বিজয়নগরে পারাবত ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল
Published: 16th, January 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯) আপ ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছে। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়লেও অন্য কোনো ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর রেল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
মুকুন্দপুর স্টেশন মাষ্টার পরশ আলী শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেট অভিমুখী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি আজমপুর স্টেশন থেকে ছাড়লে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে ইঞ্জিন বিকল অবস্থায় ধীরে ধীরে ৩০ মিনিট ধরে সকাল ১০টায় মুকুন্দপুর স্টেশনে এসে পৌছায়।”
তিনি আরো বলেন, “দেড় ঘণ্টা স্টেশনে দাঁড়ানো অবস্থায় আখাউড়া জংশন থেকে নতুন ইঞ্জিন লাগিয়ে সকাল ১০টা ২৭ মিনিটের দিকে সিলেট অভিমুখে ছেড়ে যায়। এ সময় ট্রেন চলাচলে কোনো বিগ্ন ঘটেনি।”
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’
গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।