বেশ অদ্ভুতই বলতে হবে।

ছেলে লিয়াম হাসকেটের অভিষেক ম্যাচ। খেলা দেখতে বেশ আগ্রহ নিয়েই দর্শক হিসেবে গ্যালারিতে হাজির বাবা। কিন্তু হাসকেট বল হাতে নিতেই অপ্রত্যাশিত ঘটনা! এই বাঁহাতির পেসারের বলে বিশাল এক ছয় হাঁকালেন ব্যাটসম্যান। হাজার হাজার দর্শকের মধ্যে সেটা গিয়ে পড়ল কি না ঠিক তাঁর বাবার হাতেই!

হাসকেটের বোলিংয়ের ছক্কায় তাঁর বাবার হাতে ক্যাচের এই অদ্ভুতুড়ে ও কাকতালীয় ঘটনাটি ঘটেছে বিগ ব্যাশে। গতকাল অ্যাডিলেড ওভালের অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স-ব্রিসবেন হিটের ম্যাচে।

ঘটনাটি ঘটে ব্রিসবেন হিটের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। হাসকেট নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি শর্ট অফ লেংথে চতুর্থ স্টাম্পে করেন। ব্যাটসম্যান ছিলেন নাথান ম্যাকসুয়েনি, যেন এমন কিছুর জন্যই অপেক্ষাই করছিলেন। পুল করে সোজা পাঠিয়ে দিলেন মিডউইকেট স্ট্যান্ডে।

হাজার হাজার দর্শকের ভিড়ের মধ্যে বল গেল হাসকেটের বাবার কাছে। একদম সরাসরি তাঁর হাতে গিয়ে পড়েনি, মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল বলে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে একটু কষ্ট করেই ক্যাচ নিয়েছেন তিনি।

সাধারণত গ্যালারিতে থাকা কোনো দর্শক ক্যাচ নিলে বাধভাঙা উদ্‌যাপন দেখা যায়। কিন্তু ছেলের বলে ছক্কা হয়েছে, বাবা কী আর উদ্‌যাপন করতে পারেন! মুখ গোমড়া করেই বল মাঠে ফেরত দিলেন। মুখ গোমড়া থাকার অবশ্য আরও কারণ আছে। ছক্কা খাওয়ার আগের দুই বলেও যে বাউন্ডারি খেয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। নিজের করা প্রথম ওভারে খেয়েছেন আরও ২ ছক্কা।

এই ২ ছক্কা মেরেছেন যিনি, সেই মাইকেল নেসারকে অবশ্য আউট করেছেন হাসকেট। নিজের তৃতীয় ওভারেও উইকেট পেয়েছেন এই পেসার। ৩ ওভার ২ উইকেট নেওয়ার পথে দিয়েছেন ৪৩ রান।

তবে হাসকেটের বোলিংয়ের চেয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি আলোচিত হয়েছে তাঁর বাবার ক্যাচ। এ নিয়ে তখনই ধারাভাষ্যকক্ষে কথা বলছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ‘ওই লোকটি হাসকেটের বাবা লয়েড হাসকেট। সেখানেই বসে ছিল, অন্যকিছুর দিকে চোখ দেয়নি। আমরা ভেবেছিলাম, উনি অনেক ঠান্ডা মাথার কেউ একজন হবে। কিন্তু আসলে অভিষেক ম্যাচে তার ছেলে ছক্কা খেয়েছে আর তিনি ক্যাচটি ধরেছেন, এ কারণে তিনি হতাশ।’

এর সঙ্গে মাইকেল ভন যোগ করেন, ‘এমন ঘটনা এটাই প্রথম।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ