টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইলফলকে স্টিভেন স্মিথ
Published: 29th, January 2025 GMT
গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে এক দর্শকের ব্যানারেই ছিল প্রত্যাশার প্রকাশ- ‘৮৩৫৮ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে এসেছি স্মিথের ১ রান উদযাপন করতে।’ সেই আশা পূরণ হয়েছে। আজ আর অপেক্ষায় রাখেননি স্টিভেন স্মিথ। প্রথম বলেই মিড অনের দিকে ঠেলে দ্রুত এক রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান পৌঁছে গেলেন এক নতুন উচ্চতায়- টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের ক্লাবে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা চতুর্থ ব্যাটসম্যান হলেন স্মিথ। বিশ্ব ক্রিকেটে এ কীর্তি গড়েছেন মাত্র ১৫ জন। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই অর্জন করেছেন রিকি পন্টিং (১৩৩৭৮ রান), অ্যালান বোর্ডার (১১১৭৪ রান) ও স্টিভ ওয়াহ (১০৯২৭ রান)।
২০১০ সালে টেস্ট অভিষেকের পর স্মিথ এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১১৪টি টেস্ট ম্যাচ। ৫৫.
ভারতের বিপক্ষে সিডনি টেস্ট শুরুর সময় স্মিথের প্রয়োজন ছিল ৩৮ রান। প্রথম ইনিংসে ৩৩ রান করে আউট হওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫ রানের প্রয়োজন ছিল তার। তবে ৪ রান করে ৯৯৯৯-এ পৌঁছানোর পর আউট হন তিনি। শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনের পর মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে ৯৯৯৯ রানের মাথায় আউট হয়েছিলেন স্মিথ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ১০ হ জ র র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউনূস-তারেক বৈঠক যেন জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণের মাইলফলক হয়: বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এ আলোচনাটি কেবল সৌজন্য সাক্ষাৎ না থেকে যেন জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণের এক মাইলফলক হয়ে ওঠে—এটাই জাতির প্রত্যাশা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কালীনারায়ণ উচ্চবিদ্যালয়ে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ইঙ্গিত করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘জনগণের ক্ষমতা তাদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার, অর্থ লুটকারীদের সম্পদ দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা এবং কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক সংস্কার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই মানুষ আপনাকে মনে রাখবে, যেমনটি জাস্টিস শাহাবুদ্দীন সাহেবকে মানুষ মনে রাখে।’
গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের প্রসঙ্গে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত কেউ কথা বলতে পারেননি, সভা-সমাবেশ করতে পারেননি। শ্রীপুরের মাওনায় ১৭ জন শহীদ হয়েছেন, বহু মানুষ আহত হয়েছেন, কেউ কেউ স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এমনকি জেলে থেকে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন অনেকে। এ দায় শুধু একটি পক্ষের নয়, যাঁরা ক্ষমতায় আছেন এবং আমরা যাঁরা বাইরে রাজনীতি করছি—দায় সবারই। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের দায় সবচেয়ে বেশি।’
তারেক রহমানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে জাহিদ হোসেন বলেন, সামনের দিনগুলো বেশ কঠিন। রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। সঠিক সংস্কার ছাড়া এগোনো সম্ভব নয়।
রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জাহিদ হোসেন বলেন, রাজনীতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে, সহিষ্ণুতা গড়ে তুলতে হবে। প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু প্রতিহিংসা নয়, কোনো অবস্থাতেই নয়।
এর আগে দুপুরে মাওনা চৌরাস্তার একটি রেস্তোরাঁয় জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সহায়তা তুলে দেন জাহিদ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা মাজাহারুল আলম, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারী, ইউসিসিএ চেয়ারম্যান এস এম মাহফুল হাসান, কৃষক দলের নেতা মাসুদ রানা, বিএনপি নেতা তাহের মুসুল্লী, তেলিহাটি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবু জাফর সরকার প্রমুখ।