বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু চট্টগ্রামে
Published: 16th, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে নতুন এক মাইলফলক অর্জন করেছে। শুরু হয়েছে বর্জ্য থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জ্বালানি উৎপাদনের কাজ।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর আনন্দ বাজার ল্যান্ডফিল্ডে ‘গ্যাস কূপের টেস্ট বোরিং’ উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
ডা.
তিনি বলেন, “সিটি করপোরেশনের ‘ওয়েস্ট টু এনার্জি’ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে বায়োগ্যাস উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। এই টেস্ট বোরিং সফল হলে ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকল্পটি চালু হবে এবং জনগণ বিনামূল্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা পাবেন।”
মেয়র বলেন, “আমি শুরু থেকেই পরিকল্পনা করছি, কীভাবে শহরের আবর্জনা সম্পদে রূপান্তর করা যায়। চট্টগ্রামের হালিশহরের মানুষ বছরের পর বছর দুর্গন্ধ ও দূষণের কষ্ট ভোগ করছেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা শুধু পরিবেশ রক্ষা নয়, বরং বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করব।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প বর জ য
এছাড়াও পড়ুন:
ঊরুর মাপের সঙ্গে কি সত্যিই আয়ুর কোনো সম্পর্ক আছে
ঊরুর মেদ কি খারাপ?
সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, মেদ বা চর্বি মানেই তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আদতে বিষয়টা এমন নয়। ত্বকের নিচে মেদ জমা হলেই যে আপনার রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি থাকবে বা অন্যান্য জটিল সমস্যার ঝুঁকি থাকবে, তা নয়।
ঊরুতে যে মেদ থাকে, তা জমা হয় ত্বকের নিচেই। আর ত্বকের নিচে যে মেদ জমা হয়, তা থেকে ‘অ্যাডিপোনেকটিন’ নামের একধরনের রাসায়নিক নিঃসরণ হয়। এই রাসায়নিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্রোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। বুঝতেই পারছেন, ঊরুর মেদ খুব একটা খারাপ নয়, যদি অন্যান্য খারাপ মেদ না থাকে।
অন্যদিকে পেটের ভেতরে থাকা বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আশপাশে জমা হওয়া মেদ হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। যাঁদের এ ধরনের মেদ থাকে, তাঁদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বেশি। হাত, পা কিংবা ঊরুতে তেমন মেদ না থাকলেও যদি কারও কেবল পেটের ভেতর এমন মেদ থাকে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদি রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে।
আরও পড়ুনস্থূলতা রোধ করবেন যেভাবে২৮ মার্চ ২০২২গবেষণায় যা পাওয়া গেছেকিছু গবেষণার ফলাফল বলছে, যাঁদের ঊরুর মাপ ৬০ সেন্টিমিটার বা এর কম, তাঁদের আয়ু তুলনামূলক কম। আর তাঁদের অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে হৃদ্রোগে, অন্যদের তুলনায় তাঁদের হৃদ্রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। ঊরুর মাপ কম হওয়ার অর্থ হলো, সেখানে মেদ এবং পেশি দুটির পরিমাণই কম।
এ থেকে বোঝা যায়, তাঁদের ঊরুর পেশি আদতে খুব একটা সুগঠিত ছিল না। আরও ধারণা করা যায়, স্বাস্থ্যকর জীবনচর্চার দিক থেকে তাঁরা বেশ খানিকটা পিছিয়ে ছিলেন। অর্থাৎ ব্যায়ামের প্রতি সম্ভবত খুব একটা যত্নশীল ছিলেন না তাঁরা।
তবে এসব গবেষণা থেকে এমনটাও বলা যায় না যে ঊরুর মাপ দীর্ঘায়ু বা সুস্থতার জন্য নিশ্চিত কোনো নির্দেশক।
আরও পড়ুনকোমরের মাপ দেখে যেভাবে স্বাস্থ্য বোঝা যায়১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১যেভাবে বোঝা যায় ঊরুর মাপঊরুর মাপ নিতে হয় দাঁড়ানো অবস্থায়। ঊরুর মাঝামাঝি অংশ, অর্থাৎ যে অংশটি সবচেয়ে চওড়া, সেখানে ধরতে হয় মাপের ফিতা। খুব আঁটসাঁট করেও নয়, আবার ঢিলেভাবেও নয়। খেয়াল রাখতে হয়, ফিতাটি যেন উল্টে না যায়।
ঊরুর মাপ বাড়ানোর চেষ্টা করলেই যে কেউ সুস্থ থাকবেন, এমনটাও নয়