কুয়েতে মানবপাচার ও স্ট্যাম্প জালিয়াতিতে ৩ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
Published: 21st, January 2025 GMT
মানবপাচার ও স্ট্যাম্প জালিয়াতির অভিযোগে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দেশটির স্থানীয় স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম আরব টাইমস জানিয়েছে, রেসিডেন্সি জেনারেল ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে মানবপাচারে জড়িত দুই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি সরকারি ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমের স্ট্যাম্প জাল করার অভিযোগে আরো একজন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) জেনারেল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটি রিলেশনস অ্যান্ড মিডিয়া এক বিবৃতিতে জানায়, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তি বাংলাদেশিদের কাছ থেকে প্রতি ভিসা বাবদ ১৭০০ থেকে ১৯০০ দিনার পর্যন্ত ফি নিয়ে ভিসা বিক্রি করেন বলে স্বীকার করেছেন।
এতে আরো জানানো হয়, তৃতীয় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সরকারি ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমের জন্য জাল স্ট্যাম্প তৈরিতে জড়িত থাকার বিষয়ে গোপন সূত্রের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ জাল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রেপ্তার বাংলাদেশিদের পরিচয় জানানো হয়নি।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রেফার্ড করা হয়েছে।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সচেতন অবচেতনা
আষাঢ়ে–শ্রাবণে
অগ্নি কি নিবেছে?
একনাগাড়ে কত দিন ধরে
বৃষ্টি চলেছে তো চলেছেই।
জ্যৈষ্ঠে শুরু। তারপর এই
সারাটা আষাঢ় মাস ধরে
বৃষ্টি হচ্ছে। সারা দিন–রাত।
আকাশে পিঙ্গল পর্দা টানা।
সূর্য নেই। মেঘেলা। ধূসর।
রাস্তায় রাস্তায় জলস্রোত।
দিনরাত্রি অঝোর ঝরন।
মনে হয়, কখনো দেখিনি
সূর্য কিংবা রৌদ্রের ঝলক।
জলধারা ভুবন ভাসায়, —
শুধু এক কণা অগ্নি জ্বলে
সব দৃষ্টি–শ্রুতির বাইরে।
(মুস্তফা আনোয়ার–কে)
বৃষ্টির শাবলে আর গাঁইতির চাড়ে
রাত্রির কালো খনি ধসে পড়তে থাকে।
দেখি আর মনে মনে বলি: শেখো–শেখো–
কী করে মেলাতে হয় স্বপ্ন–ও–সত্তাকে।
কিন্তু ভোরবেলাতেই ভুল হয়ে যায়;
বুঝতে পারি না, বৃষ্টি নাকি জ্যোৎস্না ঝরছে?
পুষ্পিতা যুবতী, নাকি জুঁইফুলগাছ?
বেঁচে আছি, নাকি ঢুকে পড়েছি স্বর্গে?
বাস্তবতা নিয়ে আজো খাই হিমশিম,
ঊনষাটেও দেখছি আজো কিছুই মেলে না:
নিসর্গ রহস্যময়: নারী অপ্রবেশ্য;
পৃথিবী আকাশে ঢাকা; মানুষ অচেনা।
রাত্রি একটার ঢাকা। বৃষ্টি হয়ে গেছে এই একটু আগে।
ভিজে কালো রাস্তায় লাল–নীল–হলুদ–পাটকিলে আলোর বাহার।
ফিরছিলাম আমরা দুজন–আমি আর আতাহার।
আকাশ কি মেঘে ঢাকা? কালো মেঘ–ছেঁড়া দু–চারটি তারা
সিল্কের মতন আকাশে জ্বলছে পুঁতির মতন।
এখনো বাতাসে ঠান্ডা, বৃষ্টি থামলো এই কিছুক্ষণ।
পৃথিবীতে এরকম রাত্রি আর আসেনি কখনো।
ময়ূরের মতো এতো বর্ণময়, এমন নীরব–কলস্বরা,
এতো শান্ত-গতিশীল, এতো সশরীরী অথচ অধরা।
আরে। বৃষ্টি ফের: শাদা পর্দা পড়ে গেল রাত্রির নাটকে।
ভিজে কালো রাস্তায় চমকাচ্ছে আকাশের যত তারা।
কোথাও উৎসব নেই, তবু বাজছে ধ্বনি–প্রতিধ্বনিময় সারা–রারা–রারা।
দিনগুলি মিথ্যা হল এরকম বৃষ্টি–বেঁধা রাত্রির ঝংকারে
কতো গ্রীষ্ম ধুয়ে গেল এবারের আষাঢ়ে–শ্রাবণে,
হে রাত্রি, বৃষ্টির রাত্রি, তুমি আজ ঝরছো গহনে।
রাত্রি আজ জেগে উঠলো প্রজ্জ্বলন্ত বৃষ্টির বিভায়,
মেঘে লুপ্ত হয়ে চাঁদ মিশে রইল আমাদের নগরে–বন্দরে,
চলো যাই উড়ে যাই কালো–নীল রাত্রির ভিতরে।
বহুক্ষণ বৃষ্টি থেমে গেছে।
এখন গাছের ডাল থেকে,
পাতা থেকে চুঁইয়ে পড়ছে
জলবিন্দু। হিরের। রুপোর।
কে ডাকছে ডাক নাম ধরে?
এতো রাতে কে ডাকছে? কে? কে?
ভুল। কেউ নেই। কিছু নেই।
পথে পথে সোনার মোহর।