Samakal:
2025-08-01@16:14:13 GMT

প্রতিযোগিতামূলক চাকরি

Published: 26th, January 2025 GMT

প্রতিযোগিতামূলক চাকরি

প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষা আর সরকারি চাকরির পরীক্ষা এক নয়– বিষয়টি সবাইকে মনে রাখতে হবে। আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে।   তাই সরকারি চাকরির প্রস্তুতি একটু ভালোভাবেই নিতে হবে। বর্তমান সময়ে যে কোনো পরীক্ষায় আগের চেয়ে প্রতিযোগিতা অনেক বেড়েছে। বদলে গেছে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ধরন। 
জব সলিউশন পড়ার কৌশল
 রিসেন্ট প্রশ্ন আগে পড়বেন। মানে আপনি জব সলিউশন থেকে  ২০২৩ সালের প্রশ্নগুলো পড়বেন। এরপর ২০২২, ২০২১ এভাবে বিগত ১০ বছরের প্রশ্ন মুখস্থ রাখবেন।
 প্রথমবার পড়ার সময় আপনি ব্যাখ্যা ছাড়া শুধু সালের প্রশ্নগুলো পড়বেন। অনেকে প্রথমবার ব্যাখ্যাসহ পড়তে গিয়ে ছয় মাসে একটি সালের প্রশ্নই শেষ করতে পারেন না। তখন অনেকে হতাশ হয়ে পড়েন। আমার সাজেশন হলো, আপনি প্রথমবার ব্যাখ্যা ছাড়া শুধু সালের প্রশ্নগুলো পড়ে শেষ করবেন। দ্বিতীয়বার রিভাইজ করার সময় আপনি ব্যাখ্যাসহ পড়বেন।
জব সলিউশন পড়ার সময় আগে বিগত বছরের বিসিএসের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রথম শ্রেণির চাকরির প্রশ্ন পড়বেন এবং বোঝার চেষ্টা করবেন কোন সাবজেক্ট থেকে বা কোন অধ্যায় থেকে কী ধরনের প্রশ্ন আসে পরীক্ষায়।
যেসব প্রশ্ন মনে থাকতে চাচ্ছে না, সেটি আলাদা করে দাগ দিয়ে রাখবেন। যেমন– আপনি বিসিএসের ১০০টি প্রশ্ন একবার রিডিং পড়লেন। যেই ১০০টি প্রশ্ন পড়া শেষ হলো, ঠিক তখনই সেই প্রশ্নগুলো দ্বিতীয়বারের মতো পড়বেন। পড়তে গিয়ে দেখবেন একটু আগেই যে প্রশ্নগুলো পড়লেন, সেই ১০০টি প্রশ্নের মধ্যে ছয়টি বা আটটি বা কিছু প্রশ্নের উত্তর পারছেন না। উদাহরণস্বরূপ আপনি আটটি প্রশ্নের উত্তর পারছেন না। তাহলে আপনি ওই আটটি প্রশ্ন আলাদা করে দাগিয়ে রাখবেন এবং সেগুলো তৃতীয়বারের মতো পড়বেন। পুরো জব সলিউশন একবার করে পড়া শেষ হলে আপনি যেগুলো পারতেন না, তৃতীয়বারের মতো পড়তে হয়েছিল সেগুলো আবার একবার পড়বেন। এবার দেখবেন যে বিসিএসের যে আটটি প্রশ্নের উত্তর আপনি পারতেন না এখন এর মধ্যে সবই পারেন, শুধু দুই-তিনটি পারেন না। আপনি কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার আগে রিভাইজ করার সময় শুধু এ দু-তিনটি প্রশ্ন পড়বেন। এভাবে পড়লে দেখবেন যে পুরো জব সলিউশন থেকে আপনি পারেন না– এমন প্রশ্নের সংখ্যা ৫০০-৬০০-এর বেশি হবে না। পরীক্ষার দু’এক দিন আগে শুধু এই কয়টি প্রশ্ন পড়বেন। যে প্রশ্ন আপনি পরীক্ষার দু’এক দিন আগে না পড়লেও উত্তর দিতে পারতেন সেসব প্রশ্ন পড়ে সময় নষ্ট করবেন না। 
 জব সলিউশন থেকে ৫০০টি প্রশ্ন পড়তে আপনার যদি ৫ ঘণ্টা সময় লাগে, আপনি এ পদ্ধতি অনুসরণ করে সেটি ৩ ঘণ্টায় শেষ করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি ১০-১৪তম বিসিএসের ৫০০টি প্রশ্ন আপনি পড়বেন, শুরুতেই আপনি ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪তম বিসিএসের মুখস্থ প্রশ্নগুলো আগে পড়ে নেবেন। সাধারণ জ্ঞান, বাংলা এসব প্রশ্ন হলো মুখস্থ প্রশ্ন। এখন আপনার পড়া বাকি আছে ১০-১৪তম বিসিএসের গণিত ও ইংরেজি। আপনি যখন ইংরেজি পড়বেন, তখন ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪তম বিসিএসের শুধু ইংরেজিই পড়বেন। এবার যখন গণিত পড়বেন, তখন ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪তম বিসিএসের শুধু গণিতই পড়বেন। এভাবে পড়লে আপনার পড়তেও বিরক্ত লাগবে না আর সময়ও কম লাগবে। একসঙ্গে সাধারণ জ্ঞান, গণিত ও ইংরেজি পড়তে গেলে আপনার অরুচি লাগবে এবং সময়ও বেশি লাগবে। 
সাজেশনভিত্তিক পড়াশোনা করতে হবে। সাজেশনটি হলো এ রকম, পাটিগণিতে ৩ নম্বরের জন্য আপনাকে ছয়টি অধ্যায় করতে হবে। যে স্টুডেন্ট গণিতে দুর্বল সে তো ছয়টি অধ্যায় করতে পারবে না। আমার সাজেশন হলো, যে স্টুডেন্ট ৩৫-৪৪তম বিসিএসের প্রশ্ন দেখেন তিনি জানবেন যে পাটিগণিতে ছয়টির মধ্যে কোন তিনটি অধ্যায় থেকে প্রায় প্রতি বছর প্রশ্ন আসে। তিনি প্রথমবার গণিত করার সময় ওই তিনটি অধ্যায় করেই পাটিগণিত শেষ করবেন। দ্বিতীয়বার যখন করতে যাবেন তখন তিনি আরও একটি অধ্যায় বাড়িয়ে এবার চারটি অধ্যায় করবেন। 
 যে টপিক পড়া শুরু করবেন, সেটি শেষ না করে অন্য টপিকে যাবেন না। আমার সাজেশন হলো, আপনি যখন শতকরা শুরু করবেন তখন ওটি শেষ না করে অন্য কোনো সাবজেক্ট পড়তে যাবেন না।
 সব বই একবার করে পড়া শেষ হওয়া মাত্রই আপনি জব সলিউশন পড়া শুরু করবেন। পুরো জব সলিউশন মিলে প্রশ্ন আছে ২৫ হাজারের মতো। ১০-৪৫তম বিসিএসের প্রশ্ন আছে ৪ হাজার ৫০০টি এবং বিগত ১০ বছরের নন-ক্যাডারের প্রশ্ন ২০ হাজারের মতো। অর্থাৎ মোট ২৪ হাজার ৫০০ থেকে ২৫ হাজার প্রশ্ন। প্রতিদিন ৫০০টি করে এমসিকিউ পড়লে জব সলিউশন শেষ করতে সময় লাগবে ৫০ দিন। প্রতিদিন ৫০০টি করে না পারলেও সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করলে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ৩০০টি করে এমসিকিউ পড়া সম্ভব। এভাবে টার্গেট রাখলে তিন মাসে শেষ হবে। টার্গেট না রাখলে তিন বছরেও শেষ হয় না। সবার জন্য শুভকামনা রইল। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথমব র পর ক ষ র ট গণ ত একব র র সময় আপন র করব ন পড়ব ন

এছাড়াও পড়ুন:

সংসদ নির্বাচনে ৭ শতাংশ আসনে থাকবে নারী প্রার্থী, প্রস্তাব ঐকমত্য

বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০ নারী আসন বহাল রেখে সাত শতাংশ আসনে সরাসরি প্রার্থী করার সংশোধিত প্রস্তাব করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২২তম দিনে সংশোধিত প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ১০০ আসনে সরাসরি নারীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান রাখার কথা বলা হয়। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ১০০ নারী আসনে সরাসরি ভোটের কথা বলা হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ১০০ আসনে সরাসরি ভোটের কথা বলে। সিপিবি, বাসদ ও জেএসডি সরাসরি ভোটের কথা বলে।

আরো পড়ুন:

খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন: মিন্টু

প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে

তবে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলো সংখ্যানুপাতিক হারে ১০০ আসনে নারীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান রাখার কথা বলে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো বিদ্যমান পদ্ধতিতে ১০০ সংরক্ষিত আসনের কথা বলে।

এমন অবস্থায় কমিশন ১৪ জুলাই সংশোধিত একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করে। সেখানে বলা হয়, যে দল ২৫টির বেশি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, তাদের ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে।

তবে ওই দিন এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে অধিকাংশ দল।পরে আরেক দিনের আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখার পাশাপাশি ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী করার প্রস্তাব করেন, যা আগামী নির্বাচনে বাস্তবায়ন হবে। ১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই হার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার কথা বলা হয়।

আজ নতুন প্রস্তাব উপস্থাপন করে কমিশন। সেখানে বলা হয়, জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ক্রমান্বয়ে ১০০ আসনে উন্নীত করা হবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর দফা (৩)-এ প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০টি আসন বহাল রেখে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন থেকে ৭ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।

১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫ শতাংশ আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে। রাজনৈতিক দলগুলো এই হার পর্যায়ক্রমে প্রতি সাধারণ নির্বাচনে ৫ শতাংশ হারে বাড়িয়ে সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব ১০০-এ উন্নীত করবে। পঞ্চদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো পর্যাপ্তসংখ্যক নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, যাতে ১০০ জন নারী জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন।

২০১৮ সালের সপ্তদশ সংশোধনীর (যা ৮ জুলাই ২০১৮ সালে সংসদে পাস হয়) মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বাড়ানো হয়। সে হিসাবে বিদ্যমান সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২০৪৩ সাল পর্যন্ত বহাল থাকার বিধান রয়েছে।তবে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫(৩) ও (৩ ক)-এর আওতায় সংরক্ষিত নারী আসনের বিধান চতুর্দশ সংসদের পর আর কার্যকর থাকবে না।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংসদ নির্বাচনে ৭ শতাংশ আসনে থাকবে নারী প্রার্থী, প্রস্তাব ঐকমত্য