রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দনিয়া কলেজের ছাত্র মিনহাজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা পুলিশ প্রটোকলের মধ্যে ঢুকে আসামিদের জুতা পেটা করে, কিল-ঘুষি মারে ও জুতা নিক্ষেপ করে।

এদিন সাত আসামির রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য ছিল। সকাল থেকে মিনহাজের স্বজন, সহপাঠীরা আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকে। ঢাকার সিএমএম আদালতের সামনে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে তারা। তারা মিনহাজের হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি জানান। এ সময় মিনহাজের বাবা, মা, স্ত্রী ভাই উপস্থিত ছিলেন।

বেলা পৌনে ৩টার দিকে আসামিদের এজলাসে তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। আসামিদের মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া পরানো হয়।

তখনও মিনহাজের সহপাঠীরা বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি বুঝে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিলেন। এভাবে প্রায় ৩০ মিনিট কেটে যায়। ৩টা ৮ মিনিটের দিকে হাজতখানা থেকে আসামিদের বের করে সিএমএম আদালতের দ্বিতীয় তলায় নেওয়া হচ্ছিল। আদালতের ঠিক সামনে আসা মাত্র সেখানে অবস্থান নেওয়া নিহতের সহপাঠীরা আসামিদের ওপর হামলা করে। এ সময় তারা কিল-ঘুষি মারে ও জুতা নিক্ষেপ করে। জুতা দিয়ে পেটাতেও দেখা যায়। তখন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীদের বাধা দেন। দ্রুত তাদের এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.

এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত মাহফুজ সরকারের পাঁচ দিন, জাহিদুল ভূঁইয়া শাওন, সাব্বির সরকার, আশিক, কাওছার মিয়া, শাহ আলমের তিন দিন রিমান্ডের আদেশ দেন। সোহান শিশু হওয়ায় তার রিমান্ড শুনানি শিশু আদালতে হবে মর্মে আদেশ দেন আদালত। পরে বিশেষ নিরাপত্তায় পকেট গেট দিয়ে তাদের হাজতখানায় নিয়ে যাই।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সহপ ঠ র

এছাড়াও পড়ুন:

নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ 

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছেন আদালত। মামলাটি অন্য আদালতে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

সোমবার এ মামলায় নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানার আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানা আদালতে হাজির হন।

তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু আদালতে দুটি আবেদন করেন। এর মধ্যে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে একটি আবেদন করা হয়। কারণ হিসেবে আজিজুর রহমান দুলু বলেন, “এ মামলার বিচার চলছে। এ অবস্থায় বাদীপক্ষের আইনজীবী গত ১৬ এপ্রিল মিডিয়াতে বলেন, নাসির হোসেন ব্যাভিচার করে তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন। বিচার শেষে আদালত নির্ধারণ করবেন, নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন কি না এবং ব্যাভিচার করেছেন কি না।” 

একই সঙ্গে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার পুরো অভিযোগ না শুনিয়ে সারসংক্ষেপ পড়ে শোনানোর আবেদন করেন নাসির ও তামিমার আইনজীবী।

এদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আগে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। আইন অনুযায়ী তিনি এখন আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করতে পারেন না।

দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, উভয় পক্ষেরই আবেদন দেওয়ার অধিকার আছে। এটা বিজি কোর্ট। একটা মামলার শুনানি করতে যে ধৈর্য দরকার, এত সময় এই আদালতের নেই। এতে অন্য মামলায় ইফেক্ট পড়ে। আমি বিব্রত বোধ করে মামলাটা অন্য কোর্টে পাঠিয়ে দিই। এতে আপনারা কি নাখোশ হবেন?

তখন আইনজীবীরা জানান, এতে তাদের আপত্তি নেই। তখন আদালত বলেন, মামলাটা বদলি করে সিএমএম বরাবর পাঠিয়ে দিই। সিএমএম মামলাটি একটা কোর্টে পাঠিয়ে দেবেন।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা সুলতানা তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে, এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামিনে মুক্ত মেঘনা আলম
  • মডেল মেঘনা আলম কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত
  • মডেল মেঘনা আলমের জামিন
  • নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ