ইলেকট্রনিকস প্রদর্শনীতে নতুন ডিভাইস
Published: 14th, January 2025 GMT
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস প্রদর্শনী (সিইএস) হয়েছে। চলতি আসরে এবার আসুস রিপাবলিক অব গেমারস (আরওজি) ঘরানার ল্যাপটপ উন্মোচন করেছে।
প্রদর্শনীতে ব্র্যান্ডের কোপাইলট প্লাস পিসি লাইনআপের ল্যাপটপ আলোচিত হয়। গেমিং জগতে আরওজি ল্যাপটপ ও প্রফেশনাল কাজে ভিভোবুক ও জেনবুকের পারফরম্যান্স বিশেষভাবে আলোচনায় আসে। মানোন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও স্থায়িত্বের দিক থেকে ব্র্যান্ডটির সবকটি নতুন ল্যাপটপে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা।
ব্র্যান্ডের গেমিং ল্যাপটপ সিরিজের মধ্যে আরওজি স্ট্রিক্স স্কার-১৬, স্ট্রিক্স স্কার-১৮, স্ট্রিক্স জি-১৬ ও স্ট্রিক্স জি-১৮ অন্যতম। আরওজি সংস্করণের ফ্লো জি-১৩, আরওজি জেফাইরাস জি-১৪ এবং জেফাইরাস জি-১৬ মডেল প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অন্যদিকে, পিসি ক্যাটেগরিতে ভিভোবুক ১৪/১৬, ভিভোবুক এস১৪/এস১৬, জেনবুক এ১৪ ও জেনবুক ডুও ছিল বিশেষ আলোচনায়।
সিরিজ ল্যাপটপ
ব্র্যান্ডের আরওজি সিরিজ ল্যাপটপে গেমারদের জন্য থাকছে সর্বশেষ প্রযুক্তি ও ব্যতিক্রম ডিজাইন। নতুন আরওজি স্ট্রিক্স, জেফাইরাস ও ফ্লো সিরিজের ল্যাপটপে যুক্ত হয়েছে ইনটেল কোর আলট্রা প্রসেসর, এএমডি রাইজেন প্রসেসর ও এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ৫০ সিরিজের জিপিইউ।
শুধু গেম নয়, সৃজনশীল কাজের জন্য পাতলা ও হালকা গড়নের ল্যাপটপের চাহিদা পূরণের ডিভাইস হতে পারে জেফাইরাস জি-১৪ ও জি-১৬। জেফাইরাস জি-১৪ ল্যাপটপের বৈশিষ্ট্য এএমডি রাইজেন এআই ৯ এইচএক্স ৩৭০ প্রসেসর। জেফাইরাস জি-১৬ ল্যাপটপে রয়েছে ইনটেল কোর আলট্রা ৯-এর ২৮৫ এইচ প্রসেসর ও এনভিডিয়া আরটিএক্স ৫০৯০ জিপিইউ।
সবচেয়ে হালকা
ব্র্যান্ডের জেনবুক এ-১৪ মডেলটি ওজনে এক কিলোগ্রামের চেয়েও কম, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে হালকা পিসি। ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ টানা ৩২ ঘণ্টা। অন্যদিকে জেনবুক ডুও মডেলে থাকছে ইনটেল কোর আলট্রা ৯ প্রসেসর। ওজনে যেমন হালকা, তেমনি মাল্টিটাস্কিং প্রয়োজনের শর্ত পূরণ করবে বলে নির্মাতারা জানান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।
তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।
শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’