চট্টগ্রামে ‘চিটাগং ঝাঁজ’ টের পেল খুলনা
Published: 16th, January 2025 GMT
হারিয়ে যাওয়া কোনো ক্রিকেটার খুঁজে পেতে কিংবা উঠতি ক্রিকেটারের দেখা পেতে অনেকেই বিপিএলে খোঁজ রাখেন। চট্টগ্রামে ‘হারিয়ে যাওয়া’ একজনকেই তেতে উঠতে দেখা গেল।
ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার গ্রাহাম ক্লার্ক। ডারহামের হয়ে খেলা ব্যাটসম্যান কখনো জাতীয় দলের আশেপাশেও যেতে পারেননি। ৩২ ছোঁয়ার অপেক্ষায় থাকা সর্বোচ্চ খেলেছেন ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৭ দলে। তাকে এবার চিটাগং কিংস উড়িয়ে এনেছে বিপিএল খেলতে। ডানহাতি ব্যাটসম্যান বিপিএল মঞ্চে নিজের ছাপ রাখছেন বেশ ভালোভাবেই।
আজ চট্টগ্রাম পর্বের শুরুটা করলেন সেঞ্চুরি দিয়ে। বিপিএলের তৃতীয় বিদেশীর সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে পঞ্চম। যে সেঞ্চুরিতে ঘরের মাঠে নিজেদের ঝাঁজ দেখাল চিটাগং। আগে ব্যাটিং করতে নেমে চিটাগং ৭ উইকেটে ২০০ রান তোলে। জবাবে খুলনা টাইগার্সের ইনিংস থেমে যায় ১৫৫ রানে। ৪৫ রানের বিশাল জয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচ জিতল চিটাগং। অন্যদিকে সিলেট পর্বে কোনো ম্যাচ না জেতা খুলনা চিটাগংয়ের শুরুটাও করলো বিব্রতকর হারে।
আরো পড়ুন:
আশ্বাসেও ভরসা নেই ক্রিকেটারদের!
তীরে এসে ডুবলো খুলনা, রংপুরের রোমাঞ্চকর জয়
ম্যাচটা গ্রাহাম ক্লার্ক একাই নিজের করে নিয়েছেন। আগের দুই ম্যাচে ৩৩ বলে ৬০, ৩২ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। আজ তার ব্যাট থেকে এলো ঝকঝকে ৫০ বলে ১০১ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ৭ চার ও ৬ ছক্কা। খুলনার অভিষিক্ত স্পিনার মাহফুজ রাব্বীকে পরপর তিন ছক্কা মেরে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে স্বাগত জানান এই ব্যাটসম্যান।
২৮ বলে ফিফটি পূরণ করা ক্লার্ক পরের ২০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। যা টি-টোয়েন্টিতে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে ডারহামের হয়েই ভিটালিটি ব্লাস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ক্লার্কের জ্বলে উঠার দিনে রান পেয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। ২৯ বলে ৪ ছক্কায় ৩৯ রান করেন। এছাড়া ১৬ রান আসে শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে। ১১ রান করেন অধিনায়ক মিঠুন। শেষ দিকে চিটাগংয়ের ইনিংসে তেমন রান হয়নি। তবুও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। খুলনার হয়ে বল হাতে তিনটি করে উইকেট নেন এরশাদ ও নওয়াজ।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় শুরুতেই ম্যাচটা হারিয়ে ফেলে খুলনা। ৭১ রান তুলতে তাদের অর্ধেক ব্যাটসম্যান ফেরেন সাজঘরে। দুই ওপেনার নাঈম ও শিবলি দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। মিরাজ থেমে যান ১৯ রানে। আফিফ করেন মাত্র ২০ রান।
দলের বিপর্যয়ে হাল ধলার চেষ্টায় ছিলেন দারউইস রসুলি ও মোহাম্মদ নওয়াজ। তাদের ব্যাটেই খুলনা পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনে। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা রসুলি ২ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। নওয়াজ ২০ বলে ২ চার ও ১ চারে করেন ২৫ রান। শেষ দিকে অঙ্কনের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।
ব্যাটিংয়ের মতো চিটাগংয়ের বোলিংও ছিল নিয়ন্ত্রিত। স্পিনার আরাফাত সানী ২৫ রানে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন গ্রাহাম ক্লার্ক।
শুক্রবারই তাদের পরবর্তী ম্যাচ টুর্নামেন্টে এখন অপরাজিত দল রংপুর রাইডার্স। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে তাদের আগামীকাল কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য টসম য ন ব প এল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
চেন্নাইয়ের বিদায়, অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ধোনি!
আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে জায়গা হলো না চেন্নাই সুপার কিংসের। ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হেরে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর শুধু চেন্নাইয়ের বিদায়ই নয়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন—এটাই কি তার শেষ আইপিএল?
ম্যাচ শুরুর আগেই টসের সময় ধোনিকে ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসনের সরাসরি প্রশ্ন ছিল, ধোনি কি আগামী মৌসুমেও আইপিএলে দেখা যাবে? জবাবে হেসে ধোনি বলেন, ‘আমি তো জানি না পরের ম্যাচেই খেলব কি না।’ এই মন্তব্যেই ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও ম্যাচ শেষে নিজের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ধোনি। তাকেও সে ব্যাপারে আর প্রশ্ন করেননি সঞ্চালক।
ধোনির মন্তব্যে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘ধোনি একজন চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি। তার আর কিছু প্রমাণের নেই। সম্ভবত এবার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। যদিও ভক্তদের জন্য তা কষ্টদায়ক হবে।’
চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রান তোলে। স্যাম কারানের ৮৮ রানের ইনিংস ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ দিকে যুজবেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকে মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ইনিংস। চাহাল ৪ উইকেট নেন, জানসেন ও আর্শদীপ নেন ২টি করে।
জবাবে পাঞ্জাবের হয়ে ঝড়ো সূচনা এনে দেন প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরান সিং। প্রভসিমরান খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস এবং শশাঙ্ক সিংয়ের শেষের ২৩ রানের ক্যামিওতে দুই বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। এই জয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।