আড়াইহাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
Published: 16th, October 2025 GMT
আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আব্দুল বাতেন মিয়া (৬৮) নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা সাতগ্রাম ইউনিেেয়নর রসুলপুর মোল্লাপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল বাতেন ওই এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি সাতগ্রাম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহজাহান মিয়ার পিতা। তিনি মাছের ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা একাধিক সূত্র জানায়, সাতগ্রাম ইউনিয়র যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম ছোট ভাই হাসিবুল হক হাসান গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর মাদক ও সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে মসজিদে বক্তব্য রাখেন। এর পরপরই হাসান গ্রুপ ও শাহজাহানের গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এই ঘটনা এবং এলাকার আধিপত্য নিয়ে রেজাউল করিমের সাথে ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহজাহান মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এই নিয়ে বুধবার রাত ৮টায় গ্রামের ওয়াজ মাহফিল কোন জায়গায় হবে এই নিয়ে রেজাউল ও শাহজাহানের লোকজন প্রথমে কথাকাটা হয়।
পরে রেজাইল করিম, তার ভাই হাসিবুল হাসান লোকজন নিয়ে শাহজাহানের লোকদের উপর হামলা করে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জগিয়ে পড়ে। এতে বাতেনসহ ১০ জন আহত হয়। আহত বাতেন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মারা যান।
নিহত বাতেনের ছেলে শাহজাহান বলেন, কোন কোন কারণ ছাড়াই করিমের লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমার বাবা মারা যান। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধ্রা করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ ন র য়ণগঞ জ শ হজ হ ন স ঘর ষ ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
সভাপতি জামায়াতের, সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ পদে বিএনপি জয়ী
জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন জামায়াত ইসলামী–সমর্থিত বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেলের আবদুল মোমিন ফকির। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয় পেয়েছে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল।
গতকাল শনিবার সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত জেলা আইনজীবী ভবনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমান ভোটের ফলাফলের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১১টি পদের বিপরীতে ১৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গ্রন্থাগার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, নিরীক্ষা সম্পাদক এবং তিনটি সদস্য পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়টি পদের জন্য ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াত–সমর্থিত প্যানেল থেকে কেবল সভাপতি পদে আবদুল মোমিন ফকির নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১০টি পদেই জয় পেয়েছে। খায়রুল আহসান সাখিদার সহসভাপতি ও শহিদুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।