সালথা উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাসিরকে বহিষ্কার
Published: 20th, January 2025 GMT
সালথা উপজেলার যুবদল নেতা হাসান আশরাফের বাড়িতে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন মাতুব্বরকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। রোববার রাত ১১ টায় সালথা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমদাদ আলী সিদ্দিকী খসরু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠন বিরোধী কার্যকালাপে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলাধীন সালথা উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দিন মাতুব্বরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.
উল্লেখ্য, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সালথা উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাসির মাতুব্বরের সাথে উপজেলা যুবদল নেতা হাসান আশরাফের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় নকুলহাটি বাজারে বিএনপি নেতা নাসির মাতুব্বর ও যুবদল নেতা হাসান আশরাফের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
এদিকে রবিবার সকাল ১০টার দিকে বিএনপি নেতা নাসির মাতুব্বর ও তার কয়েকশত সমর্থক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে যুবদল নেতা হাসান আশরাফের দোতলা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং তার একটি টিনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় হাসান আশরাফের সমর্থক স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাজেদ মোল্যার দুটি ঘর, ইউনুস মোল্যা দুটি ঘর, বিভাগদী গ্রামের শহীদ সরদারের বাড়ি ঘর ও শফিকের একটি দোকান ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ হ স ন আশর ফ র য বদল ন ত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।