৯৯৯৯ রানে আউটের দায় হ্যাজলউডের ঘাড়ে চাপালেন স্মিথ
Published: 14th, January 2025 GMT
আর ১ রান হলেই টেস্টে ১০ হাজার রান। ভারতের বিপক্ষে সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এমন সময় গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন স্টিভ স্মিথ। তাতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান আটকা পড়লেন ৯৯৯৯-এ।
সেই আউটের দিন দশেক পর স্মিথ জানালেন তাঁর আউটের পেছনের কারণ। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক দাবি করলেন, সতীর্থ জশ হ্যাজলউডের বড় দায় আছে ৯৯৯৯ রানে আউট হওয়ায়। হ্যাজলউড তো সিডনি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দলেই ছিলেন না, তিনি কী করে স্মিথের আউটের কারণ হলেন—এ প্রশ্ন করতেই পারেন।
জানতাম, ৩৮ রান দরকার। রাতে যখনই ঘুমাতে চেষ্টা করেছিলাম জশ হ্যাজলউডের জার্সিটা চোখে ভাসত, কারণ ওর নম্বর ৩৮।স্টিভ স্মিথ, ব্যাটসম্যান, অস্ট্রেলিয়াপ্রশ্নের উত্তরটাও দিয়েছেন স্মিথ। সিডনি টেস্টটা ১০ হাজার থেকে ৩৮ রান দূরে থেকে শুরু করেছিলেন স্মিথ। সমস্যা করেছে এই ৩৮ সংখ্যাই। জশ হ্যাজলউডের জার্সি নম্বরও ৩৮। স্মিথের দাবি, সিডনি টেস্টের আগে চোখ বুঝলেই হ্যাজলউডের জার্সি নম্বরটা ভেসে উঠেছে মনে। আর সেটিরও প্রভাব পড়েছে মনঃসংযোগে।
আউট হয়ে ফিরে যাচ্ছেন স্মিথ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল