বিয়ের ৪ দিনের মাথায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের
Published: 22nd, January 2025 GMT
বিয়ের ৪ দিনের মাথায় বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে বেড়াতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন রাকিব জমাদ্দার (২৩) নামে এক যুবক।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় উপজেলার চরখালি-মঠবাড়িয়া সড়কের ঝাউতলা এলাকায় নির্মাণাধীন কালভার্টের গর্তে পড়ে নিহত হন রাকিব। এ দুর্ঘটনায় রাকিবের বন্ধু সুব্রত হালদার (২০) গুরুতর আহত হয়েছেন।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত রাকিব জমাদ্দার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ভগিরতপুর ইউনিয়নের ছোটশৌলা গ্রামের কবির জমাদ্দারের ছেলে। আহত সুব্রত হালদার পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের রবীন্দ্রনাথ হালদারের ছেলে।
মঠবাড়িয়া মিরুখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনির হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চরখালি থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল চরখালি-মঠবাড়িয়া সড়কের ইকড়ি-ঝাউতলা বাজারের কাছে নির্মাণাধীন একটি কালভার্টের গর্তে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলটির চালকের আসনে থাকা রাকিব মারা যান। আমি সংবাদ পেয়ে পুলিশে খবর দেই, তবে পুলিশ আসার আগেই পরিবারের লোকজন এসে রাকিবের লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রাকিব জমাদ্দারের বন্ধু সাইফ ইমন বলেন, রাকিব ও তার বন্ধু সুব্রত দুইজনে মিলে ভান্ডারিয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময় দুর্ঘটনায় রাকিব মারা যান। ১৮ জানুয়ারি রাকিব বিয়ে করেছিলেন।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনা ভান্ডারিয়া উপজেলার মধ্যে ঘটেছে, তবে নিহতে বাড়ি মঠবাড়িয়ায়। নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহত দ র ঘটন য় উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়