ফেসবুকে নাঈম লিখলেন, ‘ভালোবাসা চাই, ঘৃণা নয়’
Published: 16th, October 2025 GMT
খারাপ সময়ে সমর্থকদের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। ক্রিকেট মাঠে বাংলাদেশ শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে, এমন আশাই করছেন নাঈম।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয়ে গতকাল রাতে দেশে ফেরেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা। বিমানবন্দরে তাদের দুয়ো দেয় কিছু মানুষ, ‘ভুয়া’, ‘ভুয়া’ স্লোগান তোলে তারা।
এই ঘটনা নিয়ে গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা যারা মাঠে নামি, আমরা শুধু খেলি না—আমরা দেশের নামটা বুকে নিয়ে নামি। লাল-সবুজ পতাকাটা শুধু শরীরে নয়, রক্তে মিশে থাকে। প্রতিটা বল, প্রতিটা রান, প্রতিটা শ্বাসে চেষ্টা করি সেই পতাকাটাকে গর্বিত করতে।’
‘হ্যাঁ, কখনো পারি, কখনো পারি না। জয় আসে, পরাজয়ও আসে—এটাই খেলাধুলার বাস্তবতা। জানি, আমরা যখন হেরে যাই, তখন আপনাদের কষ্ট হয়, রাগ হয়—কারণ, আপনারাও এই দেশটাকে আমাদের মতোই ভালোবাসেন।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পেলেও ভিসা জটিলতায় শুরু থেকে যোগ দিতে পারেননি নাঈম। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছালেও তিনি মাঠে নামেন শেষ ম্যাচে। তবে ২৪ বল খেলে ওই ম্যাচে নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান।
আরও পড়ুনআরও নতুন তিন লিগে নাম লেখালেন সাকিব১ ঘণ্টা আগেব্যর্থ হলেও ক্রিকেটাররা সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেন দাবি করে নাঈম লিখেছেন, ‘আজ যেভাবে আমাদের প্রতি ঘৃণা (প্রকাশ করা হয়েছে), গাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে, তা সত্যিই কষ্ট দেয়। আমরা মানুষ, ভুল করি, কিন্তু কখনো দেশের প্রতি ভালোবাসা-চেষ্টার ঘাটতি রাখি না। প্রতিটা মুহূর্তে চেষ্টা করি দেশের জন্য,মানুষের জন্য, আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে।’
সমর্থকদের কাছে ভালোবাসা প্রত্যাশা করেন জানিয়ে নাঈম আরও লিখেছেন, ‘ভালোবাসা চাই, ঘৃণা নয়। সমালোচনা হোক যুক্তিতে, রাগে নয়। কারণ আমরা সবাই একই পতাকার সন্তান। জয় হোক, পরাজয় হোক—লাল-সবুজ যেন আমাদের সবার গর্ব থাকে, ক্ষোভের নয়। আমরা লড়ব, আবার উঠব—দেশের জন্য, আপনাদের জন্য, এই পতাকার জন্য।’
আরও পড়ুনবাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর জরিমানা গুনলেন জাদরান১৪ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট বোর্ডে ১৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পাসের হার, কমেছে জিপিএ-৫
সিলেট বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় এবারের পাসের হার ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা গত ১৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী।
সিলেট বোর্ড প্রতিষ্ঠার পর ২০০৬ সাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ক্রমেই বেড়েছে। ওই বছর পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এবারই প্রথম সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৬০ শতাংশের নিচে নেমেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ফলাফলে সব সূচকে এগিয়ে আছেন ছাত্রীরা। এবারের পরীক্ষায় ৪১ হাজার ৪০৮ জন ছাত্রী অংশ নিয়ে ২২ হাজার ১ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৫৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২১ জন ছাত্রী।
অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৪৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ২৭ হাজার ৭৬৪ জন ছাত্র। এর মধ্যে পাস করেছেন ১৩ হাজার ৮৭০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৮১ জন।
বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭৯ জন। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৪৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫৩ জন। ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৫০ দশমিক ১৮ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭০ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া, সিলেট বোর্ডের অধীনে এবারের পরীক্ষায় চারটি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেননি।
বোর্ডের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৬৯ হাজার ১৭২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৩৫ হাজার ৮৭১ জন; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন। ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করোনা মহামারি, বন্যা পরিস্থিতি এবং ছাত্র আন্দোলনের কারণে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা হয়নি। এবার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা ও ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্যের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলাফলে প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া কলেজ শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি কম হওয়াও পাসের হার কম হওয়ার অন্যতম কারণ।
আনোয়ার হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, সিলেট বোর্ডের পাসের হার বৃদ্ধি করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বোর্ডের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভাগভিত্তিক যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।