গুগলের কুইক শেয়ার অ্যাপ ব্যবহার করে তারের সংযোগ ছাড়াই আশপাশে থাকা নির্দিষ্ট স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে দ্রুত ফাইল আদান-প্রদান করা যায়। অনেকেই নিয়মিত অ্যাপটির মাধ্যমে পরিচিতদের ফোনে বা কম্পিউটারে তথ্য পাঠিয়ে থাকেন। আর তাই বর্তমানের তুলনায় আরও সহজে দুটি ফোনের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের সুযোগ দিতে কুইক শেয়ার অ্যাপে কিউআর কোড–সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল। এই সুবিধার ফলে কিউআর কোড ব্যবহার করে কুইক শেয়ারের মাধ্যমে সহজেই ফাইল স্থানান্তর করা যাবে। সুবিধাটি গুগল প্লে সার্ভিসের সর্বশেষ সংস্করণ ২৪.

৪৯.৩৩ এ পাওয়া যাবে। অ্যান্ড্রয়েডের সব ব্যবহারকারীর জন্যই সুবিধাটি চালু হয়েছে। গুগলের ডিসেম্বর ২০২৪ হালনাগাদের অংশ হিসেবে এ সুবিধা চালু করা হয়েছে।

নতুন সুবিধাটি ব্যবহার প্রক্রিয়াও অত্যন্ত সহজ। শেয়ারিং মেনুতে কুইক শেয়ার অপশন নির্বাচন করলে ‘সেন্ড টু নিয়ারবাই ডিভাইসেস’ বিভাগের নিচে ‘ইউজ কিউআর কোড’ নামে একটি নতুন অপশন দেখা যাবে। এই অপশনটি নির্বাচন করলে কুইক শেয়ারের লোগোসহ একটি কিউআর কোড পর্দায় প্রদর্শিত হবে। কিউআর কোডটি প্রদর্শনের সময় যন্ত্রের পর্দায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ফলে নিকটবর্তী অ্যান্ড্রয়েড যন্ত্র এটি সহজেই স্ক্যান করতে পারবে। প্রাপকের কাজের প্রক্রিয়াও সহজ। প্রাপককে যন্ত্রের ক্যামেরাটি প্রদর্শিত কিউআর কোডটির দিকে ধরতে হবে। এরপর স্ক্যান শুরু হবে। স্ক্যান করার পর কুইক শেয়ারের একটি লিংক স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হবে এবং ফাইল শেয়ারিং প্রক্রিয়া শুরু হবে। সুবিধাটিতে একটি কিউআর কোড একই সঙ্গে একাধিক ডিভাইস স্ক্যান করা যাবে। ফলে একই ফাইল অনেক ব্যবহারকারীকে একই সঙ্গে শেয়ার করা যাবে।

অবশ্য স্যামসাং ব্যবহারকারীরা আগে থেকেই ‘কুইক শেয়ার’ সুবিধায় কিউআর কোডভিত্তিক শেয়ারিংয়ের সুবিধা ব্যবহার করে আসছেন। তবে স্যামসাংয়ের সংস্করণে স্যামসাং ক্লাউডের মাধ্যমে ফাইল শেয়ার করার মতো কিছু অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে।
সূত্র: নিউজ১৮ ডটকম

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ