2025-05-30@03:24:53 GMT
إجمالي نتائج البحث: 6

«থ ইরয»:

    আমাদের গলার নিচের দিকে প্রজাপতি আকৃতির একটি অতি প্রয়োজনীয় গ্রন্থি থাকে, যা থেকে নিঃসৃত হয় থাইরয়েড হরমোন। থাইরয়েড হরমোন মানুষের বৃদ্ধি, বিকাশ, শরীরবৃত্তিক আর বিপাকীয় নানা ক্রিয়া-প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতি প্রয়োজনীয় এ হরমোনের পরিমাণ কম বা বেশি হলে শরীরে দেখা দেয় নানা জটিলতা। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ কোটিরও বেশি মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত। বাংলাদেশের সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ধারণা করা হয় প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড জটিলতায় ভুগছেন। বিশাল জনগোষ্ঠীর এই দেশে প্রায় পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ বিভিন্ন ধরনের থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে। সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীর মধ্যে থাইরয়েডজনিত সমস্যা হার বেশি দেখা দেয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবে থাইরয়েডের রোগী চিকিৎসকের কাছে কম আসে। বয়স ও লিঙ্গভেদে ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ ও জটিলতা দেখা যায়। অনেক সময় উল্লেখযোগ্য কোনো উপসর্গ...
    শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির অন্যতম অন্তরায় কনজেনিটাল বা জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম। গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন নামে একটি হরমোন তৈরি হয়, যা আমাদের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কোনো কারণবশত যদি থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে থাইরয়েড হরমোন তৈরি বাধাপ্রাপ্ত হয় বা ঘাটতি হয়, তবে তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলা হয়। রোগটি বড়দের যেমন হতে পারে, তেমনি দেখা দিতে পারে জন্মের পরপরই। নবজাতকের হাইপোথাইরয়েডিজম জন্মগতভাবে বা কনজেনিটাল হতে পারে, আবার জন্মের পর যেকোনো সময় হতে পারে।কারণ কীযদি জন্মগতভাবে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড অনুপস্থিত থাকে, থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থাকলেও তা ছোট বা অপরিপক্ব থাকলে বা স্বাভাবিক অবস্থানে না থাকলে থাইরয়েড হরমোন তৈরির প্রক্রিয়ায় এনজাইমঘটিত কোনো সমস্যা, থাইরয়েড হরমোন পরিবহনে সমস্যা, আয়োডিনের স্বল্পতা নবজাতকের হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য দায়ী হতে পারে। গর্ভকালে মায়ের কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণ করলেও নবজাতকের...
    ২৫ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব থাইরয়েড দিবস’। এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘থাইরয়েড রোগ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’। আধুনিক স্বাস্থ্যব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের হস্তক্ষেপের ফলে যেমন রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য ও দ্রুত হয়েছে, তেমনি থাইরয়েড রোগ নির্ণয়ে এর কার্যকর ব্যবহার এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানের অন্যতম আলোচিত বিষয়।আমাদের শরীরে গলার সামনের দিকে ছোট একটি প্রজাপতির মতো দেখতে গ্রন্থি থাইরয়েড অনেক বড় দায়িত্ব পালন করে। এটি দেহের বিপাকক্রিয়া, মানসিক ও শারীরিক বিকাশ এবং হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা রাখে। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি নিয়ে মানুষের সচেতনতা এখনো হতাশাজনকভাবে কম।বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০ কোটির বেশি মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে। বাংলাদেশেও চিত্রটি ভয়াবহ। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে থাইরয়েডজনিত রোগে আক্রান্ত, কিন্তু এর মধ্যে প্রায়...
    খাবার থাইরয়েডের কার্যকারিতাকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুভাবেই প্রভাবিত করে। থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিংক ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান অপরিহার্য।থাইরয়েড হরমোন (টি৪ ও টি৩) সংশ্লেষণে আয়োডিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাব হাইপোথাইরয়েডিজম ও গলগণ্ড রোগের কারণ হতে পারে। আবার অতিরিক্ত গ্রহণ থাইরয়েডের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে, বিশেষ করে যাঁদের থাইরয়েডের রোগ আছে। টি৪ হরমোনকে আরও সক্রিয় টি৩-তে রূপান্তর করতে সহায়তা করে সেলেনিয়াম। পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট–বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে থাইরয়েডকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। সেলেনিয়ামের ঘাটতি বা বাড়তি দুটিই ক্ষতিকর।জিংক হরমোন সংশ্লেষণ ও রূপান্তরে ভূমিকা পালন করে এবং ঘাটতি হাইপোথাইরয়েডিজমে অবদান রাখতে পারে। হরমোন উৎপাদনে সরাসরি যুক্ত না হলেও আয়রন থাইরয়েডের কার্যকারিতা সমর্থন করে। এটির ঘাটতি হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণগুলোকে আরও খারাপ করতে পারে।খাবারের সঙ্গে সম্পর্ককিছু খাদ্য উপাদান থাইরয়েডের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব...
    থাইরয়েড হরমোন মানুষের বৃদ্ধি, বিকাশ, শারীরবৃত্তিক আর বিপাকীয় নানা ক্রিয়া-প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কম বা বেশি হলে শরীরে দেখা দেয় নানা বিপত্তি। এগুলো হরমোনের কার্যগত সমস্যা।  থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’ হয়। থাইরয়েডজনিত সমস্যার মধ্যে হাইপোথাইরেডিজম রোগীর সংখ্যা বেশি। এটি থাইরয়েডের সবচেয়ে পরিচিত সমস্যা।  সাধারণত মহিলারা এ রোগে আক্রান্ত হন বেশি। প্রতি আটজন মহিলার মধ্যে একজন হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যায় ভুগে থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অটোইমিউন কারণে এটি দেখা দেয়। এছাড়া থাইরয়েডে অস্ত্রোপচার, থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ, আয়োডিনের ঘাটতি, রেডিয়েশন ও কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় হাইপোথাইরয়েডিজম হতে পারে। থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিজনিত প্রতিক্রিয়া ধীরে ধীরে পরিলক্ষিত হয় বলে বেশির ভাগ রোগী সমস্যা বুঝতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে রুটিন পরীক্ষার সময় থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। হাইপোথাইরোডিজম আক্রান্ত ব্যক্তির অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ,...
    খিঁচুনি নিঃসন্দেহে একটি জটিল সমস্যা। শিশুর খিঁচুনি অভিভাবক ও চিকিৎসক দুই পক্ষকেই দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। শিশুর বেশির ভাগ খিঁচুনির কারণ, স্নায়বিক অর্থাৎ মস্তিষ্ককেন্দ্রিক। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন হরমোনের প্রভাবে ও কীভাবে শিশুর খিঁচুনিতে এগুলো ভূমিকা রাখে সে সম্পর্কে:হরমোন রক্তের অতিগুরুত্বপূর্ণ উপাদান—সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ও গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এর তারতম্য ঘটলে শিশুর খিঁচুনি হতে পারে। হরমোনের কারণে অতিমাত্রায় রক্তচাপ বেড়েও খিঁচুনি হতে পারে। এমন খিঁচুনির জন্য মূলত অ্যাড্রেনাল, প্যানক্রিয়াস, পিটুইটারি ও প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনসমূহ দায়ী।অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি থেকে কর্টিসল ও অ্যালডোস্টেরন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শরীরে সোডিয়াম ও গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এ গ্রন্থির কোনো রোগ, বিশেষ করে হরমোনের অপর্যাপ্ত নিঃসরণ দেখা দিলে খিঁচুনি হতে পারে। আবার অতিমাত্রায় অ্যালডোস্টেরন শরীরে সোডিয়াম বাড়িয়ে দেয় ও খিঁচুনির...
۱