গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে এক দর্শকের ব্যানারেই ছিল প্রত্যাশার প্রকাশ- ‘৮৩৫৮ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে এসেছি স্মিথের ১ রান উদযাপন করতে।’ সেই আশা পূরণ হয়েছে। আজ আর অপেক্ষায় রাখেননি স্টিভেন স্মিথ। প্রথম বলেই মিড অনের দিকে ঠেলে দ্রুত এক রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান পৌঁছে গেলেন এক নতুন উচ্চতায়- টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের ক্লাবে।  

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা চতুর্থ ব্যাটসম্যান হলেন স্মিথ। বিশ্ব ক্রিকেটে এ কীর্তি গড়েছেন মাত্র ১৫ জন। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই অর্জন করেছেন রিকি পন্টিং (১৩৩৭৮ রান), অ্যালান বোর্ডার (১১১৭৪ রান) ও স্টিভ ওয়াহ (১০৯২৭ রান)।  

২০১০ সালে টেস্ট অভিষেকের পর স্মিথ এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১১৪টি টেস্ট ম্যাচ। ৫৫.

৮৬ গড়ে তার সংগ্রহ ১০ হাজারের বেশি রান, যেখানে রয়েছে ৩৪টি সেঞ্চুরি ও ৪১টি ফিফটি।  

ভারতের বিপক্ষে সিডনি টেস্ট শুরুর সময় স্মিথের প্রয়োজন ছিল ৩৮ রান। প্রথম ইনিংসে ৩৩ রান করে আউট হওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫ রানের প্রয়োজন ছিল তার। তবে ৪ রান করে  ৯৯৯৯-এ পৌঁছানোর পর আউট হন তিনি। শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনের পর মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে ৯৯৯৯ রানের মাথায় আউট হয়েছিলেন স্মিথ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ১০ হ জ র র

এছাড়াও পড়ুন:

হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক

২০২৪ সালে এক অনন্য মাইলফলক স্থাপন করেছে দেশীয় মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটি সমন্বিতভাবে ১,০১৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে যা এখন পর্যন্ত ব্যাংকের ৪২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সিটি ব্যাংক এককভাবে ১,০৮৫ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করলেও সহযোগী দুটি প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বাজারমূল্য হ্রাস পাওয়ায় প্রভিশন ব্যয় হওয়ার কারণে ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা ১,০১৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সিটি ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত নিট মুনাফা ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সে তুলনায় ২০২৪ সালে সমন্বিত মুনাফা বেড়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ- যা সিটি ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে ব্যাংকটি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয় ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ, যার মধ্যে ১২.৫ শতাংশ নগদ এবং ১২.৫ শতাংশ বোনাস। গত বছরও একই হারে লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি ব্যাংক। শেয়ারধারীদের অনুমোদনের পর এই লভ্যাংশ বার্ষিক সাধারণ সভায় বিতরণ করা হবে। ঘোষিত নগদ লভ্যাংশে ব্যয় হবে প্রায় ১৭০ কোটি টাকারও বেশি। পাশাপাশি বোনাস হিসেবে প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ১২.৫টি নতুন শেয়ার দেওয়া হবে।

রেকর্ড মুনাফার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয়েও। ২০২৩ সালের ৪.৭৪ টাকার তুলনায় ২০২৪ সালে ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫৩ টাকায়, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি ৫৮.৯ শতাংশ। একইভাবে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য বেড়ে হয়েছে ৩৪.৩৯ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৩৮ টাকা বা ২০.৪১ শতাংশ বেশি।

রেকর্ড মুনাফার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রেখে আমানত রেখেছে। আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে মুনাফায় বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। আমরা কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছি, যা কর্মীদের উৎসাহিত করেছে। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ সৎ ও মেধাবী। ব্যাংকে ঈর্ষণীয় পর্যায়ের সুশাসন বিদ্যমান। এসবই রেকর্ড মুনাফার পেছনের মূল কারণ।’

২০২৪ সালে ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ৩১ শতাংশ বা ১২,১৭৭ কোটি টাকা, যেখানে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ শতাংশ বা ৪,৮৩১ কোটি টাকা। এই উদ্বৃত্ত তহবিলের বড় একটি অংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা আগের বিনিয়োগ থেকে ৬,১৫০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৪৮৮ কোটি টাকায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই হাজারি ক্লাবে গিয়ে মিরাজের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
  • এবার হাজার কোটি টাকার মুনাফার ক্লাবে সিটি ব্যাংক
  • হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক