সালমান-আনিসুল-পলক-দীপু মনিদের নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
Published: 20th, January 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৮ জনকে নতুন করে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখান।
সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক ছাড়া বাকিরা হলেন- সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা.
এদিন সকালে আসামিদের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখান।
এরমধ্যে সালমান এফ রহমানকে যাত্রাবাড়ী থানার ৪টি ও মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায়, আনিসুল হককে যাত্রাবাড়ী থানার ৭টি, মোহাম্মদপুর থানার একটি এবং খিলগাঁও থানার একটি মামলায়, ডা. দীপু মনিকে যাত্রাবাড়ী থানার ২টি মামলায়, জুনাইদ আহমেদ পলককে যাত্রাবাড়ী থানার ২টি ও সূত্রাপুর থানার একটি মামলায়, রাশেদ খান মেননকে যাত্রাবাড়ী থানার ৫টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
এছাড়া হাসানুল হক ইনুকে যাত্রাবাড়ী থানার ৫টি মামলায়, হাজী সেলিমকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যাত্রাবাড়ী থানার ৬টি, মোহাম্মদপুর থানার ২টি, সূত্রাপুর থানার ২টি এবং খিলগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ড দ প মন থ ন র একট মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু