শতবর্ষ উদযাপন অনিশ্চিত রাজনৈতিক টানাহেঁচড়ায়
Published: 17th, January 2025 GMT
নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে ‘বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে’র শতবর্ষ পূর্তি উৎসব উদযাপন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত বছর তৎকালীন ক্ষমতাসীন অওয়ামী লীগ অনুগত সাবেক ছাত্রীদের নিয়ে উদযাপন পরিষদ গঠন করা হয়। শেখ হাসিনার পতনের পর পরিষদের নেতৃত্বে আসেন গণঅভ্যুত্থানের সমর্থনকারী সাবেক ছাত্রীরা। এর পর শুরু হয় অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
নতুন নেতৃত্বদানকারীরা গতকাল বৃহস্পতিবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্ধারিত সময়ে শতবর্ষ অনুষ্ঠান তারা করতে পারছেন না। এ জন্য প্রতিপক্ষ গ্রুপকে তারা দায়ী করেন। সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক শাহ সাজেদার বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেত্রী বিলকিস জাহান শিরিন।
জানা গেছে, ২০২৩ সালে বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে। জাঁকজমকভাবে শতবর্ষ উদযাপনে গত বছরের শুরু থেকে তৎপরতা শুরু হয়। তখন উদযাপন পরিষদের নেতৃত্ব নিয়ে আওয়ামী অনুগত সাবেক শিক্ষার্থীরা বিভক্ত হলে তাদের উদ্যোগ বেশিদূর এগোয়নি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান নেতৃত্ব আগামী ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি শতবর্ষ উদযাপন উৎসবের দিন ধার্য করেন।
পরিষদের আহ্বায়ক ফয়জুন নাহার শেলী বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে অধ্যাপক শাহ সাজেদার নেতৃত্বাধীন কমিটি বিপুল সংখ্যক সাবেক ছাত্রীর নিবন্ধনের পরও শতবর্ষ উদযাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি বিএনপি নেত্রী বিলকিস জাহান শিরিনের দারাস্থ হন। তাঁর বাসায় গিয়ে উদযাপন পরিষদের নেতৃত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেন। তবে ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে নেতৃত্ব নেননি শিরিন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শাহ সাজেদার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শেলীর নেতৃত্বাধীন আহ্বায়ক কমিটি চুক্তি ভঙ্গ করায় ওই চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। ফেসবুক আইডিতে শাহ সাজেদা লেখেন, সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপি নেত্রী শিরিনের নাম নিয়ে কিছু বলেননি।
বিএনপি নেত্রী বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘আমি উদযাপন পরিষদের কমিটিতে নেই। শাহ সাজেদা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে আমার সম্মানহানি করেছেন। মানহানির মামলা করেছি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল ন র পর ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
তিতুমীর কলেজে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ২০২৫’ এর অংশ হিসেবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় শহীদ বরকত মিলনায়তনে এ ডকুমেন্টারি প্রদর্শন হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমেদ, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সম্পাদক অধ্যাপক এম এম আতিকুজ্জামান প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে আহত ১২
ফাইল ট্র্যাকিং সিস্টেম কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করবে: বেরোবি উপাচার্য
অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমেদ বলেন, “জন্মের পর থেকে দেখে এসেছি, জুলাই মাস ৩১ দিনের হয়ে থাকে। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে দেখলাম, এই মাস ৩৬ দিনের। আজকের দিনটিকে শুধু একটি অনুষ্ঠান বলা কঠিন। কারণ আজকের প্রদর্শনী আমাদের বেদনার অতলে ডুবিয়ে দেবে, আমাদের অনেকের চোখে অশ্রু এনে দেবে।”
তিনি বলেন, “যারা অতীতে এ দেশ শাসন করেছে, তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। তারা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করে আমাদের উন্নতির পথ রুদ্ধ করেছে এবং জনগণের জীবনকে করেছে দুর্বিষহ। আজকের প্রদর্শনীতে আমরা প্রত্যক্ষ করছি কীভাবে প্রায় ২ হাজার প্রাণ ও ২৫ হাজার আহত ভাই-বোনের রক্ত ও ত্যাগে নির্মিত হয়েছে এক বেদনাদায়ক অধ্যায়।”
শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে তিনি আরো বলেন, “এই ৩৬ দিনের জুলাই আমাদের ইতিহাসের একটি স্মরণীয় দিন। কিন্তু এ রকম বেদনাদায়ক দিন যেন আর কখনো আমাদের জীবনে ফিরে না আসে, মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি।”
ঢাকা/হাফছা/মেহেদী