তিন দফা দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের  দাবিদাওয়া নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। 

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “বাড়িভাড়ার বিষয়টির প্রতি আমরা সংবেদনশীল। এ বিষয়ে সরকার কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশে আগামী বছর আরো একটি সুন্দর বেতন কাঠামো নিশ্চিত করতে পারব।” 

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীন বলেন, “শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ও সচিব দেশের বাইরে থাকলেও এ বিষয়ে প্রতিনিয়ত কাজ চলছে।” 

তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষকদের আলোচনায় ডেকেছি। আলোচনায় বসলে সমাধান আসবে। কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল হবে। তখন এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।”

শিক্ষা সচিব সবার সহযোগিতা চেয়ে বলেন, “সরকার চেষ্টা করছে। তবে এর প্রভাব দেখতে কিছুটা সময় লাগবে।”

আন্দোলনকারীদের তিনটি দাবি হলো—মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাড়া, শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসাভাতা দেড় হাজার টাকা করা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইলিশের দাম এত বেশি কেন, জানতে চেয়ে ‘ভালো উত্তর’ পাননি মৎস্যসচিব

ইলিশ মাছ উৎপাদনে পোনা ছাড়তে হয় না, খাবার দিতে হয় না, তা–ও এত বেশি দাম কেন—সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে কোনো ‘ভালো উত্তর’ এখনো পাননি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। তিনি বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই আমার মনে প্রশ্ন ছিল—ইলিশের এত দাম কেন।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে বিশ্ব খাদ্য দিবসের এক অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন তিনি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এই সেমিনারে আয়োজন করে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, ইলিশের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বলা হয় মাছ ধরতে খরচ বেশি। আবার মধ্যস্বত্বভোগীদের জন্য দাম বেড়ে যায়। ঢাকা এলে দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। গবেষকদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বিষয় জেনেছি। এসব নিয়ে আরও কাজ করার আছে।

আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, এখন ধানের জমিতে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে কোনো মাছ হয় না। এগুলোর ব্যবহার কমানো নিয়ে গবেষণা করা দরকার। প্রাণী খাদ্যের দামের কারণে মাছ ও দুধ ডিমের দাম বেড়ে যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রথম আলোর সংবাদ উদ্ধৃত করে সচিব বলেন, পত্রিকায় দেখলাম এখন বিড়ালের জন্যও বছরে ৪০০ কোটি টাকার বিদেশি খাদ্য আমদানি করতে হয়। কিন্তু আমাদের সময়ে বিড়ালের জন্যে বাজার থেকে খাবার আনতে হতো না। এসব খাবার এখন দেশেই তৈরি করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, দেশের কৃষি উৎপাদনের সাফল্যের পেছনে প্রধান ভূমিকা কৃষক ও কৃষিবিদদের। উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বাজারের সংযোগ খুবই সামান্য। তাই কৃষকদের অবস্থা এখন এখন হাসন রাজার ‘পরের জায়গা পরের জমি’ গানের মতো।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী খন্দকার মো. ইফতেখারুদ্দৌলা বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রায় ৭৬ শতাংশ জমি মোটামুটি অনুর্বর ধরনের, যার পরিমাণ বাড়ছে। বছরে মাথাপিছু খাদ্যের অপচয় আবার গড়ে ৮২ কেজি। তাই দুর্যোগপ্রবণ এই দেশে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সব সময় প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কোনো একক প্রতিষ্ঠান বা কারও একার পক্ষে এটা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ জন্য শিক্ষক, গবেষক, সরকার, কৃষক সবাই মিলে কাজ করতে হবে।

এর আগে সেমিনারের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এইচ এম সাইফুল ইসলাম। বক্তব্য দেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দিয়া সানো। অনুষ্ঠান শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ