চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) যুব গ্রুপে সদস্যরা খাবার মূল্য তালিকা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দোকানে প্রদর্শন করেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সমিতি অনুমোদিত ন্যায্য মূল্যের তালিকাটি সব হোটেলে টানিয়ে দেন তারা। 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) খাবারের মূল্য তালিকা নিয়ে শিক্ষার্থী ও দোকানিদের বিভ্রান্ত দূর করতে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

জানা গেছে, ক্যাব যুব গ্রুপ চবির সাংগঠনিক সম্পাদক রোজাইন আল রাফির নেতৃত্বে একটি দল ক্যাম্পাসের লেডিস ঝুপড়ি, কলা ঝুপড়িসহ আশপাশের দোকানে নির্ধারিত মূল্য তালিকা প্রদর্শন করেন।

অন্যদিকে, ক্যাব যুব গ্রুপ চবির দপ্তর সম্পাদক তানজিম আশরাফের নেতৃত্বে আরেকটি দল ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট, স্টেশন ও সোহরাওয়ার্দী মোড় সংলগ্ন দোকানপাটে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় দোকান-মালিকেরা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

দপ্তর সম্পাদক তানজিম আশরাফ বলেন, “নির্ধারিত মূল্য তালিকা থাকার পরেও সঠিক তথ্য না জানার কারণে বিভিন্ন দোকানে শিক্ষার্থী ও দোকানিদের মাঝে বাকবিতণ্ডা লক্ষ্য করা যায়। দোকানিদের অনেকেই এই মূল্য তালিকা সম্পর্কে জানেন না বলেও দাবি করেন। এ সমস্যা দূরীকরণে ক্যাব যুব গ্রুপ চবির পক্ষ থেকে উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে।”

সাংগঠনিক সম্পাদক রোজাইন রাফি বলেন, “ক্যাব সবসময়ই ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সুলভ মূল্যে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রশাসনের নেওয়া উদ্যোগকে সবার কাছে পৌঁছে দিতেই আমাদের এ কার্যক্রম। যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ