চাঁদের পাশাপাশি মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য কয়েক বছর ধরেই ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স নিজেদের তৈরি বিশাল ‘স্টারশিপ’ রকেটের পরীক্ষামূলক ফ্লাইট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করছে। তবে নানা জটিলতার কারণে ১০ বার স্টারশিপের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাই স্টারশিপের পরবর্তী উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও মহাকাশপ্রেমীরা। অবশেষে গতকাল সোমবার স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সফলভাবে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে।

স্পেসএক্সের তথ্যমতে, বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপ অর্ধেক বিশ্ব প্রদক্ষিণ করার পর ভারত মহাসাগরে অবতরণ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে নাসার চন্দ্রাভিযানের জন্য এ অভিযান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশাল রকেটটি সফলভাবে তার বুস্টারকে বিচ্ছিন্ন করে ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে পৃথিবীতে প্রবেশে প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

৬০ মিনিটের বেশি স্থায়ী এই পরীক্ষামূলক অভিযানে আটটি নকল স্টারলিংক স্যাটেলাইট বহন করেছে স্টারশিপ। পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় স্টারশিপ রকেটের বুস্টারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে মেক্সিকো উপসাগরে প্রবেশ করে। অন্যদিকে মহাকাশযানটি ভারত মহাসাগরে অবতরণ করে। পরীক্ষামূলক হওয়ায় কোনো অংশই পুনরুদ্ধার করা হয়নি। স্পেসএক্সের কর্মীরা স্টারশিপের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। এমনকি প্রথমবারের মতো লঞ্চ কন্ট্রোলের বাইরে থেকে স্টারশিপের উড্ডয়ন দেখেছেন ইলন মাস্ক।

স্টারশিপকে মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য ব্যবহার করতে চান ইলন মাস্ক। নাসাও ২০৩০ সালের মধ্যে নভোচারীদের নিয়ে চাঁদে অভিযানের জন্য ৪০৩ ফুট লম্বা এই পুনর্ব্যবহারযোগ্য স্টারশিপ ব্যবহার করতে আগ্রহী। তাই স্টারশিপ নাসার জন্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফি বলেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের দিকে আরও একটি বড় পদক্ষেপ হচ্ছে এ পরীক্ষা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ য ন র জন য স প সএক স ইলন ম স ক সফলভ ব

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসুর ভোট গণনায় সর্বোচ্চ ১৫ ঘণ্টা সময় লাগবে: রাবি উপাচার্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনায় সর্বোচ্চ ১৫ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব।

তিনি বলেছেন, “ভোট গণনায় আমাদের তিনদিন সময় লাগবে না। আমাদের কাছে একটি দক্ষ টেকনিক্যাল টিম রয়েছে। ব্যালট বাক্স খোলা থেকে শুরু করে ভোট গণনা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপই উন্মুক্ত ক্যামেরার সামনে সম্পন্ন হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষও এ গণনা প্রক্রিয়া সরাসরি দেখতে পারবে। নির্বাচন কমিশন বলেছেন, সর্বোচ্চ ১২-১৫ ঘণ্টা সময় লাগবে এ গণনা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে।”

আরো পড়ুন:

নবীনবরণ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান রাকসু প্রার্থীর

আন্দোলনে যাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মকর্তারা, রাকসু নির্বাচনে বাধা নেই

রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে রাকসু নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাবি উপাচার্য। লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “আমি ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করি। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ও নীতিগত শূন্যতা বিরাজ করছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সেই শূন্যতা পূরণ, ক্লাস ও পরীক্ষা স্বাভাবিক করা, ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা, গবেষণা উৎসাহিত করা এবং আবাসিক হলের ব্যবস্থাপনা উন্নত করার পাশাপাশি রাকসু নির্বাচন আয়োজনকে আমি আমার অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে দেখি। প্রক্টরিয়াল টিম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সহযোগিতায় ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা একযোগে কাজ করছি।”

তিনি আরো বলেন, “প্রায় ৩৫ বছর ধরে নির্বাচনহীন রাকসুকে পুনরুজ্জীবিত করাই ছিল আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। আমরা একটি শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন করি। কমিশন তফসিল ঘোষণা, মনোনয়নপত্র বাছাই, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশসহ নির্বাচনী প্রস্তুতি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাকসু নির্বাচনের প্রতি যে অদম্য আগ্রহ ও গণতান্ত্রিক চেতনা সৃষ্টি হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে গঠনতন্ত্র সংশোধনে সময়ক্ষেপণ, ভর্তি কার্যক্রম ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর ভিন্নগতির কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন সম্ভব হয়নি।”

উপাচার্য আরো বলেন, “বিভিন্ন পরিস্থিতি ও পক্ষগুলোর পরামর্শে নির্বাচনের তারিখ একাধিকবার পরিবর্তন করতে হয়েছে। তবে আমরা ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমি বিশ্বাস করি, রাকসু নির্বাচন এখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রাধিকারের বিষয়। তাই শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী—সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যদি আমরা এই নির্বাচন সফল করতে পারি, তবে বিশ্ববিদ্যালয় আরো এগিয়ে যাবে।”

এ সময় রাকসু নির্বাচনকে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাবি উপাচার্য।

বিশ্ববিদালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, “নির্বাচনের পরদিন থেকেই যেন তারা তাদের নির্ধারিত রুমে বসতে পারে, সেজন্য আজ থেকেই রাকসু ভবনের মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাকসুর ভোট গণনায় সর্বোচ্চ ১৫ ঘণ্টা সময় লাগবে: রাবি উপাচার্য