কৃষি আধুনিকায়নে বাংলামার্ক: চন্দনাইশে কম্বাইন হারভেস্টারের যাত্রা শুরু
Published: 1st, February 2025 GMT
দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা সত্ত্বেও এখানে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো শিল্প কারখানা গড়ে উঠেনি। এমতাবস্থায় এলাকার জনসাধারণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং কৃষি খাতকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলামার্ক লিমিটেড চন্দনাইশ উপজেলার পশ্চিম এলাহবাদে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি অত্যাধুনিক এবং স্বয়ংক্রিয় কৃষিযন্ত্র ও যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী কারখানা স্থাপন করেছে। যেখানে সহস্রাধিক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বাংলামার্ক বিশ্বাস করে তাদের এই প্রকল্পটি আর্থসামাজিক ও কৃষি উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
শনিবার চন্দনাইশে বাংলামার্কের ওয়ার্কশপে ব্রি কৃষিযন্ত্র প্রস্তুত ও বিপণনের ওপর একটি লঞ্চিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড.
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলামার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো: রফিকুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো: সিরাজুল ইসলাম, ব্রি ও বাংলামার্কের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাংলামার্কের এই উদ্যোগ কৃষকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করবে, যা কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং স্থানীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।
বাংলামার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কৃষকদের কাছে স্বল্পমূল্যে উন্নত কৃষিযন্ত্র পৌঁছে দেয়া, যাতে তারা কম খরচে আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারেন। বাংলামার্ক দেশীয় কৃষিযন্ত্র উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে প্রস্তুত। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনার ফুটপাত পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে
খুলনা নগরের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত এখন পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে। ডাকবাংলা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্রজুড়ে ফুটপাতের ওপর চলছে অস্থায়ী দোকানপাট, পণ্যের পসরা আর ক্রেতাদের ভিড়। ফলে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন ক্রেতা, হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত।
ডাকবাংলা এলাকা খুলনা নগরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে ডাকবাংলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটসহ বড় শপিং কমপ্লেক্স আছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম বাজার এটি। কিন্তু এখন এর পুরো এলাকার ফুটপাত দখল হয়ে গেছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের হাতে।
হকারদের ভিড়ে দোকান দেখা যায় নাসম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাংলা মোড় থেকে ক্লে রোড পর্যন্ত ফুটপাতে মালামাল সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। স্থায়ী দোকানদাররাও নিজেদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। ভ্যানে করে জামাকাপড়, ফল, গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের পর এখন রাস্তার অর্ধেকজুড়ে। পুরোনো যশোর রোড, সদর থানা মোড়, কেডি ঘোষ রোড থেকে হেলাতলা পর্যন্ত একই চিত্র। খালিশপুর চিত্রালি বাজার ও দৌলতপুর বাজারেও ফুটপাতের ওপর খাট বসিয়ে চালা তুলে ব্যবসা চলছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।
খালিশপুর চিত্রালি বাজারের দোকান ব্যবস্থাপক মো. আসাদ বলেন, ‘হকারদের কারণে বাইরে থেকে আমাদের দোকান দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা জমজমাট, কিন্তু আমাদের বিক্রি কমে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ঢেকে গেছে অস্থায়ী দোকানে।’
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬৪১ কিলোমিটার। ফুটপাতের সঠিক হিসাব না থাকলেও অন্তত ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত হকারদের দখলে। চলতি বছরে ১২ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের দখল হয়ে যায়।
কেসিসির সম্পত্তিবিষয়ক কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে এটি বন্ধ হবে না। অনেকে নিজের দোকানের সামনের ফুটপাতও ভাড়া দেন হকারদের। সহযোগিতা না পেলে একা আমাদের কিছু করার নেই।’
পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা