বিয়ের ৪ দিনের মাথায় বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে বেড়াতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন রাকিব জমাদ্দার (২৩) নামে এক যুবক।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় উপজেলার চরখালি-মঠবাড়িয়া সড়কের ঝাউতলা এলাকায় নির্মাণাধীন কালভার্টের গর্তে পড়ে নিহত হন রাকিব। এ দুর্ঘটনায় রাকিবের বন্ধু সুব্রত হালদার (২০) গুরুতর আহত হয়েছেন।

ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত রাকিব জমাদ্দার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ভগিরতপুর ইউনিয়নের ছোটশৌলা গ্রামের কবির জমাদ্দারের ছেলে। আহত সুব্রত হালদার পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের রবীন্দ্রনাথ হালদারের ছেলে।

মঠবাড়িয়া মিরুখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনির হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চরখালি থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল চরখালি-মঠবাড়িয়া সড়কের ইকড়ি-ঝাউতলা বাজারের কাছে নির্মাণাধীন একটি কালভার্টের গর্তে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলটির চালকের আসনে থাকা রাকিব মারা যান। আমি সংবাদ পেয়ে পুলিশে খবর দেই, তবে পুলিশ আসার আগেই পরিবারের লোকজন এসে রাকিবের লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত রাকিব জমাদ্দারের বন্ধু সাইফ ইমন বলেন, রাকিব ও তার বন্ধু সুব্রত দুইজনে মিলে ভান্ডারিয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময় দুর্ঘটনায় রাকিব মারা যান। ১৮ জানুয়ারি রাকিব বিয়ে করেছিলেন। 

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনা ভান্ডারিয়া উপজেলার মধ্যে ঘটেছে, তবে নিহতে বাড়ি মঠবাড়িয়ায়। নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহত দ র ঘটন য় উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ