ্যে উৎসবমুখর কুশল বিনিময় করতে দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখে ভালো লাগছে।
ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রকিবুল চৌধুরী বলেন, ‘ঈদের সময় যেমন আনন্দের পরিবেশ থাকে, আজকেও তেমনই একটা উৎসবমুখর আবহ দেখেছি। আশা করছি, এমন পরিবেশ চাকসু নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বজায় থাকবে।’
আরও পড়ুনচাকসু নির্বাচন: প্রতিশ্রুতিতে ‘ঠাসা’ ছাত্রদল ও শিবিরের ইশতেহার০৯ অক্টোবর ২০২৫