এবিসির সভাপতি জফরী, মহাসচিব দেবাশীষ
Published: 16th, January 2025 GMT
অল ব্রডকাস্টার্স কমিউনিটির (এবিসি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন চৌধুরী দৌলত মোহাম্মদ জাফরী ও মহাসচিব হয়েচেন দেবাশীষ রঞ্জন সরকার। বার্ষিক সাধারণ সভায় কণ্ঠ ভোটের মাধ্যমে আগামী ২ বছরের জন্য ২৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন হয়। সংগঠনটি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জনানো হয়।
ঢাকার পূর্বাচলের একটি রিসোর্টে গত শুক্রবার উৎসবমুখর পরিবেশে এবিসির ফ্যামিলি ডে-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। দিনটিকে উদযাপন করেন এবিসি পরিবারের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে কণ্ঠ ভোটের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যরা হলেন- সহসভাপতি সাদিয়া আফরিন (বিটিভি), লিজা চৌধুরী (জিটিভি), নাহিদ জামান সোমা (বাংলাভিশন) ও নুজহাত আফরিন (এসএ টিভি ), যুগ্ম সম্পাদক শাওন আহসানুর রহমান (একাত্তর টিভি), হাসান মাহাদী (স্টার নিউজ) ও মামুন আব্দুল্লাহ (বাংলাভিশন), কোষাধ্যক্ষ রাজেশ রঞ্জন সরকার (গ্লোবাল টিভি), সাংগঠনিক সম্পাদক আশফাকুর রহমান আদনান (এসএ টিভি), স্বাস্থ্য সম্পাদক ডক্টর রাশিদা সুলতানা রিংকু (মোহনা টিভি), সাংস্কৃতিক সম্পাদক রিফাত শিশির (এসএ টিভি), ক্রীড়া সম্পাদক নাবিল কায়সার (টি স্পোর্টস), শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক আনোয়ার সরকার রাজ (এশিয়ান টিভি), সমাজকল্যাণ সম্পাদক রাশিদ কামাল, দপ্তর সম্পাদক সিনথিয়া রহমান (আর টিভি), আইসিটি সম্পাদক তামান্না নাহিদ খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মামুনুর রশীদ রাজ (জিটিভি), ইভেন্ট বিষয়ক সম্পাদক রেহনুমা চৈতি (জিটিভি), আইন সম্পাদক মোস্তফা কামাল তোহা (ডিবিসি নিউজ) ও নারী কল্যাণ সম্পাদক সাবরিনা চৌধুরী (এসএ টিভি)। কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন- শিপন আহসান, রিয়াজ হাফিজ (একুশে টিভি), ফয়সাল তিতুমীর (যমুনা টিভি), আহমেদ রেজা (যমুনা টিভি) ও ফাহিম রহমান (একাত্তর টিভি)।
এদেশের টেলিভিশন ও রেডিওর উপস্থাপক দের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করতে অল ব্রডকাস্টার্স কমিউনিটি (এবিসি) বদ্ধপরিকর বলে জানান সংগঠনটির নেতারা। তারা জানান, মিডিয়াভিত্তিক সকল সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও সম্প্রীতি বজায় রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে চায় টিডি-রেডিওর সকল উপস্থাপকদের এই ফোরাম।
সরকারি ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন, রেডিও স্টেশনগুলোর সংবাদ উপস্থাপক, টক-শো সঞ্চালক, রেডিও জকি ও অনুষ্ঠান উপস্থাপকদের সংগঠন অল ব্রডকাস্টার্স কমিউনিটি (এবিসি) ২০২৪ এর ৭ জুন যাত্রা শুরু করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রহম ন স গঠন উপস থ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দাবি ইনকিলাব মঞ্চের
ছাত্র আন্দোলনের ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
সোমবার (১৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির কথা জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনটির মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা দিবস আছে, বিজয় দিবস আছে, কিন্তু আমাদের মুক্তি ঘটেনি। তাই ঐতিকহাসিক ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণা করতে হবে। এ ছাড়াও জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার আগে জনগণের মতামতের জন্য তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
বেগম রোকেয়া পদকের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান
নিরাপদ খাদ্য দিবস শনিবার: ‘নিরাপদ খাদ্য উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি কমায়’
তিনি বলেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মৌলিক সংস্কার এবং ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত না করে দেশে যদি নির্বাচন আয়োজন করা হয়, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘গাদ্দার’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এই সনদে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের নিরিখে বৈষম্যবিরোধী ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “সংবিধান থেকে জনবিরোধী ও জুলাই সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব ধারা উপধারা বাতিল করে জুলাই সনদকে সাংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব দল, মত এবং লিঙ্গের ন্যায্য শরিকানা নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে বলা হবে- আমরা বাংলাদেশের জনগণ এই ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান সম্পল্প করেছি।”
সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চ ১৩টি প্রস্তাবনা তুলে ধরে, যা জুলাই সনদের কার্যকর প্রয়োগ ও জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে।
প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করা সব শহীদকে রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ সন্তান ঘোষণা করতে হবে; যেসব জুলাই যোদ্ধার স্থায়ী অঙ্গহানি হয়েছে, তাদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচন বাতিল করে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এছাড়া ফ্যাসিবাদী আমলের সকল মন্ত্রী, এমপি ও দোষী আমলাসহ রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের বিচারের আওতায় এনে অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ জব্দ করে তা শহীদ ও আহতদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে; দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা রক্ষায় ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে; জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে দেশি-বিদেশি অপশক্তি চিহ্নিত করতে হবে; রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার করতে হবে যাতে ফ্যাসিবাদ আর স্বৈরতান্ত্রিকতা কখনও ফিরে না আসে; ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণা করতে হবে।
বাকি দাবিগুলো হলো- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী কল্যাণ রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে; সংবিধান থেকে জনবিরোধী ও জুলাই সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব ধারা বাতিল করে জুলাই সনদকে সংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব দল, মত ও লিঙ্গের ন্যায্য অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; জুলাই সনদের ভাষাগত দুর্ব্যবহার পরিহার করে জনসাধারণের জন্য সহজ ভাষায় উপস্থাপন করতে হবে এবং সনদ চূড়ান্ত করার পূর্বে জনগণের মতামতের জন্য তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
আগামী ২৫ জুনের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করা না হলে রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে ‘লাল মার্চ’ করার ঘোষণাও দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী