মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তের আগে কনডেমড সেলে নয়: লিভ টু আপিল শুনানি ২৮ অক্টোবর
Published: 19th, October 2025 GMT
বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে নির্জন কারাবাসে (কনডেমড সেল) রাখা যাবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানির জন্য ২৮ অক্টোবর দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ রোববার এই দিন নির্ধারণ করেন।
এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে নির্জন কারাবাসে (কনডেমড সেল হিসেবে পরিচিত) রাখা যাবে না বলে গত বছরের ১৩ মে রায় দেন হাইকোর্ট। ঘোষিত রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে অন্য বন্দীদের মতোই দেখতে হবে। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বা অন্য বন্দীদের নিরাপত্তার স্বার্থে, সংক্রামক রোগ, স্বাস্থ্যগত বিষয়সহ ব্যতিক্রম পরিস্থিতির কারণে তাঁকে কনডেমড সেলে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীকে শুনানির সুযোগ দিতে হবে।
হাইকোর্টের সেই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত গত বছরের ১৫ মে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত সিপি (লিভ টু আপিল) করতে বলেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ গত বছর নিয়মিত লিভ টু আপিল করে। আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় লিভ টু আপিলটি ৩৮ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে বিষয়টি উত্থাপন করেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি মেনশন (উত্থাপন) করা হলে আপিল বিভাগ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন গঠিত বেঞ্চে ২৮ অক্টোবর শুনানির জন্য রেখেছেন।
বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা নিয়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হয়ে কনডেমড সেলে থাকা তিন আসামি ২০২১ সালে এই রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে পর্যবেক্ষণ, নির্দেশনাসহ গত বছরের ১৩ মে রায় দেন।
আরও পড়ুনকনডেমড সেলে কেন দুজন বন্দী রাখা হয় না?১৪ মে ২০২২.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ষ ট রপক ষ আপ ল ব ভ গ ম হ ম মদ গত বছর আস ম ক ন র জন
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে আমির হোসেনকে নিয়োগ
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো.আমির হোসেন।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এই দুটি মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে গত ২৩ নভেম্বর রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে শেখ হাসিনার পক্ষে তিনি রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চান না বলে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ ট্রাইব্যুনাল আমির হোসেনকে নিয়োগ দিলেন।
টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) গুম করে রাখার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় শেখ হাসিনা, সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর গুম করে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) রাখার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনা, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনগুমের দুই মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী জেড আই খান পান্না২৩ নভেম্বর ২০২৫এর আগেও শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আমির হোসেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সেই মামলায় শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইবুনাল।