বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের উদ্যোগে এবং ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএন উইমেন এর সহযোগিতায় রাজশাহীর পদ্মার পাড় মুক্তমঞ্চে শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশি এবং সুইডিশ বাবা’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী। 

এই প্রদর্শনী বাবাদের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা উদযাপন, লিঙ্গ সমতাকে এগিয়ে নিতে এবং আরও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনে 'সক্রিয় পিতৃত্বের রূপান্তরমূলক প্রভাবকে' তুলে ধরে।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশি বাবার ২৩টি আকর্ষণীয় ছবি সক্রিয়ভাবে প্যারেন্টিং এবং সন্তানের প্রতি যত্ন সম্পর্কে তুলে ধরে। বিখ্যাত সুইডিশ ফটোগ্রাফার জোহান বাভম্যানের ‘সুইডিশ ড্যাডস’ দ্বারা অনুপ্রাণিত এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্যোগটি শ্রোতাদের ঐতিহ্যগত লিঙ্গ ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করতে এবং লিঙ্গ সমতাকে একটি ভাগ করা দায়িত্ব হিসাবে গ্রহণ করতে উত্সাহিত করে। 

এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এবং বিভাগীয় কমিশনারসহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় রাজশাহী প্রদর্শনীটি সম্ভব হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দর্শনার্থীরা এই প্রদর্শনী উপভোগ করতে পারবেন। ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনে বাবারা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, সে সম্পর্কে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন।

গবেষণা ধারাবাহিকভাবে দেখায়, যখন বাবারা যত্নশীলভাবে সক্রিয় থাকে, তখন লিঙ্গ ভূমিকার আশেপাশে সামাজিক নিয়মগুলো পরিবর্তন হতে শুরু করে। বাংলাদেশে ঐতিহ্যগত প্রত্যাশাগুলো প্রায়শই নারীদের উপর অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে যত্ন নেওয়ার বোঝা চাপিয়ে দেয়।

বাবাদের যত্ন নেওয়াকে উত্সাহিত করার মাধ্যমে এই প্রদর্শনী লিঙ্গ-সমতাপূর্ণ অভিভাবকত্বের বিস্তৃত সামাজিক সুবিধাগুলিকে তুলে ধরে। পুরুষরা যখন যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করে, তখন নারীরা কর্মশক্তিতে প্রবেশ এবং উন্নতির জন্য আরও ভালো অবস্থানে থাকে। এই পরিবর্তন শুধুমাত্র পরিবারকে উপকৃত করে না বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়নেও অবদান রাখে।

অনলাইনে অনুষ্ঠিত মাসব্যাপী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১০০টি ছবির জমা থেকে মোট ২৩ জন বাবাকে নির্বাচিত করা হয়। জুরি বোর্ডে রয়েছেন বাংলাদেশে সুইডিশ রাষ্ট্রদূত এইচ.

ই. নিকোলাস উইকস, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি মাসাকি ওয়াতাবে, জাতিসংঘের নারী প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং, প্রথম আলোর সিনিয়র ফটোগ্রাফার সাবিনা ইয়াসমিন এবং সাইফুল হক।

ঢাকা/হাসান/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় খালাস পেলেন এ্যানিসহ ৯ জন 

রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ নয়জন।

সোমবার (১৬ জুন) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাসের রায় দেন। এদিন শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন—আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ইসহাক সরকার, কাজী আবুল বাশার, নজরুল ইসলাম খান টিপু, এম এ সৈয়দ মন্টু, আব্দুস সাত্তার ও মো. সালাউদ্দিন। 

এ বিষয়ে এ্যানির আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায় থেকে আসামিদের খালাস দিয়েছেন আদালত। মামলা চলার মতো কোনো উপাদান না থাকায় এ পর্যায়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর ১৮ দলের ডাকা হরতাল চলাকালে রাজধানীর সূত্রাপুর থানাধীন এলাকায় একটি লেগুনায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুষ্কৃতকারীরা। এতে ওই গাড়ির পাঁচজন দগ্ধ হন। পরদিন ১১ নভেম্বর সূত্রাপুর থানার তৎকালীন এসআই নয়ন ফারকুন বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২১ মে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আনোয়ার আলম আজাদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে এ মামলায় শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ জনের বিচার শুরু হয়। 

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ