থাইরয়েডের সঙ্গে হতাশা ও বিষণ্নতার কী সম্পর্ক
Published: 5th, October 2025 GMT
থাইরয়েডের ধরন
থাইরয়েড গ্রন্থির কাজের অস্বাভাবিকতা সাধারণত দুই রকমের হতে পারে—
১. হাইপোথাইরয়েডিজম: এ অবস্থায় থাইরয়েড হরমোন ‘থাইরক্সিন’-এর মাত্রা কমে যায়, কিন্তু টিএসএইচ হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়।
২. হাইপারথাইরয়েডিজম: এখানে থাইরয়েড হরমোন টি৩ বা টি৪, কিংবা উভয়ের মাত্রা বেড়ে যায়, আর টিএসএইচের মাত্রা কমে যায়।
রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীর ইতিহাস, শারীরিক লক্ষণ, গলার থাইরয়েড ও লিম্ফ নোড পরীক্ষা, ওজন, রক্তচাপ, চোখ, ত্বক, হৃৎস্পন্দন, রিফ্লেক্স, ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে থাইরয়েডের অটোইমিউন অ্যান্টিবডি পরীক্ষা, আলট্রাসনোগ্রাম, সুই দিয়ে এফএনএসি, রেডিওনিউক্লিয়ার ইমেজিংসহ বিভিন্ন হরমোন পরীক্ষাও করা হয়।
হাইপোথাইরয়েডিজমে মানসিক লক্ষণ হিসেবে দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, অবসাদ, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মনোযোগের অভাব, অতিরিক্ত ঘুম বা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। ওজন বেড়ে যাওয়া, কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাংসপেশির ব্যথা, চুল পড়া, ত্বক শুষ্ক হওয়া এবং অনিয়মিত মাসিকের মতো সমস্যাও থাকতে পারে।
থাইরয়েডের সঙ্গে হতাশা ও বিষণ্নতার সম্পর্ক আছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাবা ডাববিক্রেতা, মা পরিচারিকা; এই অভিনেতার গল্প সিনেমাকেও হার মানায়
বলিউডের কোনো অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনের গল্প অনেক সময় পর্দার গল্পকেও হার মানায়; বিশাল জেঠওয়া তেমনই একজন। চলতি বছর নীরজ ঘেওনের ‘হোমবাউন্ড’ সিনেমা দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় থাকা এই অভিনেতার এক বস্তি থেকে অস্কার পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চলতি বছর ভারত থেকে অস্কারে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ‘হোমবাউন্ড’কে; গত সপ্তাহে ওটিটিতে মুক্তির পর থেকে বাংলাদেশি দর্শকেরাও মজেছেন এই সিনেমায়। তবে অনেকেই জানেন না পর্দায় দুর্দান্ত অভিনয় করা বিশালের গল্প।
বস্তির দিনগুলো
১৯৯৪ সালের ৬ জুলাই এক গুজরাটি পরিবারে বিশালের জন্ম হয়। বাবা নরেশ জেঠওয়া ও মা প্রীতি জেঠওয়া। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা বিশাল ছোট থেকে অভাবের মধ্যে বড় হয়েছেন। জীবিকার খোঁজে বিশালের বাবা একসময় মুম্বাই পাড়ি দেন। বাণিজ্য নগরীতে এসে অকূলপাথারে পড়েছিল জেঠওয়া পরিবার। ছোটখাটো কাজকর্ম করে যা আয় হতো, তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই পরিবারের অন্ন সংস্থান করার জন্য মুম্বাইয়ের সড়কে ডাব বিক্রি করা শুরু করেন নরেশ। মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছিল ঘিঞ্জি বস্তিতে। ছোট থেকে অভাব নিত্যসঙ্গী হলেও লেখাপড়ার জন্য ছেলেকে উৎসাহ দিতে নরেশ ও প্রীতি।