গাজা চুক্তির ‘দ্বিতীয় পর্যায়’ শুরুর ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প
Published: 15th, October 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘দ্বিতীয় পর্যায়’ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন। খবর আনাদোলুর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে হামাস মুক্তি দিয়েছে।
আরো পড়ুন:
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ট্রাম্প
গাজা শান্তি সম্মেলনে মেলোনির সৌন্দর্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প
ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, “বিশ জন জিম্মি ফিরে এসেছে এবং তারা ভালো আছে।”
তিনি আরো বলেন, “একটি বড় পদক্ষেপ সম্পন্ন হয়েছে, কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। প্রতিশ্রুতি অনুসারে মৃতদের ফেরত পাঠানো হয়নি! দ্বিতীয় পর্যায় এখনই শুরু হচ্ছে!!!”
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে হামাস এবং ইসরায়েল জিম্মি-বন্দি বিনিময় করেছে। যার ফলে ইসরায়েলের কুখ্যাত ওফের সামরিক কারাগার এবং নেগেভ মরুভূমির অন্যান্য কারাগার থেকে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। গাজা থেকে জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিশরের পর্যটন শহর শারম আল-শেখে গাজা শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাকে সমর্থন জানাতে এই সম্মেলনে প্রায় ৩০ জন রাষ্ট্রনেতা উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে গাজায় একটি নতুন শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, একটি বহুজাতিক বাহিনী গঠন এবং হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের কথা বলা হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ৮০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় গাজা কার্যত বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ইসর য় ল ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
মিরাজ, প্রতিশ্রুতির কী প্রয়োজন, আমরা তো সুনীলের কবিতায়ই শিখেছি
রশিদ খান। নাহ্, আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান নন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং আর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের কথা শুনে মনে পড়ে গেল শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী রশিদ খানের কয়েকটি কথা। প্রয়াত ওস্তাদ রশিদ খান কথাগুলো এই প্রতিবেদককেই একবার বলেছিলেন বৈঠকি ঢঙে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।
শচীন টেন্ডুলকারের পাঁড় ভক্ত রশিদ খান শৈশবে ক্রিকেটার হওয়ারই স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তাঁর মামা নিসার হুসেইন খান তাঁকে সে পথে হাঁটতে দেননি। একপ্রকার জোর করেই নিজেদের গড়া সংগীতরাজ্যে ঢুকিয়ে দেন রশিদ খানকে। শাস্ত্রীয় সংগীতের বড় সংগীতকার হয়েও রশিদ খান ক্রিকেটকে অন্তর থেকে মুছে ফেলতে পারেননি; বরং তিনি ক্রিকেট আর সংগীতকে দেখেছেন একই রূপে!
যে সাক্ষাৎকারের কথা বলা হলো, সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘ক্রিকেটটা সংগীতের মতোই। একেকটা কাভার ড্রাইভ, পুল, হুক—এগুলো তো সংগীতের বিভিন্ন ধারার মতোই রেশমি পরশ নিয়ে এগিয়ে চলে।’ সংগীত আর ক্রিকেটকে এক বিন্দুতে মেলানোর আলোচনায় তিনি আরেকটি বেশ মজার উদাহরণ টেনেছিলেন, ‘দেখুন, এটা অনেকটা গানের মতোই। একটি গানের তিনটি ভাগ যদি আপনি করেন, কী আছে সেখানে? আভোগ, অন্তরা, স্থায়ী।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকাল ধবলধোলাই হয় বাংলাদেশ