হাইপোথাইরয়েডিজম কী, নবজাতকের ক্ষেত্রে করণীয়
Published: 25th, May 2025 GMT
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির অন্যতম অন্তরায় কনজেনিটাল বা জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম। গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন নামে একটি হরমোন তৈরি হয়, যা আমাদের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কোনো কারণবশত যদি থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে থাইরয়েড হরমোন তৈরি বাধাপ্রাপ্ত হয় বা ঘাটতি হয়, তবে তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলা হয়। রোগটি বড়দের যেমন হতে পারে, তেমনি দেখা দিতে পারে জন্মের পরপরই। নবজাতকের হাইপোথাইরয়েডিজম জন্মগতভাবে বা কনজেনিটাল হতে পারে, আবার জন্মের পর যেকোনো সময় হতে পারে।
কারণ কীযদি জন্মগতভাবে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড অনুপস্থিত থাকে, থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থাকলেও তা ছোট বা অপরিপক্ব থাকলে বা স্বাভাবিক অবস্থানে না থাকলে থাইরয়েড হরমোন তৈরির প্রক্রিয়ায় এনজাইমঘটিত কোনো সমস্যা, থাইরয়েড হরমোন পরিবহনে সমস্যা, আয়োডিনের স্বল্পতা নবজাতকের হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য দায়ী হতে পারে। গর্ভকালে মায়ের কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণ করলেও নবজাতকের হাইপোথাইরয়েডিজম হতে পারে।
রোগটি বড়দের যেমন হতে পারে, তেমনি দেখা দিতে পারে জন্মের পরপরই।লক্ষণ কীএকজন নবজাতক জন্মের পর সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মল ত্যাগ করে থাকে, হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত নবজাতকের ক্ষেত্রে এটি দেরি হতে পারে। মাথার তালুর ফাঁকা অংশটি অনেক বড় থাকতে পারে। মাথার মাপ তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে। শিশু কম কাঁদে, কাঁদলেও কান্নার আওয়াজ কর্কশ শোনায়। অতিরিক্ত ঘুম, খাবারে অনীহা, খসখসে ত্বক, জন্মের পর দীর্ঘমেয়াদি জন্ডিস, জিব বড় বা মুখের বাইরে দেখা যায়। হাত, পা ফোলা ফোলা হতে পারে।
পরীক্ষাজন্মের পরপর অনেক সময় লক্ষণ নির্দিষ্টভাবে বোঝা যায় না। তাই লক্ষণ বিচার এবং রোগী পর্যবেক্ষণ করে সব সময় এই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব নয়। তাই নবজাতকের ইউনিভার্সাল স্ক্রিনিংয়ের কথা আজকাল বলা হয়। মানে সব নবজাতকের জন্মের পর পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে রক্তে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা জরুরি। মা গর্ভকালে থাইরয়েডজনিত কোনো সমস্যায় আক্রান্ত বা থাইরয়েডের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো ওষুধ খেয়ে থাকলে অবশ্যই সচেতনতা প্রয়োজন।
চিকিৎসা কীনবজাতকের শরীরে থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শিশুটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব, রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করলে শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠবে। এই রোগে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধ খেতে দেওয়া হয়। পাশাপাশি নিয়মিত হরমোন পরীক্ষা করে ওষুধের মাত্রা কমানো বা বাড়ানো হয়। হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত নবজাতকের সময়মতো চিকিৎসা না করলে পরে মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হতে পারে। তাই প্রতিটি শিশুরই জন্মের পর থাইরয়েড পরীক্ষা করা উচিত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জন ম র পর ড হরম ন থ ইরয় ড পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
রাইজিংবিডি ডটকমে সংবাদ: ঢাবির সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
রবিবার (২৫ মে) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের বরাবর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়াকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরো পড়ুন:
নদীভাঙন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রক্ষায় মানববন্ধন
শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে তিতুমীর কলেজে গণস্বাক্ষর
এর আগে, শনিবার (২৪ মে) ‘ঢাবির সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীদের দেখার কেউ নেই’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি ডটকম।
প্রতিবেদনে হলের ক্যান্টিনে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন, অপরিচ্ছন্ন ওয়াশরুম, দুর্বল ওয়াইফাই সেবা এবং তাতে ছাত্র নেতাদের চাঁদাবাজি, হলের ওয়াশরুম সংস্কারে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজারুল কবির শয়নের ব্যবহারের জন্য অবৈধভাবে একটি টয়লেট বরাদ্দ, প্রকল্প থেকে প্রাধ্যক্ষের আর্থিক লুটপাটসহ বিভিন্ন অসংগতির চিত্র উঠে আসে।
আরো পড়ুন: ঢাবির সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীদের দেখার কেউ নেই
গত ৫ আগস্টের পরই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু হলের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারী গোমর ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে তাকে পদে থাকার জন্য অনুরোধ করেন। তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে একটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা হলের ওয়াইফাই সেবা প্রদানকারী কোম্পানি থেকে চাঁদাবাজি, দোকান বরাদ্দ থেকে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। হলে একটি নিয়োগে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবির অভিযোগও উঠেছে ওই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি হলে পাঁচজন নতুন আবাসিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরাও রয়েছেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী