নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যর্থ হলে সবার জন্য শনির দশা অপেক্ষা করছে: নুরুল হক
Published: 14th, October 2025 GMT
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন। ইতিমধ্যে অনেক রাজনৈতিক দল গণসংযোগে নেমে পড়েছে। মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল সরকারের সমালোচনা না করে সরকারকে নাস্তানাবুদ করে দুর্বল করতে চাইছে। স্থান, কাল ও পরিবেশ দেখে কথা বলা উচিত। এসব কারণে নির্বাচনের আকাশে আমি কালো মেঘের ঘনঘটা দেখতি পাচ্ছি। রাজনৈতিক দলগুলো আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যর্থ হলে সবার জন্য শনির দশা অপেক্ষা করছে।’
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালী শহরের বড় চৌরাস্তার প্রধান সড়কে আয়োজিত এক পথসভায় নুরুল হক এ কথাগুলো বলেন। পরে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা দশমিনা-গলাচিপার উদ্দেশে রওনা দেন।
নুরুল হক বলেন, ‘আমার ওপর সংগঠিত হামলাটা ছিল একটি টেস্ট কেস। একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী ক্ষমতা দখলের জন্য আমার ওপর হামলা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তারা দেখতে চেয়েছে, বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো এক আছে কি না। যখন দেখেছে আমরা সবাই এক আছি, তখন সেই ক্ষমতালোভী দলটি পিছু হটে।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি আরও বলেন, ‘এই সরকারকে বিএনপি বলছে তাদের সরকার। জামায়াত বলছে তাদের সরকার। এনসিপি বলছে তাদের সরকার। আমরা সবাই বলছি আমাদের সরকার। কারণ, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়ে অনেক আশা নিয়ে এই সরকারকে বসিয়েছি। কিন্তু এই সরকারকে আমরা সবাই যে পরামর্শগুলো দিই, সেই পরামর্শ এককভাবে হয়তো আমলে নেয় না। যার কারণে শুরুর দিকে এই সরকারের যে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা ছিল, এখন অনেকটাই কমে গেছে। এটা হয়েছে সরকারের কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও বিতর্কিত কিছু উপদেষ্টার কারণে।’
নুরুল হক বলেন, ‘কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, এই সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। বিএনপির সেই নেতা উপদেষ্টাদের সংখ্যা উল্লেখ করে পদ থেকে তাঁদের সরানোর দাবি করেন। এ ছাড়া জামায়াতের এক নায়েবে আমির একইভাবে অভিযোগ করেছিলেন, কয়েকজন উপদেষ্টা একটি দলের হয়ে কাজ করছেন। এমনকি আগামী নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসনে ছক তৈরি করে তাঁদের লোকজন সেট করছে। এই কথাগুলো আমি আগেও বলেছি। কিন্তু সরকার আমলে নেয়নি। যে কারণে সরকার নিরপেক্ষতা হারানোর পাশাপাশি বিপদগ্রস্ত হচ্ছে।’
পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ও রবিউল হাসান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলার আহ্বায়ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সদস্যসচিব মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র সরক র এই সরক র ন র ল হক সরক র র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা কলেজে রাতে মিছিল, উত্তেজনা
ঢাকার সরকারি সাতটি কলেজ একীভূত করে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি করা নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার দিনভর পক্ষে–বিপক্ষে ব্লকেড কর্মসূচি, বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি শেষে রাতে ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ছাত্রদের একটি মিছিল কলেজের দক্ষিণ ছাত্রাবাসে দিকে যায়। এ সময় উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রদের ইঙ্গিত করে নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়। এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এর আগে উচ্চমাধ্যমিকের এক ছাত্রকে মারধর ও শিক্ষককে হেনস্তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ‘ব্লকেড কর্মসূচি’ পালন করেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রীরাও সংহতি জানান। তাঁরা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবিতে মিছিল করেন।
অপর দিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলনকারী বেশ কিছু ছাত্র ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্নাতকের (সম্মান) এক ছাত্রকে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দেওয়া হয়।
এদিকে শিক্ষক হেনস্তা ও শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারা দেশে সরকারি কলেজ, সরকারি মাদ্রাসা ও অন্যান্য অফিসে দিনব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা (শিক্ষক)। বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে কোনো ক্লাস হয়নি।
ঢাকা কলেজে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকেরা বিভাগ ছেড়ে শিক্ষক লাউঞ্জে জমায়েত হয়ে প্রতিবাদ জানান। কলেজের শহীদ মিনারের সামনেও কিছুক্ষণ অবস্থান করেন তাঁরা। এতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াস হোসেনও অংশ নেন।
ঢাকার সাতটি বড় সরকারি কলেজ একীভূত করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে যাচ্ছে সরকার। প্রস্তাবিত এই কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা আন্দোলন করছেন।
আরও পড়ুনসায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ব্লকেড কর্মসূচি ঢাকা কলেজের ছাত্রদের১৩ ঘণ্টা আগে