জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে মতভিন্নতা এখনো কাটেনি, কোন দল কী বলছে
Published: 16th, October 2025 GMT
বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতভিন্নতার কারণে জুলাই জাতীয় সনদে সব রাজনৈতিক দল সই করবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আকস্মিক ‘অতি জরুরি’ বৈঠক ডাকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আগের অনড় অবস্থানই তুলে ধরে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
তবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে বলেছেন, আগামীকাল শুক্রবারই জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই।
ছয়টি সংস্কার কমিশনের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। গত মঙ্গলবার রাতে সনদের চূড়ান্ত অনুলিপি দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়। সনদ বাস্তবায়নে গণভোট করার বিষয়ে দলগুলো একমত হলেও গণভোটের সময় ও পথ-পদ্ধতি নিয়ে মতভিন্নতা আছে। এ বিষয়ে কমিশন এখনো তাদের সুপারিশ চূড়ান্ত করেনি। তবে বাস্তবায়নের উপায় সনদের অংশ হবে না। এ নিয়ে সরকারকে আলাদা সুপারিশ দেবে কমিশন। কোনো কোনো দল সনদে সই করার আগে বাস্তবায়ন পদ্ধতির নিশ্চয়তা চায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশন মনে করছে, যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে। আগামীকাল জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে এবং কমিশন আশা করছে, সব দল সনদে সই করবে। অবশ্য সনদ স্বাক্ষরের পর বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
গতকালের আলোচনায় বিএনপি বলেছে, তারা শুক্রবার সনদ সই করতে প্রস্তুত। তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট চায়। জামায়াতে ইসলামী বলেছে, তারা আগামী নভেম্বরে গণভোট চায়। তারা জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাবে। কিন্তু সনদে সই করবে কি না, তা তারা পরিষ্কার করেনি। অন্যদিকে এনসিপি বলেছে, সনদ বাস্তবায়নের পথ পরিষ্কার করে স্বাক্ষরের দিকে অগ্রসর হতে হবে। সবগুলো বিষয় পরিষ্কার করে সনদ স্বাক্ষরিত হলে তবেই সেটা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এনসিপি যা বলেছেসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে এনসিপি। সেখানে দলটির পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থান তুলে ধরা হয়। ‘সংবিধান আদেশ’ জারির মাধ্যমে সংস্কারপ্রক্রিয়া না এগোলে এনসিপি সনদে সই করবে না বলে ওই বৈঠকে জানানো হয়।
এনসিপি বলছে, তারা মনে করে, এর আগে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের সময় তারা ছাড় দিয়েছে। এবার আর ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা সংস্কার, বিশেষ করে সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে নতুন করে আলোচনা শুরু করার পক্ষে। তারা চায় সংবিধান স্থগিত করে বিশেষ আদেশ (প্রভিশনাল কন্সটিটিউশনাল অর্ডার) জারি করা হোক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এনসিপির কঠোর অবস্থান ও সার্বিক পরিস্থিতিতে সনদ স্বাক্ষর নিয়ে সংশয়ে পড়ে ঐকমত্য কমিশন। তারা ৩০টি দলকে চিঠি দিয়ে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। দুপুরে কমিশন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে। এরপর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুক্রবারের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বিষয়ে এই আলোচনা। তবে আলোচনার একপর্যায়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতভিন্নতার বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে।
বিএনপির অবস্থানবিএনপি শুক্রবার জুলাই সনদে সই করতে প্রস্তুত আছে জানিয়ে আলোচনায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গণভোট আগে না পরে এটি জাতীয় সনদের কোনো বিষয় নয়। বাস্তবায়নের জন্য ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে। তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি আমাদের এ সমস্ত আলাপ–আলোচনার প্রেক্ষিতে সন্তুষ্ট না হন, প্রধান উপদেষ্টা আপনি আজকে বলতে পারেন যে আপনার সিদ্ধান্ত কী। আমরা সব সময় আপনার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশা করি, আপনি আপনার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করবেন।’
সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবশ্যই নির্বাচন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। যেভাবেই হোক দীর্ঘদিন অনির্বাচিত অবস্থায় একটা সরকার পরিচালিত হলে যেসব সমস্যা তৈরি হয়, সেটা এখানেও হয়েছে। এ জন্য বিএনপি শুরু থেকে বলছে, যত দ্রুত সম্ভব একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমাদের কন্টিনিউয়াস (ধারাবাহিক) সমর্থন আপনার প্রতি ছিল, আছে। কিন্তু এটা কন্ডিশনাল (শর্তযুক্ত)। আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে, এটা সীমাহীন নয়। আমরা চাই আপনার নেতৃত্বে একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন, এটাই হচ্ছে কন্ডিশন (শর্ত)। আপনার প্রতি আমাদের সীমাহীন সমর্থন নয়, আমাদের সীমারেখা আছে। আমরা গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য এই সীমারেখার মধ্যে আপনাকে সমর্থন দিচ্ছি। আপনি দয়া করে এটা অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সচিবালয়ে বদলি–পদায়নের জন্য একটি ‘ক্যাবিনেট কমিটি’ করা হয়েছে। এটার কোনো চর্চা নেই, এটা কোনো নিয়ম বা রীতি নয়। এ বিষয়ে বিএনপি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘যাতে বাংলাদেশের সকল অর্গানের ব্যালান্স (সব অঙ্গের মধ্যে ভারসাম্য) থাকে, সেটা আপনাকে চেষ্টা করতে হবে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা। আমরা চাই না প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর মধ্যে কোনো রকমের ভারসাম্য নষ্ট হোক। আমরা সেটি অ্যাফোর্ড করতে পারব না এ মুহূর্তে। আমরা চাই আপনার সাথে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। রাষ্ট্র একটা ব্যালান্স অবস্থায় থাকতে হবে। আমরা নির্বাচন সামনে রেখে কোনো রকমের ঝুঁকির মধ্যে যেতে চাই না। যেতে পারব না।’
সালাহউদ্দিন বলেন, পতিত স্বৈরাচার এবং তাদের দোসর একটি দেশ এই সুযোগ নেওয়ার জন্য বসে থাকবে। তাই একদম প্রতিবিপ্লবী হলেও চলবে না। বাস্তবতা বিবেচনা করে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আলোচনায় সংস্কার বাস্তবায়ন প্রশ্নে বিএনপির আগের অবস্থানই তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট হলে আগামী সংসদ জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে। নির্বাচনের বাকি আছে চার মাস। দুই মাস আগে তফসিল দিতে হবে। এর আগে আরেকটি নির্বাচন আয়োজন সম্ভব কি না, তিনি সে প্রশ্ন রাখেন। তিনি বলেন, ভিন্নমতের বিষয়ে দলগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করবে। নির্বাচিত হলে তারা সেভাবে ভিন্নমতগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবে।
জামায়াতের অবস্থানআলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করে জুলাই সনদকে আইনে ভিত্তি দিয়ে এর ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সামনে দলের অবস্থান তুলে ধরেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, গণভোট আগে হতে হবে। তাঁরা নভেম্বর মাসে গণভোটের প্রস্তাব করেছেন। নভেম্বরে গণভোট হলে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন, এটা তাঁরা চান। তাঁরা মনে করেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হলে ভোট কম পড়বে।
সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো.
আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তাঁরা দাওয়াত পেয়েছেন এবং আশা করছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৭ তারিখে আমরা আশা করি যাব এবং…মাত্র একদিন বাকি আছে ওই দিন গেলেই ইনশা আল্লাহ দেখে ফেলবেন।’ কোনো অনিশ্চয়তা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সে রকম অনিশ্চয়তা আমরা দেখি না।’
এনসিপির অবস্থানআলোচনায় দলের অবস্থান তুলে ধরে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, শেষ মুহূর্তের কিছু বিষয় তাঁদের মধ্যে শঙ্কার জায়গা তৈরি করেছে। জাতিকে অস্পষ্ট রেখে কোনো উদ্যোগ সফল করা সম্ভব নয়। জুলাই সনদের খসড়ায় নোট অব ডিসেন্টের (ভিন্নমত) বিষয়গুলোকে পরিষ্কার করা হয়নি। এটার একটা সংজ্ঞা প্রয়োজন, কীভাবে সেগুলোকে বাস্তবায়ন করা হবে, সে পথরেখা পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।
এনসিপির এই নেতা বলেন, তাঁরা একটি আদেশের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের কথা বলেছেন। সাংবিধানিক আদেশ নাম হলে অনেকের আপত্তি আছে। তাই এটা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ বা সাংবিধানিক সংস্কার আদেশ যেকোনো নামে হতে পারে। তাঁরা মনে করেন, সরকারপ্রধান হিসেবে এই আদেশ জারি করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জনগণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে, সেই অভিপ্রায়কে সুসংহত করতে প্রধান উপদেষ্টা এই আদেশ জারি করবেন এবং বাস্তবায়ন করবেন বলে তাঁরা আশা করেন।
আখতার হোসেন বলেন, গণভোটের দিন ও প্রশ্ন নিয়ে আগে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া সংবিধানে যেসব মৌলিক পরিবর্তন প্রস্তাব আছে, সেগুলো টেকসই করতে আগামী সংসদের সদস্যদের কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার (গাঠনিক ক্ষমতা) দিতে হবে। এটাও পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা চাই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথটাকে পরিষ্কার করে তারপর আমরা সনদ স্বাক্ষর করার দিকে অগ্রসর হব। জাতির কাছে সবগুলো বিষয়কে পরিষ্কার করে তারপর জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হলে তবেই সেটা বাংলাদেশে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব এবং জাতির প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব।’
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আখতার হোসেন বলেন, এনসিপি শুক্রবার জুলাই সনদে সই করবে কি না, তা বিবেচনাধীন রয়েছে।
বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া। সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জ ল ই সনদ আখত র হ স ন স ল হউদ দ ন র অবস থ ন ম হ ম মদ শ ক রব র আপন র স গণভ ট র ন শ চয়ত র সদস য এনস প র দলগ ল র সই করব বল ছ ন আম দ র ন বল ন র জন য প রস ত দ বল ন গতক ল র একট সরক র য় সনদ করব ন ইসল ম ব এনপ সনদ র
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে কমেছে জিপিএ-৫ ও পাসের হার
ময়মনসিংহ বোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় গত বছরের চেয়ে জিপিএ-৫ ও পাসের হার কমেছে। এবার পাসের হার ৫১.৫৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ২ হাজার ৬৮৪ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৬৩.২২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪ হাজার ৮২৬ হাজার জন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে সংবাদ সম্মেলনে এ বছরের ফলাফল জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল্লাহ।
তিনি জানান, ময়মনসিংহ বোর্ডের চার জেলার ৩০৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭৫ হাজার ৮৫৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৩৯ হাজার ৯৬ জন। ময়মনসিংহ জেলায় পাসের হার ৫৫.৪৬ শতাংশ, শেরপুর জেলায় ৪৮.৬৯ শতাংশ, জামালপুর ৪৭.৪১ শতাংশ ও নেত্রকোণায় ৪৭.৩৯ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে ৭৬.৯০, মানবিকে ৪৫.৬৪ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৪১.১২ শতাংশ। এ বোর্ডে শতভাগ কৃতকার্য প্রতিষ্ঠান তিনটি ও শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠান ১৫টি।
ফল প্রকাশের পর ময়মনসিংহের সেরা কলেজগুলোতে উল্লাসে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। নগরীর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে এ বছর ১ হাজার ৩৬২ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ১ হাজার ৩০২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৯৮ জন। ফল ঘোষণার পর আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/মিলন/রফিক